এতে এসব এলাকার শত শত পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। পানের বরজ, কৃষির ব্যাপক ক্ষতিসহ আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে গ্রামের সংযোগ সড়ক বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষখালী নদীতে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমুয়া হাসপাতাল সংলগ্ন সানু সিকদারের বাড়ির সামনে থেকে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝালকাঠি শহরের নিম্নাঞ্চল, নলছিটি ও রাজাপুরের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ এবং বিষখালী নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের মৎস্য, পরিসংখ্যান, যুব উন্নয়ন, সমবায়, আনসার বিডিপি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও ডরমেটির ভবনগুলোর অফিসকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে।
এছাড়া, উপজেলা পরিষদের ভবনের সামনের রাস্তা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ বাড়ির আঙ্গিনায় ও রান্নার চুলায় পানি ঢুকে পরায় শত শত পরিবার রান্না করতে পারছেন না। গবাদি পশুর ঘর ও গোখাদ্য পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকেই পার্শ্ববর্তী উচু জায়গায় গবাদি পশু সরিয়ে নিয়েছেন। পানি বেড়ে যাওয়ায় এলাকার পোল্ট্রি খামারিরাও মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।