বাংলাদেশ রেলওয়ে
যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপদ ও সহজ গণপরিবহন হলেও বিগত সরকারগুলোর রেলওয়ের উন্নয়নে মনোযোগ না থাকায় রেলপথ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবার দরকার ছিলো তা হয়নি বলে দাবি করেছে ক্যাব চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্বেও টিকেট না পাওয়া, মন্ত্রণালয়ের লোকজন যাত্রী/ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এতে সংগঠনটি আরও দাবি করেছে যে মান্দাতার আমলের গ্রাহক অভিযোগ পদ্ধতি, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোর দুরাবস্থা, অকার্যকর, টিকেট কালোবাজারীদের সঙ্গে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আতাঁতের কারণে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না।
ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে সাধারণ জনগণ যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত ভাড়ার হার কার্যকর হয়েছে ২৫ জানুয়ারি থেকে। এতে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসন প্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতারা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইং গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম অবহেলা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
যার কারণে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি।
আর রেল ব্যবস্থাপনায় ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহণ গুরুত্বই পায়নি। অভিযোগ প্রতিকারে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের লাগাতর ধর্মঘট ডাকলেও পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারণে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিণ হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতি সহজলভ্য হয়ে আছে।
অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘারে চাপে।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় পৃথক মন্ত্রী পেলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হয়নি।
তাই অবিলম্বে রেলপথে যাত্রী হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ডিজিটাল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে ডিজি, মন্ত্রী, সচিবকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, কোটাপদ্ধতি বাতিল, যাত্রীদের জন্য টিকেটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, যাত্রীসেবার অনিয়ম রোধে রেলে তাৎক্ষণিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে রেলস্টেশনে অবস্থান নিশ্চিত করে সপ্তাহে অন্তত একদিন গণশুনানির আয়োজন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেলপথের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
১ বছর আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: ১৩৮৫ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে
জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ওয়েম্যান পদে রাজস্ব খাতভুক্ত স্থায়ী ভিত্তিতে এক হাজার ৩৮৫ জনকে নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: ওয়েম্যান
পদসংখ্যা: ১,৩৮৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ: যেসব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন
পাবনা ও লালমনিরহাট জেলা ছাড়া সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং রেলওয়ে পোষ্য কোটায় সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের সার্জেন্ট পদে চাকরি: জনবল নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগে বয়সসীমা: বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সাধারণ প্রার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর। আবেদনকারীর বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে ওই প্রার্থী আবেদন করার যোগ্য হবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http://br.teletalk.com.bd/) ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংক (https://railway.gov.bd/sites/default/files/files/railway.portal.gov.bd/notices/ecd5567c_536e_4729_9409_0603a9e9a828/03%2017.01.23.pdf) থেকে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে যেকোনো টেলিটক মুঠোফোন নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করা যাবে। ই-মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম, ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২ মার্চ ২০২৩, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার জনের চাকরির সুযোগ
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ: ৬ পদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে চাকরির সুযোগ
১ বছর আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ে: ঢেলে সাজানোর বিস্তর পরিকল্পনা সরকারের
যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য রেলওয়ে খাতটিকে সবচেয়ে নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে সরকার দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে উন্নত করার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, রেলওয়ে খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার একটি সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।
এ সমস্ত কার্যক্রম অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২১-২০২৫) অধীনে করা হবে, যা পরবর্তী পাঁচ বছরে গড়ে আট দশমিক ৫১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। পরিকল্পনাটি সময়সীমার শেষে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ৭৯৮ দশমিক ০৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, বিদ্যমান রেললাইনের বিপরীতে ৮৯৭ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ/ডাবল রেললাইন এবং ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সংস্কারের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এর মধ্যে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে সেতু নির্মাণ এবং লেভেল ক্রসিং গেট, দেশীয় কনটেইনার ডিপো নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ আউটলেটগুলোর নির্মাণ ও আধুনিকীকরণসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন: বাংলাদেশ রেলওয়ে
নথিতে বলা হয়েছে যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ১৬০টি লোকোমোটিভ, এক হাজার ৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ সরঞ্জাম, ২২২টি স্টেশনে সিগনাল সিস্টেমের উন্নতি এবং রেলওয়ে ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা হবে।
এদিকে, সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩০ বছর মেয়াদী সংশোধিত মহাপরিকল্পনা (২০১৬-২০৪৫) বাস্তবায়ন করছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় ঢাকাকে কক্সবাজার, মোংলা সমুদ্রবন্দর, টুঙ্গিপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত উদ্যোগগুলো হল- ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে ও আঞ্চলিক রেলওয়ে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা এবং আধুনিক কমিউটার ট্রেন পরিষেবা চালু করে নিকটবর্তী শহরতলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে সংযুক্ত করা।
১৯৬০ এর দশকে শুরু হওয়া ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক লাখ ১৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথ নিয়ে গঠিত। এটির লক্ষ্য হচ্ছে ইএসসিএপি (ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন ফর এশিয়া অ্যাড দ্য প্যাসিফিক) অঞ্চল এবং এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীদের জন্য কার্যকর রেল পরিবহন পরিষেবা প্রদান করা।
এই মহাপরিকল্পনার আওতায় ছয়টি ধাপে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে খরচ হবে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
নথিতে বলা হয়েছে, পদ্মা বহুমুখী রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ এবং যমুনা নদীর ওপর ডাবল ট্র্যাক ডুয়েল গেজ রেল সেতু নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বরখাস্ত
এতে আরও বলা হয়, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাকের ৭১ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এতে উল্লেখ আছে, রূপসা রেলসেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ।
সরকার ফরিদপুরের ভাঙা থেকে পায়রা বন্দর হয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী হয়ে পায়রা বন্দরকে পদ্মা রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
নথি অনুসারে, ৪৭ হাজার ৭০৩ টি পদের সংশোধিত জনবল কাঠামোর অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা রেলওয়ের পরিষেবার মান বাড়াবে।
আরও পড়ুন: রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
২ বছর আগে
কুড়িগ্রাম-রমনা রেলপথে কমিউটার ট্রেন চালু মঙ্গলবার
দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রাম-রমনা রেলপথে মঙ্গলবার থেকে কমিউটার ট্রেন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সারাদেশে করোনার মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এই রুটে কমিউটার ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে এই রুটে চলাচল করা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমানিরহাট ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিটেনডেন্ট খালিদুন নেছা বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মঙ্গলবার থেকে কুড়িগ্রাম-রমনা রুটে কমিউটার ট্রেন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোর নিহত
তিনি বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার থেকে এই রুটে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালুর জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে ট্রেন পরিষেবার কোনো সময়সূচী এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
এছাড়া ট্রেন চলাচল শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে রেলপথ সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাদেশে বন্যা ও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এই রুটে কমিউটার ট্রেন পরিষেবা স্থগিত ছিল। সরকার যদিও বিভিন্ন রুটে ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করেছে তবে এই রুটে তা স্থগিতই ছিল।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন: বাংলাদেশ রেলওয়ে
এই রুটে রেল সেবা চালুর দাবিতে জেলার বাসিন্দারা এ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েক বার আন্দোলনও করেছেন। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জনবল, ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকটের কারণে এটি স্থগিত রাখে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট থেকে বিকালে কাউনিয়া হয়ে কুড়িগ্রাম পৌঁছাবে।
এছাড়া পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস সম্প্রসারণ এবং বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের দাবি জানান স্থানীয় জনগণ।
২ বছর আগে
বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে ট্রেন: বাংলাদেশ রেলওয়ে
দেশে করোনা সংক্রমণ কমায় বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার সংক্রমণের হার কমায় রেলপথ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকার টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করেছে। মানুষ টিকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করছেন যা যাত্রী চাপ বাড়িয়েছে। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ট্রেনের যাত্রীদের করোনার স্বাস্থ্যবিধি, যেমন মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার, কঠোরভাবে মেনে চলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
এর আগে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন-ভটভটি সংঘর্ষে নিহত ৩
২ বছর আগে
১৫ জানুয়ারি থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি (ইউএনবি)-দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ট্রেনে ভ্রমণের সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৫ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এছাড়া ট্রেনের টিকিট প্রদান ও বিক্রির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
সংশোধনীগুলো হলো:
সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আন্তনগর ট্রেনে বিদ্যমান আসনসংখ্যার অর্ধেক টিকিট ইস্যুকরণ;
মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে ও বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে ইস্যু করা;
স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে;
জরুরি ছাড়া রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান সব কোটা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের সময় যাত্রীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে;
স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে আন্তনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করতে হবে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় সোমবার গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে, এসব বিধিনিষেধ আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দিনাজপুরে ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দু’ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
২ বছর আগে
সিআরবির পরিবেশ ক্ষতি করে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা: ৮ সংস্থাকে আইনি নোটিশ
চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র সিআরবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইউনাইটেড গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ১০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে সরকারের ৮ সংস্থাকে লিগ্যাল নোটিশ পঠিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)।
নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে বিবাদী করা হয়। বিবাদীদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী এই প্রকল্পের স্থান অন্যকোন যৌক্তিক জায়গায় সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিএইচআরএফ পরিচালক, ট্রাস্টি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট এএম জিয়া হাবিব আহসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) ডাক ও ইমেইলযোগে এই নোটিশ জারি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।
আরও পড়ুন: কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
নোটিশে প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে বিএইচআরএফ’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপযুক্ত আদালতে মামলা কিংবা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করার ঘোষণাও দেয়া হয় নোটিশে।
উল্লেখ্য, সিডিএ প্রণীত তালিকা অনুসারে ঐতিহাসিক, নান্দনিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সিআরবির মতো জায়গা ও স্থাপনাসমূহকে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যা সিডিএর ওয়েবসাইটেও দেয়া।
বিএইচআরএফ পরিচালক, ট্রাস্টি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এডভোকেট এএম জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট ও গাছ নিধন করে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে, সংবিধানের ১৮-ক ও ২৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। যেখানে পরিবেশ ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানসমূহকে সংরক্ষণের কথা স্পষ্ট বলা আছে।
ছায়াদানকারী শতবর্ষী গাছ, বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ বৃক্ষ ও পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রকৃতির এক দারুণ মায়াজাল সিআরবি। সেইসাথে শহরের সবথেকে সুন্দর জায়গা, ঐতিহাসিক স্থাপনা রেলওয়ে বিল্ডিং, শিশু-কিশোর থেকে প্রবীণদের আড্ডা ও খেলাধুলা এবং পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নগরীর প্রধানতম স্থান এই সিআরবি।
যেখানে হাসপাতাল নির্মিত হলে সেই হাসপাতালকে ঘিরে মানুষ ও যানবাহনের অবাদ চলাচল এবং বর্জ্য নিঃসরণসহ নানা কারণে হুমকির মুখে পড়বে সিআরবি সৌন্দর্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য।
নোটিশ উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবাদীদের নজরে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন,নোটিশের মেয়াদকালে সমস্যার সমাধান না হলে বিএইচআরএফ মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করতে বাধ্য হবেন।
পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়-ঢাকা সবজি ট্রেন সার্ভিস চালু
করোনাকালীন সময়ে সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে সবজি ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে।
সোমবার পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই সবজি ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন ও সবজি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পটিয়া-দোহাজারি রেলপথের নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো: মন্ত্রী
পঞ্চগড়ে উৎপাদিত শসা, টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ, সিম, মিস্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়। প্রথম দিনেই পঞ্চগড়ের চারজন ব্যবসায়ী শসা, টমেটো, বেগুন ও শুকনো মরিচসহ তিন মেট্রিক টন সবজি পাঠান।
আরও পড়ুন: প্রতিটি জেলায় রেল লাইন করা হচ্ছে: মন্ত্রী
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কৃষিপণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে সোমবার থেকেই একটি পার্সেল ট্রেন সপ্তাহে শনিবার, সোমবার, বুধবার পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে চলবে। ছাড়বে দুপুর ১টায়, ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৩টায়। সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রুটে ১টি পার্সেল ট্রেন চলবে। ঢাকা ছাড়বে সকাল ৬টায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাক-সবজি, দেশীয় ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যাদি পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার উপর ২৫% রেয়তী ও অন্যান্য সকল প্রকার চার্জ রহিত থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ জানান, করোনার মধ্যে জীবন এবং জীবিকা চালু রাখতে এবং লকডাউনে কৃষক যাতে কৃষি পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলওয়ে অতীতে বিভিন্ন সময় ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন, ক্যাটল ট্রেনসহ পার্শ্বেল ট্রেন পরিচালনা করেছে। রেলওয়ে বর্তমানে তেল,সারসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করছে। কৃষিপণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে সারা দেশে আটটি পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। প্রতিটিতে ৪০ মেট্রিক টন সবজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি ওয়াগন সংযুক্ত থাকছে। পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনে ঈশ্বরদী স্টেশনে সংযোজন/বিয়োজন করতে পারবে। পণ্য যেকোন স্টেশনে নামানো এবং উঠানো যাবে।
পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার পানিমাছ পুকুরী এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম ও বদরুজ্জামান বাবু জানান, প্রথম দফা পণ্য রেলে পাঠানো হলো, কেমন খরচ হয় হিসেব নিকেশ করতে হবে। লাভ হলে রেলে পণ্য পাঠাবো না হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
পঞ্চগড় রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, পার্সেল এই ট্রেনটি যে কোনো স্টেশনে পণ্য লোড এবং আনলোড (উঠানামা) করা যাবে। মালামালের সাথে ব্যবসায়ীরাও যেতে পারবে।
৩ বছর আগে
চলন্ত ট্রেন থেকে টিকিটের টাকা গায়েব: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
চলন্ত ট্রেনে গার্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা ক্যাশ সেইফ বা ভ্রাম্যমাণ সিন্দুক থেকে টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা গায়েব করে দেয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
ট্রেন চলাচল পুরোদমে শুরু
করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের কারণে ২৪ মার্চ থেকে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সব আসনে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
৪ বছর আগে