শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কিশোরসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার জন। বুধবার দুপুরে ভারী বর্ষণের সময় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শ্রীবরদীর গোসাইপুর, ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা (ইছামারি) এবং নকলার লাভা গ্রামে পৃথক এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোস্তফা মিয়া (৪০), নকলার বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষক আজিজুল হক (৩৫), ঝিনাইগাতির পাইকুড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আরমান মিয়া (১২) এবং ওই উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কিশোর রাসেল (১৪)।
আহতরা হলেন, কৃষ্ণপুর গ্রামের জোসনা আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৪) ও ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫) এবং নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে হুমায়ুন ওরফে ফকির।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে রোপা-আমনের খেতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে মোস্তফা মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় আবু সাঈদ ও বদু মিয়া আহত হন। এর মধ্যে বদু মিয়া শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং আবু সাঈদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে নকলার লাভা গ্রামেও রোপা-আমনের খেতে কাজ করার সময় কৃষক আজিজুল হক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন বাবু মিয়া ও হুমায়ুন।
একই সময়ে শ্রীবরদীর গোসাইপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আরমান রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
এছাড়া এদিন ঝিনাইগাতির মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের ইছামারি গ্রামে বজ্রপাতে কিশোর রাসেল মারা যায়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের সময় করণীয়