যৌতুক
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
যৌতুক দাবি, প্রথম বিয়ের কথা গোপন এবং নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মাদারীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ আকন্দ (৩৭) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কূটনৈতিক অফিসে কর্মরত। সমন জারির পর বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে এসে তিনি জামিন আবেদন করেন।
মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
বাদী জারিন রাফা নীলান্তির (২৬) তথ্যমতে, তারা ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল বিয়ে করেন এবং তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল এবং তিনি বিষয়টি তার কাছে গোপন রেখেছিলেন।
২০২২ সালের ৭ অক্টোবর বাদীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে আসামি জারিনের কাছে ৪০ লাখ টাকা ও ৫ কাঠা জমি যৌতুক হিসেবে দাবি করেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
১ বছর আগে
বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
বরিশালে স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে নালিশী মামলা করেছে স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বরিশালের বিচারিক হাকিম আদালতে নালিশী মামলা করা হয়।
বিচারিক হাকিম রেঁনেসা খান অভিযোগ আমলে নিয়ে হিজলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী স্বামী আমিনুল ইসলাম (৩৩) বরিশালের কাজিরহাট থানার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আকুব্বর শেখের ছেলে।
বিবাদী হলো- হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা ও বাদীর স্ত্রী উম্মে সালমা (২৫), শ্যালক মুরাদ সরদার ও আশিক সরদার।
বিচারিক হাকিম আদালতের স্টেনো মো. আতিকুর রহমান মামলার বরাতে বলেন, তিন বছর আগে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম ও উম্মে সালমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর দুই শ্যালকের পরামর্শে স্ত্রী উম্মে সালমা যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা ও ১০ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার দাবি করে। ওই দাবি পূরণ করতে অস্বীকৃতি জানায় আমিনুল।
আরও পড়ুন: বরিশালে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
গত ১৩ মে উম্মে সালমা কাউকে কিছু না বলে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এ সময় সঙ্গে করে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়।
বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে সে আসতে অপরাগতা প্রকাশ করে। যৌতুকের টাকা না দিলে সংসার করবে না। স্বামীকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়।
বাদীর আইনজীবী আজিজুর রহমান খান রিয়াজ বলেন, বিবাদীরা যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ জমা রাখার ও ১০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার দাবি যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছে। তাই মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিচারক মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ক্লাসরুমের পলেস্তারা খসে ২ কলেজছাত্রী আহত
বরিশালে বাস-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৩
১ বছর আগে
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার ইকুইটি রাইটস অ্যান্ড গভর্নেন্স ট্রাস্টের করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ অ্যান্ড ড্রাফটিং শাখার সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মনজুর আলম।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো শাস্তির বিধান উল্লেখিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘মৃত্যু ঘটানোর জন্য মৃত্যুদণ্ড বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উভয় ক্ষেত্রে উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’
এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টে রিট করে সংগঠনটি। আজ (রবিবার) ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে ডাক্তার স্ত্রীর করা মামলায় ডাক্তার স্বামী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী ফারহানা বেগম পান্নাকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহজাহান প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন।
নিহত ফারহানা বেগম পান্না একই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর মো. আলী আকবর পাটওয়ারীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান প্রধান একই উপজেলার ভাটরা গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ফারহানা ও শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। ঘটনার সময় তাদের মাহবুব (৩) নামে পুত্র ও মীম নামে দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তান ছিল। ঘটনার কিছুদিন পূর্ব থেকে শাহজাহান সৌদি আরব যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ২০০৯ সালের ৭ জুন বিকালে নিজ বসতঘরে শাহজাহান আবারও যৌতুকের টাকা না আনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন ও সজোরে তার তলপেটে লাথি মারে। তাৎক্ষণিক ফারহানা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ফারহানার ভাই ফারুক আহম্মদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে শাহাজাহান প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।পরবর্তীতে ওই মামলাটি ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দায়ের হয়। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন সিআইডি চাঁদপুরের তৎকালীন সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীরকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৭ মার্চ শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মান্নান খান মহিন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন। আট সপ্তাহ পরে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপণ করার জন্য বলেছেন আদালত।
আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানালে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদন করেন আল-আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আল আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর তাঁকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের জন্য স্ত্রী ইসরাত জাহানের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ক্রিকেটার মো. আল-আমিন হোসেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্ত্রীকে মারধর করেন আল-আমিন।
