আনসার আল ইসলাম
মাগুরায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী থেকে জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলামে’র দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে আলমখালী যাত্রী ছাউনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য হলেন—পাবনা জেলার রাঘবপুর গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. ঈশান হায়দার ও বরিশাল জেলার মানরাতুল কুশুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দস বারীর ছেলে আব্দুল করিম।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) খুলনা-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৬ এর একটি অপারেশন দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা তিন থেকে চারজন পালিয়ে গেছেন।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার ঈশান হায়দার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রোডাকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একই দলের ইয়াকুব হুজুরের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের যোগদান করে দাওয়াতি কার্যক্রম করতেন। তিনি পাবনার দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছিলেন। পাশাপাশি তিনি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন।
এছাড়া আব্দুল করিম পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন। তিনি ও ঈশান হায়দার একই দলের আব্দুল এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করেন। তিনি তার নিজ এলাকা বরিশালে দাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি সংগঠনের নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
গ্রেপ্তারদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা বলে আরও জানা যায়, উভয়ের নামেই পূর্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ কারণে তারা বিভিন্ন সময় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ঝিনাইদহে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ জন গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিক সেটআপের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি ইউনিটের ইনচার্জ মেজবাহ আবু মাসরুরও রয়েছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে র্যাব-১ ও ডিজিএফআইয়ের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, চরমপন্থা সমর্থনকারী লিফলেট এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়েরি ও নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১ বছর আগে
রংপুরে আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য আটক
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করেছে র্যাব-১৩। এ সময় জব্দ করা হয়েছে জিহাদি বই, লিফলেট ও মোবাইল ফোন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে র্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের প্রধান কার্যালয়ের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
আটক আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্য হলো- ইয়াছিন, সংগঠনের উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতি শাখার প্রধান মুনতাসির বিল্লাহ, মুনতাসির বিল্লাহর সহযোগী আব্দুল মালেক ও সাব্বির।
আল মঈন জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে তরুণদের ভুলিয়ে দলের সদস্য হতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টম্বর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় তরুণ জঙ্গি ইয়াছিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে আনসার আল ইসলামের উত্তরাঞ্চলের দাওয়াতি শাখার প্রধান মুনতাসির বিল্লাহসহ সহযোগী আব্দুল মালেক ও সাব্বিরকে দিনাজপুর থেকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
১ বছর আগে
বাগেরহাটে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
বাগেরহাট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও সংগঠনের নোট বই উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোল্লাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার সদস্য বলে র্যাব সূত্র জানায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর জেলার কামাল গাজীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৩), গোপালগঞ্জ জেলার গাউছ মোল্যার ছেলে মো. আকাশ ওরফে আব্দুল্লাহ (২৩), একই জেলার মোহাম্মদ জাকির ফকিরের ছেলে তাজিম উদ্দিন ওরফে জসীম উদ্দিন (২১), একই জেলার সৈয়দ আহাদুজ্জামানের ছেলে মো. রিপন (২০) এবং মাদারীপুর জেলার মতিউর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন অনিক (২০)।
আরও পড়ুন: 'অপারেশন হিলসাইড': নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদের মধ্যে তরিকুল গোপালগঞ্জে একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আব্দুল্লাহা বাগেরহাটে একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। তাজিমুদ্দিন গোপালগঞ্জের একটি স্থানীয় মাদরাসায় ইমামতী করতেন। ইসমাইল গোপালগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় পড়তেন এবং রিপন ২০২২ সালে আব্দুল্লাহার মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করেন।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামে যোগ দেয়।
এরপর থেকে তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি বলে র্যাব জানায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নিষিদ্ধ
১ বছর আগে
পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানীতে দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে এবং আশা করছি আমরা শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন পাব।’
আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (অব.) সৈয়দ জিয়াউল হক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি জিয়া ঘন ঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছে এবং সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
গত রবিবার আদালত প্রাঙ্গন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড এই দুই জঙ্গি পরিচয়- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর নগরীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেকের তথ্য দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তাদের গ্রেপ্তারে দেশের সব প্রবেশ ও বাহিরের পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করে সরকার।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
১ বছর আগে
রাজধানীতে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
শনিবার রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার উজ্জল মিয়া ওরফে উজ্জল খন্দকার (২৩) হবিগঞ্জ জেলার সুনাহর খন্দকারের ছেলে।
সিটিটিসি ইউনিটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশ তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট, কিছু জিহাদি বই ও লিফলেট জব্দ করেছে।
এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে আনসার আল ইসলামের ২ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
জেএমবির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
নড়াইলে আনসার আল ইসলামের ২ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
নড়াইলে ‘আনসার-আল ইসলাম’ নামের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাব। বুধবার সকালে নড়াইল পৌরসভার বেতবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইল সদরের বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবু নাঈম (২৫) এবং সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শাহরিয়ার রানা (২২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ মার্চ) সকালে নড়াইল পৌরসভার বেতবাড়িয়া এলাকার মাসুদ মিয়ার বাড়িতে আনসার-আল-ইসলাম এর গোপন বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট: র্যাবের হাতে আটক ১৪
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে শাহরিয়ার রানা আনসার-আল-ইসলাম এর খুলনা শাখার কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছে। এরা সকলে আনসার-আল-ইসলাম খুলনার দাওয়াতি শাখার সঙ্গে যুক্ত।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)তদন্ত মাহমুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় র্যাব মামলা করেছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৫
২ বছর আগে
আনসার আল ইসলামের অনলাইন প্রধান গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হাসিবুর রহমান ওরফে আজম আল গালিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
হাসিবুর রহমান পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাসিবুরের সাথে টেলিগ্রামের মাধ্যমে ‘জায়েদ ইবনে আলী’ এবং ‘শাফায়েত মুসান্না ঈসা’র পরিচয় হয়। এরপর তারা একই মতাদর্শ প্রচার এবং সদস্য নিয়োগের কাজ একসাথে শুরু করে। জায়েদ এবং শাফায়েতের সাথে হাসিবুর, আনসার আল-ইসলামের মতাদর্শ প্রচারে মৌলবাদী অনলাইন ‘ত্রি-রত্ন’-এর প্রধান হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া হাসিবুরের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনে প্রাথমিকভাবে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম অ্যাপসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী কনটেন্ট পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ‘জায়েদ ইবনে আলী’ ও ‘শাফায়েত মুসান্না ঈসা’ আইডির অপারেটর আল আমিন সিদ্দিকী এবং নারী জঙ্গি জোবাইদা সিদ্দিক নাবিলাকে সিটিটিসি গ্রেপ্তার করেছে।
হাসিবুর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শের বিভিন্ন বক্তব্য ছড়িয়ে দিতেন। নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছায়াতলে রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য ছিল তার। এই লক্ষ্যে, তিনি তথাকথিত সশস্ত্র জিহাদের প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যকারিতা বর্ণনা করে বিভিন্ন পোস্ট করে তরুণ প্রজন্মকে সহিংস চরমপন্থায় প্ররোচিত করেছেন, সিটিটিসি প্রধান বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হাসিবুর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করেন এবং ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় সহিংস চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের আদর্শের সাথে পরিচিত হন। এ সময় তিনি বিপুল সংখ্যক চরমপন্থী বই পড়তে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
রাজধানীতে এটিএম বুথের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুটের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় বাবা মা গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
কেরানীগঞ্জে আনসার আল ইসলামের পাঁচ ‘সদস্য’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মিঠুন রহমান ওরফে মিঠু (২৯), সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর সোহাগ (২১), মোহাম্মদ জাবের (২৫) ও মো. ওমর ফারুক (১৯)।
এটিইউ এর পুলিশ সুপার (এসপি-মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে মিঠুকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও পাঁচটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বই উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
মিঠুর বক্তব্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর এলাকা থেকে সাকিব আল হাসানকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও দুটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বইসহ আটক করে পুলিশ বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা।
পরে মিঠু ও সাকিবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা সোহাগ, জাবের ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে বলে জানান আসলাম খান।
এদের মধ্যে সোহাগ ও জাবের হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অনলাইনে চরমপন্থা নিয়ে অপপ্রচারে জড়িত ছিল। তারা নাশকতামূলক কার্যকলাপের পরিকল্পনা এবং চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি সুরক্ষিত টেলিগ্রাম গ্রুপ খুলে চ্যাট করত।
তাদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
গ্রেপ্তার জিয়াউল হক (১৮) উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা গ্রামের সমছুল হকের ছেলে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ‘সোমবার রাতে উপজেলার চারখাই বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠককালে তাকে র্যাব আটক করে। পরে তাকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জিয়াউল আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উগ্রবাদী পোস্ট ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে