শ্রীবরদী
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির মৃত্যু
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মোটরের লাইন সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি সাজু মিয়ার (২৮) মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের মধ্য লংগরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু
সাজু মিয়া ওই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে। তার স্ত্রীসহ একটি ছেলে রয়েছে।
স্থানীয় জানায়, স্থানীয় দিলু বেপারি বাজারে সাজু মিয়ার ওয়েল্ডিংয়ের দোকান আছে। বাড়ির পাশেই মোটরের লাইন সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
৩ মাস আগে
শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার পুটল গ্রামে পানিতে ডুবে রুমান মিয়া (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু
নিহত শিশু রুমান মিয়া ওই গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রুমান বাড়ির উঠানে খেলার সময় সবার অজান্তে রুমান বাড়ির পাশেই পুকুরে পানিতে পড়ে ডুবে যায়।
পরে তাকে পুকুরে পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৫ মাস আগে
বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ৩ জনকে হত্যা: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
শেরপুরে শ্রীবরদীতে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিন জনকে হত্যার ঘটনার দা-চাকুসহ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার খোশালপুর পুটল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মিন্টু মিয়া একই উপজেলার গেরামারা গ্রামের হাই উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষ, গেটম্যান গ্রেপ্তার
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইতোপূর্বে ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহৃত বোরকাটিও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে মিন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালিয়ে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ ছয় জনকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত অপর তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ বছর আগে
বোরকা পরে শ্বশুরবাড়িতে হামলা, স্ত্রীসহ নিহত ৩
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বৃহস্পতিবার বোরকা পরা এক ব্যক্তির শ্বশুড় বাড়িতে হামলা চালালে তিন জন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুতল গ্রামের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই গ্রামে মনু মিয়ার মেয়ে মনিরা বেগম (৪০), স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০) এবং মৃত নুর জামালের ছেলে মাহমুদ হাজী (৬৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী জানান, স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বোরকা পরে মিন্টু মিয়া শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায়। এই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন জনকে গলা কেটে এবং আরও তিন জনকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে মিন্টু মিয়া পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ১৩
গুরুতর আহত অপর তিন জনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এখনও অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি পুলিশ তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসপি নাহিদ।
২ বছর আগে
শেরপুরে পিকনিক থেকে ফেরার পথে ২ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১৩
শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৩ জন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শ্রীবরদী উপজেলার কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-পূর্ব খড়িয়াকাজির চর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবু তালেব এবং সেলিম মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম।
আহতরা শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পিকনিক থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রীবরদীর পূর্ব খড়িয়াকাজিরচর এলাকা থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী পিকআপ নিয়ে পিকনিকের উদ্দেশ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশে যায়। পিকনিক শেষে সন্ধ্যার দিকে গজনী অবকাশ থেকে ফিরে শ্রীবরদী বাজারে আসে। পরে বাজার থেকে একটি ট্রলি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজের কাছে গেলে ট্রলির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে পাশের খাদে সেটি উল্টে পড়ে। এতে সবাই গুরুতর আহত হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. আবুল হাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীবরদীর কলাকান্দা-দিয়ারচর এলাকার ব্রীজ এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর চারজনের অবস্থা খারাপ হওয়ার তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ট্রলিটির চালক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৩ যাত্রী নিহত
২ বছর আগে
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তের মালাকাকোচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের ভেতর স্থানীয় কৃষক আমীর আলীর বাড়ির চারপাশে পাতা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। হাতির মৃত্যুর পর ওই কৃষক হাতির শরীর থেকে বিদ্যুতের তার খুলে ফেলেন বলেও জানান তারা।
খবর পেয়ে বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাতির প্রাথমিক সুরতহাল পরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। তবে চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
৩ বছর আগে
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে আবারও বন্য হাতির আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের ফসল পাকতে শুরু করতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে হানা দিচ্ছে আবাদী জমিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির দল খেয়ে সাবাড় করছে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে খেতের আধপাকা ধান, সীম-বরবটি, করলাসহ নানা ধরনের সবজীর আবাদ।
মূলত: খাবারের সন্ধানেই বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতি তাড়াতে রাত জেগে জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করছেন সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা। এতে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ের প্রায় ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের চারপাশ ঘিরে গারো পাহাড়। কয়েকদিন যাবত ভারত থেকে নেমে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ওইসব এলাকায় বিচরণ করছে। বন্য হাতির দল সারাদিন পাহাড়ি ঝোপ-জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালাচ্ছে বাড়ি-ঘরে। খেয়ে সাবাড় করছে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ। পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। আর ধ্বংস করছে সবজি খেত। বাধা দিতে গেলে শুরু হয় হাতি ও মানুষের যুদ্ধ। ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির তান্ডব। এখন ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাতির আতঙ্কে দিন পার করছেন।
৩১ অক্টোবর রবিবার সরেজমিনে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় গারো কৃষক ব্রতীন মারাকের সাথে। তিনি জানান, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। এখানকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বন্য হাতি খেতের সবজি আর ধান খেয়ে সাবাড় করছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি-ঘরেও হামলা করছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথকভাবে অনেকে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
আর পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
নেয়াবাড়ির টিলা ও পার্শ্ববর্তী মালাকোচা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহুল আমীন, মজনু মিয়া, আলাল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাহাড়ের বাসিন্দা। ধান আর সবজি চাষ করি। এসব ফসলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলে। প্রতিবছরই ধান পাকলেই হাতি আসে। সবজি আর ধানক্ষেত খাইয়া যায়। অনেক ক্ষতি করতাছে। এইবারও অনেক ক্ষতি করছে। এখন বউ পোলাপান নিয়া ক্যামনে চলমু, চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কোহিনুর হোসেন বলেন, আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, জানতে পেরেছি, এই পাহাড়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণ চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শত শত। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। বন্যহাতির তান্ডব থেকে মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ দরকার।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য দিন দিন বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, আমরা বন্য হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ঘরবাড়িসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাছাড়া বন্যহাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর মাঝে কেরোসিন তেল ও জেনারেটর চালাতে ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে বন্য হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জোরালো হস্তক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বনবিভাগের শেরপুরের এসিএসফ (সহকারি বন সংরক্ষক) ড. প্রাণতোষ চন্দ্র রায় বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব নিরসনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে আসা বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে কিভাবে তাদেরকে ফের বনে ফেরত পাঠানো যায়। বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে হাতির খাবার উপযোগী বনবাগান সৃষ্টিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে না আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নিহত ৩ পরিবার পাবে একলাখ টাকা করে
৩ বছর আগে
জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
শেরপুরের শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেছে পাহাড়ি জনপদে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। এর পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে তারা।
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)-এর উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই দাবি করে। বেলা ১১থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর নেতারা সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন।
১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীবরদীর বন বিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের সবজির আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে ফেলেন। এতে ৫টি পরিবারের কয়েক লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) শ্রীবরদী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন ম্রং, বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনু নকরেক, বাগাছাস ঝিনাইগাতী শাখার সভাপতি অনিক চিরান, সহ-সভাপতি সৌহার্দ্য চিরান, বাগাছাস বকশিগঞ্জ শাখার সভাপতি রাহুল রাকসামসহ স্থানীয় নেতারা। এছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ঝিনাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি নবেশ খকসী, সাধারণ সম্পাদক অসীম ম্রং, আদিবাসী নেতা ব্রত্যিন মারাক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদিবাসীদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রেই এই ন্যাক্কারজনক কাজ করা হয়েছে। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেইসাথে এহেন কাজের সাথে যুক্ত বন বিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের অপসারণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বাগাছাস শ্রীবরদী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন ম্রং বলেন, যুগ যুগ ধরে আদিবাসীদের দখলে থাকা ঐতিহ্যগত ভূমিতে চাস করা ফলজ ও সবজি বাগান ধ্বংসকারী বনবিভাগের অসৎ দুষ্কৃতিকারী ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ তিনি যে কাজ করেছে, তা খুবই গর্হিত এবং অন্যায়। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বন থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া কখনও সফল হবে না। প্রয়োজনে এজন্য বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঝিনাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি নবেশ খকসী বলেন, আমরা আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বনাঞ্চলে বসবাস করে আসছি। আমরা এ জঙ্গলের মানুষ। এ জঙ্গলেই থাকবো। আমরা যে যেখানে আছি, সেখানেই থাকবো। কিন্তু বনবিভাগের কিছু কর্মকর্তা নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য বনাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীদের হয়রানি করছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বনবিভাগের হয়রানি থেকে বাঁচতে চাই। যারা এ ধরনের অপচেষ্টা করছে, এরপর থেকে তাদের প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে আমরা সকল জাতিগোষ্ঠী মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের আবাস ভূমিকে রক্ষা করবো।
শ্রীবরদীর সীমান্ত এলাকা রানীশিমুল ও সিংগাবরনা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকাজুড়ে গারো পাহাড়। এখানে ব্রিটিশ আমল থেকে বসবাস করে আসছে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর গারো, কোচ, হাজং, বানাইসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন। আগে তারা পহাড়ি টিলায় জুম চাষ করত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে জুম চাষ। এখন একমাত্র আয়ের উৎস কৃষি আবাদ।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
৩ বছর আগে
শেরপুরে বজ্রপাতে কিশোরসহ নিহত ৪
শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার জন। বুধবার দুপুরে ভারী বর্ষণের সময় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শ্রীবরদীর গোসাইপুর, ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা (ইছামারি) এবং নকলার লাভা গ্রামে পৃথক এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৪০), নকলার বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষক আজিজুল হক (৩৫), ঝিনাইগাতির পাইকুড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আরমান মিয়া (১২) এবং ওই উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কিশোর রাসেল (১৪)।
আহতরা হলেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪) ও ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) এবং নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমায়ুন ওরফে ফকির।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে রোপা-আমনের খেতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে মোস্তফা মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আবু সাঈদ ও বদু মিয়া আহত হন। এর মধ্যে বদু মিয়া শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং আবু সাঈদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে নকলার লাভা গ্রামেও রোপা-আমনের খেতে কাজ করার সময় কৃষক আজিজুল হক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন বাবু মিয়া ও হুমায়ুন।
একই সময়ে শ্রীবরদীর গোসাইপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আরমান রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া এদিন ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে বজ্রপাতে কিশোর রাসেল মারা যায়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়
৩ বছর আগে
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ ভাই নিহত
জেলার শ্রীবরদীতে পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজমিস্ত্রি দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে