প্রবল বর্ষণ
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ক্রান্তীয় ঝড় নালগা দক্ষিণ ফিলিপাইনে আঘাত হানার ফলে প্রবল বর্ষণের কারণে হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৯জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে রাতারাতি আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। যার ফলে মিন্দানাও দ্বীপের তিন লাখ মানুষ বাসকারী শহর কোটাবাটো ও এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম স্বায়ত্তশাসিত মিন্দানাও এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি বলেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহর।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
সিনারিম্বো টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘রাতারাতি বৃষ্টির পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি হতাহতের সংখ্যা আর বাড়বে না। তবে এখনও কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
সিনারিম্বো বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা কমতে শুরু করেছে।
সিনারিম্বো আরও বলেছেন মেয়র, গভর্নর ও দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মিন্দানাওয়ের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় শহর দাতু ওডিন সিনসুয়াত ও দাতু ব্লা সিনসুয়াতে ২৬জন ডুবে মারা যায় এবং বাকি পাঁচজন মাগুইন্দানাওতের উপি শহরে মারা যায়।
সিনারিম্বো বলেন, নিচু গ্রামগুলোতে বন্যার পানি দ্রুত বেড়েছে, কিছু গ্রামবাসী বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনা সৈন্য, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা যেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সিনারিম্বো আরও বলেছেন, কোটাবাটো শহরের মতো অনেক এলাকা, যেগুলোতে অনেক বছর ধরে বন্যা হয়নি, সেগুলোও রাতারাতি জলাবদ্ধ হয়ে গেছে।
মিন্দানাওয়ের একটি বন্যা কবলিত শহরের কথা উল্লেখ করে দেশটির দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ ইমাম বলেন, ‘উপির একটি এলাকায় বন্যার পানির ওপরে শুধুমাত্র একটি স্কুলের ছাদ দেখা যায়।’
চলতি বছর ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ১৬ তম ঝড় নালগাই।
ম্যানিলার প্রাদেশিক আবহাওয়া অফিস বলেছে যে এই ঝড়- বৃষ্টির কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগে। যা উত্তর ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী স্যাম ডুরান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ন্যালগের কারণে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সুরক্ষিতভাবে ঝড়ের কবল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফিয়ারিক, জিওফিজিক্যাল এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ন্যালগে (স্থানীয়ভাবে পায়েং নামে পরিচিত) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে এবং সম্ভবত বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস বইতে পারে।
ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। অর্থাৎ এটি প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশ বরাবর এমন একটি অঞ্চল, যেখানে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প ঘটে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ভারতে প্রবল বর্ষণে নিহত ১৬
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৬ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির একটি পবিত্র হিন্দু মন্দিরের বেস ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী তাঁবু ভেসে যায়।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের (এনডিআরএফ) প্রধান অতুল কারওয়াল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘১৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ভূমিধস নেই। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। তবে উদ্ধার কাজে কোনো সমস্যা হয়নি।’
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪৭
তিনি বলেন, ১০০ জনের চারটি এনডিআরএফ টিম উদ্ধার কাজে নিয়োজিত। ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীও দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রবল বর্ষণে প্রাণহানির ঘটনায় টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
‘শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা।’
আরও পড়ুন: ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৬
মোদি লেখেন, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রতি বছর হাজারো হিন্দু বার্ষিক তীর্থযাত্রার অংশ হিসেবে পবিত্র মন্দিরটি পরিদর্শন করেন।
২ বছর আগে
ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
ব্রাজিলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে।
স্থানীয় সিভিল ডিফেন্সের মতে, বৃষ্টিতে উত্তর-পূর্ব পার্নামবুকো রাজ্যের রাজধানী রেসিফ শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ৩৫ জন মারা গেছেন এবং প্রায় এক হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
বৃষ্টিতে আলাগোয়াস রাজ্যে দুজন নিহত হয়েছে। এছাড়া চার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুধু শনিবারই রেসিফে ভূমিধসে ২০ জন নিহত হন। এর নিকটবর্তী শহর ক্যামারাগিবেতে আরেকটি ভূমিধসে ছয় জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৮, নিখোঁজ ১৩
পার্নামবুকো ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট এজেন্সি দেয়া তথ্যানুসারে, রেসিফে শনিবার ১৫০ মিলিমিটার ও ক্যামারাগিবে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২ বছর আগে
চীনে প্রবল বর্ষণে নিহত ১৫, নিখোঁজ ৩
