পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আর কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
শনিবার চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে তারা বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে না।’
মোমেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারে দেশটির জান্তা বাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের মধ্যে সংঘাত চলছে।
এসব ঘটনার সময় মিয়ানমারের নাগরিকরা নৃশংসতার ভয়ে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে।
মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ইতোমধ্যে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
শনিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি বিমানকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ছোড়া হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে গুলির খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে ওই ঘটনার জন্য কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দুইবার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে ডেকে পাঠায় এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপের একদিন পরই কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা