ভিয়েতনাম
অতীতের ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ভিয়েতনামের
আজ ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ভিয়েতনাম যুদ্ধ অবসানের সুবর্ণজয়ন্তী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ৫০ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দিনটি পালন করে ভিয়েতনাম সরকার। এ সময় অতীতের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দেশটির নেতারা।
১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান হয়। ওই দিন তখনকার মার্কিন মদতপুষ্ট দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গন দখল করে উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বাহিনী। রাজধানী দখলের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান হয়। পরের বছর উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামকে একীভূত করা হয়।
যুদ্ধ অবসানের ৫০ বছর পূর্তিতে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো লাম বলেন, ‘এদেশের প্রতিটি মানুষ ভিয়েতনামের সন্তান। তাদের সবার এখানে বাস করার, কাজ করার, সুখ ও ভালোবাসা লাভের অধিকার রয়েছে।’
দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ঐক্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে অতীতকে পেছনে ফেলে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনামের শান্তি, ঐক্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো, সাধারণ জনগণ ও সেনাবাহিনী শপথ নিয়েছে এক হয়ে কাজ করার।’
আরও পড়ুন: কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘টাইট’দেওয়া যায়, তা বের করতেই ভিয়েতনামে শি: ট্রাম্প
এ সময় কুচকাওয়াজ দেখতে আসা এক ভিয়েতনামিজ জানান, ‘এখন আমাদের শান্তির সময়, আসলে সারা বিশ্বেরই চাওয়া এটি।’
কুচকাওয়াজে ভিয়েতনামের সেনাদের সাথে অংশ নেয় চীন, লাওস ও কম্বোডিয়ার সেনারা। ভিয়েতনামের কিছু সৈনিক আবার যুদ্ধ চলাকালীন সাবেক উত্তর ভিয়েতনামের সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরেছেন।
এবারই প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানে অংশ নিলে চীনা সেনারা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভিয়েতনাম সফরের পর এই পদক্ষেপকে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, কুচকাওয়াজের সময় দেশটির পতাকাবাহী একটি হেলিকপ্টার ইন্ডিপেনডেন্স প্যালেসের সামনে দিয়ে উড়ে যায়, এ জায়গাটিতে যুদ্ধের দেশ দিকে একটি ট্যাংক নিয়ে গেট ভেঙে প্রবেশ করেছিলেন উত্তর ভিয়েতনামের সেনারা।
লাম বলেন, স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ ৩০ বছরের যুদ্ধ শেষে সাইগনের পতন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে জয়লাভ ছিলো একটি ‘গৌরবময় মাইলফলক’।
রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েতি ইউনিয়ন), চীন, লাওস ও কম্বোডিয়ার আন্তরিক সহায়তা ও সমর্থনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রগতিশীল কিছু দেশের কারণেই বর্তমান ভিয়েতনাম গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের ইউসোফ ইসহাক ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক নগুয়ান খাক গিয়াং বলেন, ‘সামরিক বিজয়ের বিজয়ের পরিবর্তে বর্তমানে সম্প্রীতির দিকে জোর দিচ্ছে ভিয়েতনাম।’ তবে দেশটিতে এখনো সম্প্রীতি পুরোপুরি তৈরি হয়নি বলেন মনে করেন তিনি।
যুদ্ধ-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট-ভিয়েতনাম সম্পর্ক
এ বছর যুদ্ধ অবসানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৩০ বছর পূর্তি পালন করছে দেশটি। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যেমন কৌশলগত অংশীদারত্বের সম্পর্ক; এই ৩০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সেই পর্যায়ে নিয়ে গেছে ভিয়েতনাম।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ‘এজেন্ট ওরেঞ্জ দূষণ ও গ্রামাঞ্চলে এখনও বিস্ফোরণযোগ্য যুদ্ধসামগ্রী রয়ে যাওয়ার মতো যুদ্ধ পরবর্তী সমস্যাগুলো সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার ওপর ভিত্তি করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী ভয়াবহ রাসায়নিক এজেন্ট অরেঞ্জ ছড়িয়ে দিয়েছিল। ‘অপারেশন র্যাঞ্চ হ্যান্ড’ নামের ওই অভিযানে ভিয়েতনামের ৪৫ লাখ একর জমিতে এই বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপকে কেন্দ্র করে দেশদুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের দাতব্য সংস্থা ইউএসএইডের তহবিল কাটছাঁট করায় এজেন্ট অরেঞ্জ দূষণ মোকাবিলা করায় প্রকল্পগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
অতীতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্কের ভারসাম্য টিকিয়ে রেখে চলছিল দেশটি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কারোপের পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে সফর করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে আবার কিছুটা চটেছেন ট্রাম্প। দেশটির প্রশাসন কিভাবে এই পরিস্থিতি সামলে এগিয়ে যাবে সেটিই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ দিন আগে
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘টাইট’দেওয়া যায়, তা বের করতেই ভিয়েতনামে শি: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলে ‘টাইট’ দিতেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সফরের শুরুতে স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় পৌঁছান শি। হ্যানয়ের বৈঠক শেষেই এ সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রতিবেশী ৩টি দেশে সফর শুরু করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তথ্যমতে, শি তার সফরে ১৪ থেকে ১৫ এপ্রিল ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় যাবেন এবং ১৫ থেকে ১৮ এপ্রিল কম্বোডিয়ায় যাবেন।
এমন একটি সময় শি এই সফর শুরু করেছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কারোপ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়াও ট্রাম্পের শুল্কারোপে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সফরের প্রথমদিনে ভিয়েতনামের শীর্ষ নেতা তো লামের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণসহ দেশ দুটির মধ্যে সরবরাহ শৃঙ্খল মজবুত করতে বেশকিছু সমঝোতা স্মারক সই করেন শি ও লাম।
আরও পড়ুন: চীন বাদে সব দেশের ওপর মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত
এর পরপরই হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এই বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতির উদ্দেশেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘এখানে আমি চীনেরও দোষ দেখছি না, ভিয়েতনামেরও না। খুবই ভালো একটি বৈঠক হয়েছে, যেখানে আলোচনার বিষয় হলো—কীভাবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে টাইট দিতে পারি!’
বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় একটি সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে, চীনের মাথার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক। অন্যদিকে, ভিয়েতনামের ওপর রয়েছে ওয়াশিংটনের ৪৬ শতাংশ শুল্ক। যদিও সেটি ৯০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। তাই শঙ্কা এখনো কাটেনি। এককভাবে ভিয়েতনামের পণ্য রপ্তানির সবথেকে বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
এ কারণে শুল্ক কার্যকর হলে সেটি ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে নিশ্চিতভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। আবার চীনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হলে চীনেরও একটি বিকল্প বাজার দরকার। সে কারণে চীন এবার দক্ষিণ এশিয়ায় মনোযোগ দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের প্রেডিডেন্ট আগেই তার এই সফরের পরিকল্পনা করলেও কাকতালীয়ভাবে ট্রাম্পের শুল্কারোপের পর এই সফর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গণে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন অনেকে।
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব কমাতে দেশটির সঙ্গে আলোচনায় জোর দিয়েছে কোনো কোনো দেশ। চীন কিংবা কানাডার মতো কিছু দেশ আবার পাল্টা শুল্কও আরোপ করেছে।
এছাড়া, চীন নিজেদের একটি বিশ্বস্ত বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতি জোর দিয়েছেন শি জিনপিং।
ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক দলের পত্রিকা নিহানদানের একটি প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ‘এই বাণিজ্যযুদ্ধে আসলে কেউই জয়ী হবে না। এই সুরক্ষাবাদ (শুল্কারোপসহ নানাভাবে বিভিন্নদেশ থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করা) কোনোভাবেই সুফল বয়ে আনবে না।’
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের সঙ্গে বৈঠকের পর শি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই অন্যায় শুল্কারোপের বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। এ সময় রেলসহ বিভিন্ন খাতে মোট ৪৫টি চুক্তি সই করা হয়েছে বলে চিন ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। তবে চুক্তিগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।’
শুধু ভিয়েতনামই নয়; দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক দেশও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি না করতে পেরে নিজেদের পণ্যগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারে চীন। এই আশঙ্কা থেকেই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তাল মিলিয়ে আবার চীনকেও অখুশি না করে চলতে চাইছে দেশগুলো।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা বিশ্বের বৃহৎ দুটির অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক পুরোপুরি নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ‘দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। আবার সম্পর্ক টিকেও যেতে পারে। এছাড়া এক পর্যায়ে গিয়ে একটি বড় চুক্তি হতে পারে।’
কোনো চুক্তি হবে কিনা বা এই শুল্কারোপ আসলে কি ধরনের অবস্থা সৃষ্টি করবে; তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প ও তার কর্মকর্তারা আগেই নিশ্চিত করেছেন, ৯০ দিনের জন্য শুল্কের স্থগিতাদেশ সাময়িক।
নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘কোনো দেশই এখনো এই শুল্কের আওতাধীন না, চীন তো একদমই না। তারা আমাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে।’
১৮ দিন আগে
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে
ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
এতে বলা হয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সম্পাদিত জি টু জি চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-১) ভিয়েতনাম থেকে ১২ হাজার ৭০০ টন আতপ চাল নিয়ে এমভি এমডি সি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
ভিয়েতনাম থেকে জি টু জি ভিত্তিতে মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক ৬০ হাজার টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৬ দিন আগে
ভিয়েতনাম থেকে দেশে পৌঁছেছে ২৯ হাজার টন চাল
ভিয়েতনাম থেকে ২৯ হাজার টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে এভি ওবিই ডিনারেস জাহাজ।
শনিবার (২২ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিক্ষপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় তৃতীয় ধাপে আতপ চাল নিয়ে জাহাজটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অবৈধ মজুতের ২৩৮ টন ধান-চাল উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে ভিয়েতনামের সঙ্গে একটি জি টু জি চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। চুক্তির আওতায় মোট ১ লাখ টন চাল আমদানির কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুটি চালানে ৩০ হাজার ৩০০ টন চাল ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
৪২ দিন আগে
ভিয়েতনামের হা লং বে দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ: ঘুরে আসুন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের পাশাপাশি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মেলে এশিয়া ভ্রমণে। ভ্রমণবান্ধব এই মহাদেশে ভিন্ন সংস্কৃতির জনপদ যেমন রয়েছে,ঠিক তেমনি রয়েছে ঝর্ণাস্নাত শান্ত পাহাড়,প্রাণবন্ত রেইনফরেস্ট ও আদিম সৈকত। তবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ভিয়েতনামে এমন কিছু প্রাকৃতিক নিদর্শন রয়েছে,যা দেখার জন্য কেবল এই দেশেই বারবার ফিরে আসতে হবে। তারমধ্যে অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানটি হলো হা লং বে,আর বিশ্ব পরিব্রাজকদের এই জনপ্রিয় গন্তব্য নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন,বিস্তারিত ভ্রমণ বৃত্তান্তের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কোন বিষয়গুলো হা লং বে’কে অন্যান্য বিশ্ব পর্যটনকেন্দ্র থেকে আলাদা করেছে
হা লং বে দ্বীপপুঞ্জের ভৌগলিক অবস্থান
উত্তর-পূর্ব ভিয়েতনামের কোয়াং নিন প্রদেশে অবস্থিত হা লং বে। উপসাগরটি কোয়াং ইয়েন শহর থেকে শুরু হয়ে হা লং ও ক্যাম ফা শহর পেরিয়ে ভ্যান ডন জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ল্যান হা বে,উত্তরে হা লং শহর এবং পশ্চিমে বাই তু লং বে-এর সঙ্গে এর সীমান্ত।
১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখার এই উপসাগরের প্রায় ১,৫৫৩ বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে প্রায় ২ হাজার ছোট দ্বীপ রয়েছে।
আরো পড়ুন: ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
হা লং বে-এর বিশেষত্ব
উপসাগরটির বিশেষত্ব হলো এর নানান আকার-আকৃতির চুনাপাথরের কার্স্ট এবং ছোট দ্বীপগুলো। একে ঘিরে বিশাল অঞ্চলগুলোর প্রত্যেকটিরই ভূতাত্ত্বিক ও জলবায়ু সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলো একই রকম।
১৯৬২ সালে ভিয়েতনামের সংস্কৃতি,খেলাধুলা ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বে’টিকে একটি ‘বিখ্যাত জাতীয় ল্যান্ডস্কেপ স্মৃতিচিহ্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বিশ্ব জুড়ের শৈল্পিক মূল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অঞ্চলটি ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এছাড়া ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি হা লং বেকে তার স্বতন্ত্র ভূতাত্ত্বিক মূল্যের জন্য স্বীকৃতি দেয়।
২০১২ সালে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে উপসাগরটিকে প্রকৃতির নতুন ৭ আশ্চর্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
হা লং বে ভ্রমণে কি কি দেখবেন আশ্চর্য কয়েকটি গুহা
এখানকার রহস্যময় গুহাগুলোর বর্তমান আকৃতি পেতে লেগেছে লাখ লাখ বছর। দানবীয় আকার ছাড়াও,গুহাগুলোর প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে স্ট্যালাগ্মাইট এবং স্ট্যালাক্টাইট।
স্ট্যালাক্টাইট বা উষ্ণ প্রস্রবণ হলো এক ধরনের খনিজ গঠন, যা গুহার ছাদ থেকে বরফের মতো জমাট বেঁধে ঝুলে থাকে। মূলত গুহার চুনাপাথরের ছাদ থেকে পানি ঝরার সময় চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে এগুলো তৈরি হয়।
অপরদিকে,স্ট্যালাগ্মাইটও একই ধরণের খনিজ গঠন;পার্থক্য শুধু এই যে,এই শিলাকৃতির গঠনগুলো গুহার মেঝে থেকে উর্ধ্বমুখী হয়ে বৃদ্ধি পায়। অনেকটা সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলের মতো;তবে দেখতে বরফাকৃতির।
শুধুমাত্র এই খনিজ গঠনগুলো কাছ থেকে দেখার জন্যই এখানে ভিড় করেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পর্যটক।
তন্মধ্যে,রঙিন স্ট্যালাক্টাইট দেখা যায় থিয়েন কুং গুহায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় অত্যাশ্চর্য নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে সুং সট এবং ডাউ গো গ্রোটো গুহা দুটি। কায়াকিংয়ের জন্য উৎকৃষ্ট হচ্ছে লুওন গুহা। গুহার একদম ভেতর থেকে সূর্যালোক দেখতে যেতে হবে ত্রিন নু গুহায়। মেজ কেভ সত্যিই দর্শনার্থীদের গোলক ধাঁধায় ফেলে দেয়। সেই সঙ্গে গুহার দেয়ালে আলোর প্রতিফলনের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ পর্যটকদের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে খেলা করে|
আরো পড়ুন: নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৬৮ দিন আগে
ভিয়েতনাম ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভ্রমণ নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দিতে পারে স্বস্তি ও মুক্তি। এশিয়ার মধ্যে আছে এমন কিছু ভ্রমণ গন্তব্য আছে যা সাধ্যের মধ্যে আপনাকে দিতে পারে অনন্য এক অভিজ্ঞতা। পাহাড়, সমুদ্র আর ঐতিহাসিক নিদর্শনের এক অপূব সমন্বয় ভিয়েতনাম। নিরাপদ ও সুন্দর এই দেশটিতে রয়েছে জনপ্রিয় সব দর্শনীয় স্থান। চলুন, এই ভ্রমণ নিবন্ধে ভিয়েতনাম ঘুরতে যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভিয়েতনামের ভৌগলিক অবস্থান
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ৩ লাখ ৩১ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি দেশ ভিয়েতনাম। এর উত্তরে চীন এবং পশ্চিমে লাওস ও কম্বোডিয়ার স্থল সীমানা। আর সামুদ্রিক সীমানা ভাগ হয়েছে থাইল্যান্ডের উপসাগরের মধ্যে দিয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যে দিয়ে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে।
ভিয়েতনামের নামকরণের ইতিহাস
সর্বপ্রথম ২য় শতাব্দীতে ‘ন্যানিউ’ বা ‘নাম ভিয়েত’ শব্দের নিদর্শন পাওয়া যায়, যেটি মূলত বর্তমান ‘ভিয়েতনাম’ শব্দেরই উল্টো রূপ। এর মধ্যে ‘ভিয়েত’ শব্দটি প্রাচীন মধ্য চীনা ভাষার, যা সর্বপ্রথম দেখা যায় একটি কুঠারে শিলালিপি আকারে। কুঠারটি ছিল ১ হাজার ২০০ খ্রিস্টপূর্বে শ্যাঙ রাজবংশের শেষ দিকে ওরাকল নামের বিশেষ হাড় এবং ব্রোঞ্জের অংশ।
খ্রিস্টপূর্ব ৭ম এবং ৪র্থ শতাব্দীর মধ্যে নিচু ইয়াংজি অববাহিকার ইউ রাজ্য ও এর জনগণকে বোঝানো হতো ‘ইউ’ বা ‘ভিয়েত’ শব্দ দিয়ে। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী থেকে এই একই শব্দ ব্যবহার করা হয় দক্ষিণ চীন এবং উত্তর ভিয়েতনামের অ-চীনা জনগোষ্ঠীকে বোঝাতে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায়, জনপ্রিয় স্থান ও খরচ
১৭ এবং ১৮ শতকের মাঝামাছি সময়ে শিক্ষিত ভিয়েতনামিরা নিজেদেরকে প্রকাশ করতো ‘নোই ভিয়েত’ (ভিয়েত জনগণ) বা ‘নোই নাম’ (দক্ষিণের জনগণ) বলে।
‘ভিয়েত’-এর পরে ‘নাম’ শব্দটির উপস্থাপন সর্বপ্রথম দেখা যায় ১৬ শতকের কবিতা স্যাম ত্র্যাঙ তৃণ-এ। এছাড়া ১৬ ও ১৭ শতকে ১২টি পাথুরে স্তম্ভেও খোদাই করা অবস্থায় পাওয়া যায় ‘ভিয়েতনাম’ শব্দটি।
১৯ শতকের শুরুর দিকে নুইয়েন রাজবংশের রাজা গিয়া লং ‘আনাম’ নামের রাজ্য দখল করেন। তিনি ‘আনাম’-এর নাম বদলে ‘ভিয়েত’ বা ‘ন্যানিউ’ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিং রাজবংশের সম্রাট জিয়াকিং তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। কারণ নামটি কিং সাম্রাজ্যের সেনাপ্রধান ঝাও তুওর এলাকা ‘ন্যানিউ’ নামটির সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। এছাড়া এই ন্যানিউয়ের মধ্যে দক্ষিণ চীনের জায়গা গুয়াঞ্জি এবং গুয়াংডংও ছিল। পরবর্তীতে সম্রাট জিয়াংকিং অঞ্চলটির জন্য সেই ‘ভিয়েতনাম’ শব্দটি পছন্দ করেন।
১৮০৪ এবং ১৮১৩ সালের মধ্যে সম্রাট গিয়া লং ‘ভিয়েতনাম’ নামটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করেন। নামটির পুনর্ব্যবহার হয়েছিল ২০ শতকের গোড়ার দিকে ফ্যান বই চোউয়ের ‘ভিয়েতনামের ক্ষতির ইতিহাস’ বইতে। পরে ভিয়েতনামের জাতীয়তাবাদী দল বেশ জোরেসোরে নামটির প্রচারণা চালায়।
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
এরপরেও ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ‘আনাম’ নামেই পরিচিত ছিল অঞ্চলটি। অতঃপর বর্তমান ভিয়েতনামের উত্তর মধ্য উপকূলীয় সাম্রাজ্য হুয়ে সরকার এই অঞ্চলের জন্য ‘ভিয়েতনাম’ নামকে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই নামটিই অপরিবর্তিত হয়ে আছে।
৩৫০ দিন আগে
৫০ বছরের সম্পর্কে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যা করেছে
২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫: রাষ্ট্রপতি হো চি মিন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ভিয়েতনামকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। ১৯৫৪ সালে জেনেভা চুক্তি সই হওয়ার পর, ভিয়েতনাম সাময়িকভাবে দু’টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়।
২০ ডিসেম্বর, ১৯৬০: দক্ষিণ ভিয়েতনাম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট একটি দ্বৈত কার্য সম্পাদন করে। দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের বিপক্ষে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে ভিয়েতনামের দক্ষিণের স্বাধীনতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য একটি জাতীয় যুক্ত ফ্রন্ট এবং একটি বিপ্লবী প্রশাসন হিসাবে গঠন করেছিল।
৬ জুন ১৯৬৯: দক্ষিণ ভিয়েতনামের ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টকে একটি আনুষ্ঠানিক সরকারি কাঠামো প্রদান এবং দক্ষিণের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২৬ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৯৭২:
এপ্রিল মাস: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে।
- ২৫ নভেম্বর: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
১৯৭৩:
- জানুয়ারি: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান প্যারিস শান্তি চুক্তি সইয়ের জন্য গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম ভান ডাংকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
- ১১ ফেব্রুয়ারি: ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
মে:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেছেন।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম এবং ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব সাউথ ভিয়েতনামের ওয়ার্ল্ড পিস প্রোটেকশন কমিটির দু’টি প্রতিনিধিদল ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সফর করেন।
- ২৬ জুলাই: বাংলাদেশ দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৯৭৪:
- ১৮ ফেব্রুয়ারি: ঢাকায় দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের দূতাবাস খোলা হয়।
(১৯৭৬ সালে ভিয়েতনামের পুনর্মিলনের পর এটি ঢাকায় ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে পরিণত হয়)।
- অক্টোবর: দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের পরামর্শদাতা পরিষদের চেয়ারম্যান নগুয়েন হু থু বাংলাদেশে একটি সরকারি সফর করেছেন।
১৯৭৭:
ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- সেপ্টেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্র বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
১৯৭৮:
মে: বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
১৯৭৭:
- জুলাই: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম সফর করেছে।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ভিয়েতনাম সফর করেন।
- ডিসেম্বর: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশ সফর করেন।
জুলাই: ঢাকায় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের দূতাবাস আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হো চি মিন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম
১৯৯৩:
- দুই দেশ ‘বিমান সেবা চুক্তি’ সই করেছে।
- নভেম্বর: হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা হয়।
১৯৯৪:
- মে: ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- দুই দেশ ‘দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরামর্শ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক’ এবং অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহযোগিতার চুক্তি সিই করেছে৷
১৯৯৬:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বাণিজ্য চুক্তি’ সই করেছে।
১৯৯৭:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘সাংস্কৃতিক চুক্তি,’ ‘অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠার চুক্তি,’ ‘ভিয়েতনাম সংবাদ সংস্থা (ভিএনএ) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) এর মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে। এছাড়াও ‘ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি ’সই হয়।
১৯৯৯:
- মে: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- দুই দেশ ‘পানি সম্পদ উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার চুক্তি’ এবং ‘কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়ের চুক্তিতে সই করেছে।’
২০০০:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল $23.7 মিলিয়ন।
মার্চ: ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- জানুয়ারি: ঢাকায় ভিয়েতনামের দূতাবাস পুনরায় চালু করা হয়।
- জুলাই: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৪:
মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দ্যক লুং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।
- দুই দেশ ‘কৃষিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’ এবং ‘দ্বৈত কর এড়ানোর চুক্তি’ সই করেছে।
- জুলাই: বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০০৫:
- মে: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
- দুই দেশ ‘বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি’ সই করেছে৷
২০০৬:
- ফেব্রুয়ারি: অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের প্রথম সভা হ্যানয়েতে অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৮:
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৬৪ দশমিক ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০০৯:
- মে: বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- নভেম্বর: ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ভিয়েতনাম সফর করে।
২০১১:
- এপ্রিল: বাংলাদেশের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
- মে: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল জলজ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করতে ভিয়েতনাম সফর করে।
- জুন: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল প্রাণিসম্পদ চাষে সহযোগিতার বিষয়ে মত বিনিময়ের জন্য ভিয়েতনাম সফর করে।
- অক্টোবর: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১২:
- সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী হ্যানয়েতে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভিয়েতনামের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- নভেম্বর: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি সরকারি সফর করেন।
২০১৩:
- এপ্রিল: ঢাকায় অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত যৌথ কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন উপমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
২০১৫:
- মার্চ: ঢাকায় যৌথ বাণিজ্য উপ-কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
- আগস্ট: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, আবদুল হামিদ, ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
২০১৬:
- মার্চ: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ভিয়েতনাম সফর করেন।
২০১৭:
- এপ্রিল: ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভাইস চেয়ারওম্যান টং থো ফং ঢাকায় ১৩৬তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলিতে যোগ দেন এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্ট স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।
- জুলাই: বাংলাদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়েতনাম সফর করেন।
- আগস্ট: ঢাকায় প্রথম বিদেশি কার্যালয় পরমর্শ অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮:
- মার্চ: ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কোয়াং বাংলাদেশে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৮১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৯:
- জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেন।
- ডিসেম্বর: জয়েন্ট ট্রেড সাব-কমিটির দ্বিতীয় সভা হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২০:
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল ৭৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০২১:
- সেপ্টেম্বর: নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৩৫ বিলিয়ন।
২০২২:
- জানুয়ারি: ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথন হয়।
- আগস্ট: কম্বোডিয়ার নমপেনে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে অংশগ্রহণের সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
- ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য লেনদেন ছিল এক দশমিক ৪৭ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের আলোচনা হয়েছে: এমএফসি
৮১৩ দিন আগে
সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
চায়ের দেশ সিলেট ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সর্ম্পক উন্নয়নের আগ্রহী দেশটি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে ঢাকাস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সিলেট তথা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সর্ম্পক সূদৃড় করা, সিলেটের ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের মানোন্নয়ন ও বাজার বৃদ্ধিতে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় পর্যটন, তথ্প্রযুক্তি, নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন সহ আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এক সাথে কাজ করার বিষয়েও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর ফয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান,কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, মেয়রের সহকারি একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাৎ থান সায়েম এবং ঢাকাস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
৮৯৮ দিন আগে
ভিয়েতনামে কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৩২
ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলে একটি কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বিন দুং প্রদেশের থুয়ান আন শহরের বহুতল ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এসময় কয়েকজন কর্মচারী এবং গ্রাহক ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরের দিন আবার আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মাঝে বাণিজ্য বৃদ্ধি চান প্রধানমন্ত্রী
ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে অন্তত একটি কারাওকে রুম এবং একটি স্টোরেজ রুমে প্রবেশ করা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে কয়েকজন ভবনটির ওপর তলা থেকে লাফ দেন। এছাড়া দমকলকর্মীরা ট্রাক থেকে মই ব্যবহার করে অন্যদের উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গম, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করবে সরকার
দেশটির প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে এবং দ্রুত আগুনের কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভবনটির দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মানুষে-মানুষে বন্ধন বাড়িয়ে তুলতে পারে শিল্প: ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত
৯৬৮ দিন আগে
মানুষে-মানুষে বন্ধন বাড়িয়ে তুলতে পারে শিল্প: ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত
শিল্প ও সংস্কৃতি ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যকার মানুষে-মানুষে বন্ধন বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।
১৫৫৪ দিন আগে