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া উপিং কাউন্টির তথ্য অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চীনের পূর্ব উপকূলের কাছে ফুজিয়ান প্রদেশে ভূমিধসে দুটি ভবন ধসে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাষ্ট্রপরিচালিত টেলিভিশন সিসিটিভি একটি অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের প্রায় এক হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৫০ মাইল) দূরে ইউনান প্রদেশে আরও পাঁচজন মারা গেছে এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
গুয়াংজি অঞ্চলের জিনচেং কাউন্টিতে শুক্রবার বন্যার পানিতে তিন শিশু ভেসে গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন মারা গেছে এবং একজন বেঁচে গেছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভবনধসে নিহত বেড়ে ৫৩
বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ে ইউনানের কুইবেই কাউন্টির রাস্তা, সেতু, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুইবেই ভিয়েতনাম সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার (৮০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
সিনহুয়া জানিয়েছে, ফুজিয়ানে, শুক্রবার একটি ধসে পড়া কারখানার ভবনে পাঁচজন এবং অন্য তিনজনকে একটি ধসে পড়া আবাসিক ভবনে পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপকূলীয় শহর জিয়ামেন থেকে প্রায় ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) অভ্যন্তরীণে ওউপিং কাউন্টিতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং কিছু রাস্তা আংশিকভাবে ভেসে গেছে।
রাষ্ট্রপরিচালিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং কাউন্টির ৩৯টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ
প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।
যমুনার তীরবর্তী জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের অসহায় মানুষের দুঃখ দূর্দশা বাড়ছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উজানের ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল। এসব অঞ্চলের অনেক কাঁচা ও পাকা সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আঁখ, আউশ রোপা, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল। নিম্নাঞ্চলের শত শত পরিবার স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ও নিচ্ছে এবং তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
৩ বছর আগে
প্রবল বর্ষণে ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে ২০ চাতাল
কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে ঝিনাইদহের নিম্নাঞ্চলুগলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকার ফলে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের ত্রিমোহনি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০ চাতাল ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
একই সাথে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকর ও চাতালে মালিক-শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
এদিকে, প্রায় দুই মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে চাল উৎপাদন কার্যক্রম। এতে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাতাল মালিকরা। এ অবস্থায় বেকার হয়ে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন চাতালগুলোতে কর্মরত প্রায় দুই শতাধীক শ্রমিক। এছাড়া সাধুহাটি ও সগান্না ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষার পানি নিষ্কাণের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা ফসলের ক্ষতি হবার আশঙ্কা করছেন।
শনিবার সরেজমিনে ত্রিমোহনি চাতাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার চাতালগুলোর পাশে একটি বিল ছিল। এই বিল দিয়ে এসব নিচু এলাকার পানি নিষ্কাষণ হত। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে শুকনো মৌসুমে এই বিল এলাকায় পুকুর খনন করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। যার ফলে পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে কয়েকদফা বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
চাতাল শ্রমিক আবু তালেব জানান, চাতালে কাজ করে সংসার চলে। কিন্তু বৃষ্টিতে পানি জমে প্রায় দুই মাস চাতাল বন্ধ রয়েছে। ফলে রোজগার না থাকায় কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। কখনও কখনও তিন বেলাও খাবার জুটছে না।
জলাবদ্ধতার শিকার একটি বাড়ির মালিক ইমান আলী বলেন, ‘পাশেই পুকুর কেটে বাধ দেয়ার ফলে বৃষ্টিতে এখানে পানি জমে গেছে। এই পানি বের হতে না পেরে আমাদের ঘরে ঢুকছে। খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনও কাজ হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণীরা এখন কৃষাণী
চাতাল মালিক ও ডাকবাংলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন ভান্ডারী বলেন, ‘আমাদের চাতালের পাশে প্রভাবশালীরা পুকুর খনন করায় চাতাল এলাকার পানি বের হচ্ছে না। এখন পানি নিষ্কাষণ না হওয়াই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কিছু বসত-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
তিনি জানান, প্রায় ২০টি চাতাল ক্ষতিগ্রস্থ, উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকার ফলে কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পরে অটো রাইস মিলের ভেতরেও পানি উঠে যাবে। ফলে আরও কয়েক কোটি টাকা লোকসানের ঝুঁকি বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যনদের নিয়ে তিনি এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
৩ বছর আগে
ঝালকাঠিতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ি-ঘর প্লাবিত
ঝালকাঠির বিষখালী-সুগন্ধা ও গাবখান নদীর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট বৃদ্ধি ও প্রবল বর্ষণে গত তিনদিন ধরে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
৪ বছর আগে