পরে এসব অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে তা মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ: টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আল আমিন তাকে অত্যাচার ও মারধর করেন। এরপর দুটি বাচ্চাসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর আল আমিন অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাসায় উঠেছেন।
গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেয়। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে ইসরাত।এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
২ বছর আগে
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন
সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যার ১৯ বছর পর স্বামী আব্দুল্লাহ’র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ রবিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন জানান, দণ্ডিত আসামি আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৭ আগস্ট দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের আব্দুল্লাহের সঙ্গে শেফালি বেগমের বিয়ে হয়। অভাবের কারণে তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে আব্দুল্লাহ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য শেফালি বেগমের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে শেফালি বেগমকে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এতে তিনি মারা গেলে ওই দিন বাড়ির পিছনে একটি আমগাছে তাকে ঝুলিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে রিপোর্ট তৈরি করে এবং আলামত জব্দ করে। শেফালীর শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায় পুলিশ। এছাড়া শেফালী বেগমের ডান হাঁটুর নীচে ও বুকে জখম ছিল।
এ ঘটনায় শেফালি বেগমের মা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে আব্দুল্লাহ ও তার বাবা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেছার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অপর আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় অপরাধের অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করি।
তিনি আরও জানান, `ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।'
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ফারজানার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। এরপর আরও নির্যাতন বাড়তে থাকেন। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতেন। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ দেখেননি তিনি।
অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ সাজা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
২ বছর আগে
গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের লোভে ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধায় আতোয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শতিরজান চর মুরশিদ গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমানের সাথে আনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে দুজনের মধ্যে মনেমালিন্য চলে আসছিল।
এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রী আনোয়ারা বেগম প্রাকৃতিক কাজ সারতে ঘরের বাহিরে যায়। এসময় পেছন থেকে স্বামী আতাউর রহমান লোহার রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় উপর্যুপরী মারতে থাকে। তারপর গুরুতর আহত স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে টেনে হেঁচড়ে বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে। এসময় তার মেয়ে আইরিন আকতারের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসে ঘটনা দেখতে পায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মহির উদ্দিন বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরী পাচার মামলায় খুলনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালত সাজাপ্রাপ্তকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন যা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত কামাল হাওলাদার (৪৫) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলা চলাকালীন এজাহারভুক্ত এক আসামি মারা যান এবং অন্য চার আসামির বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য না থাকায় আদালত তাদের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা জানান, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধে নিজের স্ত্রী শাহীনুর বেগমকে হত্যা করে কামাল। এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের মামা মো. ছগির শরীফ বাদী হয়ে কামালসহ তার ছয় স্বজনের নাম উল্লেখ করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই বছর ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
যৌতুকের দাবিতে ডাক্তার স্ত্রীর করা মামলায় ডাক্তার স্বামী গ্রেপ্তার
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর করা মামলায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক মেডিকেল অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গৌরনদী থানায় তার স্ত্রী যৌতুক ও তাকে মারধরের অভিযোগ জানিয়ে মামলা করলে রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ডাক্তারের নাম টিপু সুলতান (৩২) এবং তার স্ত্রীর নাম মিলাদুজ্জামান ইরা (২৮)।
বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, মামলার বাদী ডাক্তার মিলাদুজ্জামান ইরা ও মামলার আসামি ডাক্তার টিপু সুলতান উভয়েই গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া গ্রামের মো. বাদশা ফকিরের ছেলে ডা. টিপু সুলতানের সঙ্গে বিয়ে হয় কুমিল্লা দক্ষিণ সদর উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের আ. আলিমের মেয়ে ডা. মিলাদুজ্জাহান ইরার সঙ্গে।
তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী ডা. টিপু সুলতান তাকে প্রায়ই মারধর করতো এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতো। নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার রাতে তিনি যৌতুকের জন্য মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে গৌরনদী থানায় ডা. টিপু সুলতান ও তার বাবা বাদশা ফকিরকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই পুলিশ ডা. টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে যুবকের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
২ বছর আগে