সাবেক ইউপি সদস্য
বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরে জমির ফসল বাঁচাতে গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে অতিথি পাখিসহ দুই শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি পাখি নিধন করে তা জমির চারপাশে বেঁধেও রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন
গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি মেরে ফেলা মো. শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঘুঘু, শালিক, বক, চড়ুইসহ অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে আসে। পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো ফসলি মাঠ।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে শাহজাহান মাদবর এবং তার লোকজন গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছিটিয়ে রাখতেন। বিষ খেয়ে পাখি মারা গেলে কৃষকরা তা মাটিতে পুঁতে ফেলতেন। এ ছাড়া তারা বিষে মারা যাওয়া কিছু পাখি জমির চারপাশে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি, যারা প্রকৃতির শত্রু তারা বিষসহ নানা মাধ্যমে পাখিগুলো মেরে ফেলে, যা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন পাখি নিধনকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাখি নিধনকারী শাহজাহান মাদবর বলেন, মরা পাখিগুলোর ছবি তুলতে হবে কেন? আমি তো পাখির জন্য গম বপন করিনি। আর এগুলো গণমাধ্যমে দেওয়ার দরকারও নেই।
শাহজাহান মাদবরের পুত্রবধূ হিমু আক্তার বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছিল, সেই বীজ জমিতে বপন করেছে আমার শ্বশুর। জমিতে তিনি ইঁদুর মারার বিষ দিয়েছিলেন, তাতে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা আমাদের জানা ছিল না।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি, চোখে পড়ে না বাসা
বিষয়টি নিয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু বলেন, বিষ দিয়ে পাখি মারার বিষয়টি আমি শুনেছি। সাবেক মেম্বার শাহজাহান মাদবর আমার কাছে এসেছিলেন।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তার ফসলি জমিতে তিনি গমের বীজ বপন করেছেন। কে বা কারা বিষ মিশিয়ে পাখি মেরেছে, তা তিনি জানেন না।
তবে বিষ দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। পাখি হত্যা অন্যায় এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, পাখি হত্যাকারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সেপটিক ট্যাংকে নামিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
১০ মাস আগে
বরগুনায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১০
বরগুনায় পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম পনু। তিনি আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
এছাড়া মঙ্গলবার (২ মে) রাতেই বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি পুলিশ।
এদিকে আহতদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী আটক
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু ও তার প্রতিপক্ষ আসাদুজ্জামান আকাইদের লোকজন।
এতে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক ইউপি সদস্য পনুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল স্থানীয় ঠান্ডা গ্রুপের প্রধান আসাদুজ্জামান আকাইদের সঙ্গে। এরই জেরে এর আগেও একাধিকবার এই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে পনু ও তার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে আকাইদের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসিবুল আকন, মজিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান আকাইদ এবং আল জাহিদকে বরিশাল পাঠানো হয়।
এছাড়া বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সজীব নামের একজন।
স্থানীয়রা জানান, এই দুই গ্রুপের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়াও এদের মধ্যে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে গিয়ে পুলিশের একাধিক টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নিহত পনুর লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে যা ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া সকল অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে কারেন্ট জালসহ মাদক জব্দ, যুবক আটক
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক ও আরোহী নিহত, আটক ১
১ বছর আগে
ঝালকাঠিতে সাবেক ইউপি সদস্য ও তার ভাতিজা নিহত
ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য ও তার ভাতিজা নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের জগাইরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রব হাওলাদার (৬০) ও তার ভাতিজা মো. বেলায়েত হোসেন (৫৫)।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. আসাদ, মিজান, সজল ও শাহজাহান নামে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুর রব ও বেলায়েত হোসেনকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করে। রাত ৯টার দিকে দুইজনকে গুরুত্বর আহতাবস্থায় স্বজনরা রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্যাংকলরি ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত
নিহত আব্দুর রব হাওলাদারের ভাগিনা মো. নাসির উদ্দিন জানায়, প্রতিপক্ষের লোকজন রব মেম্বারকে কুপিয়ে খালে ফেলে এবং বেলায়েত হোসেনকে সড়কের ওপর রাখে। পরে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এটা ডাবল মার্ডার, আমরা ঘটনাস্থল ভিজিট করেছি।
তিনি আরও বলেন যে তদন্ত কাজ চলমান আছে, তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করছিনা। চারজনকে আমরা আটক করেছি এবং বাকিদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে আধিপত্য ও সম্পত্তির ব্যাপার থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
১ বছর আগে
কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এ সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোস্তফা ভূঁইয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার আগে একজন অভিযুক্ত মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে আগেই অব্যাহতি দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্রা গ্রামের মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে মো. ফোরকান ভূঁইয়া (৪৮), জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. শাহেদ ভূঁইয়া (৩৪) ও মৃত ধলু ভূঁইয়ার ছেলে মো. এ্যাংগু ভূঁইয়া (৫৮)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৬)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ভাট্টা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মধ্যভাট্টা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়াকে রাস্তায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন আসামিরা। তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আনার ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট কটিয়াদী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মিন্টু।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সদরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোগনগর ব্রিজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দৌলত হোসেন উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য এবং কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এলাকার একাধিক জমি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। এক পক্ষে ছিল রবিন ও অপর পক্ষে ছিল লুৎফর রহমান। রবিবার রাতে এর জের ধরে গোগনগর ব্রিজের সামনে দৌলত মেম্বারের গতিরোধ করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। পরে তারা দৌলত মেম্বারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যা: বরিশালে গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল বশর তালুকদারকে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার সাড়ে ৫ মাস পর বরিশাল থেকে মামলার প্রধান আসামি আবদুল কাদেরসহ একই পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তারকরেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই)।
রবিবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই জানিয়েছে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বর্তমান ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় ও নেতৃত্বে তাকে খুন করা হয়। খুনের পর গ্রেপ্তার এড়াতে চার আসামি বরিশালে আত্মগোপন করে বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন।
রবিবার দিনভর বরিশাল শহর ও বাবুগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হচ্ছেন- আবদুল কাদের (৫০), তার স্ত্রী হাছিনা বেগম ও ছেলে মো. রিদুয়ান (২৪) এবং জামাতা তৌহিদুল ইসলাম। তাদের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব চাপাছড়ি গ্রামে।
জানা গেছে, বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব চাপাছড়ি গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল বশর তালুকদারকে (৪৫) গত ১৯ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সন্ত্রাসীরা দুই পা বিচ্ছিন্ন করে কুপিয়ে নৃশংসভাবে আহত করে। পরদিন শনিবার (২০ মার্চ) সকালে নিহত আবুল বশরের ডান পায়ের অংশ ধান ক্ষেত থেকে পাওয়া যায়। বাম পায়ের অংশ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবদুল জব্বার (৫৫), মোজাক্কিদ (৩০) সাইদুর রশিদকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চোর ধরতে গিয়ে জনতার হামলায় ৪ পুলিশ আহত, ইউপি সদস্যসহ আটক ৫
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম জেলা) নাজমুল হাসান জানান, ঘটনার পর বাঁশখালী থানা পুলিশ বর্তমান ইউপি সদস্য নাছিরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আবদুল কাদের ও তার ছেলে রিদুয়ান পালিয়ে বরিশাল চলে যান। পরবর্তীতে তাদের জামাতা তৌহিদুল বরিশাল মহানগরে গিয়ে একটি বাসা ভাড়া নেন। এরপর আবদুল কাদেরের স্ত্রী হাছিনাকেও নিয়ে যাওয়া হয়। তারা চারজন সেখানে আত্মগোপন করে ছিলেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, আবুল বাশার বিএনপির রাজনীতি করেন। তাকে হটিয়ে ইউপি সদস্য হন আওয়ামী লীগের নাছির। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। এর আগে থেকে দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। আবুল বাশারের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছিল। এসব বিরোধের জেরে নাছিরের পরিকল্পনায় আবুল বাশারকে খুন করা হয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে চাপাছড়ি গ্রামে আবুল বাশারের পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর পায়ের দ্বিখণ্ডিত অংশ নিয়ে তারা উল্লাস করে গ্রামে। আবুল বাশার (২৬) বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চাপাছড়ি ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।গ্রেপ্তার চারজনকে রবিবার বিকালে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাবেক ইউপি সদস্য ছুরিকাঘাতে নিহত
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
৩ বছর আগে
নড়াইলে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইল সদরের কামালপ্রতাপ গ্রামে সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
৪ বছর আগে