বরগুনায় পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম পনু। তিনি আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
এছাড়া মঙ্গলবার (২ মে) রাতেই বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি পুলিশ।
এদিকে আহতদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামী আটক
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনু ও তার প্রতিপক্ষ আসাদুজ্জামান আকাইদের লোকজন।
এতে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম পনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক ইউপি সদস্য পনুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল স্থানীয় ঠান্ডা গ্রুপের প্রধান আসাদুজ্জামান আকাইদের সঙ্গে। এরই জেরে এর আগেও একাধিকবার এই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে পনু ও তার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে আকাইদের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসিবুল আকন, মজিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান আকাইদ এবং আল জাহিদকে বরিশাল পাঠানো হয়।
এছাড়া বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সজীব নামের একজন।
স্থানীয়রা জানান, এই দুই গ্রুপের মধ্যে এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়াও এদের মধ্যে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে গিয়ে পুলিশের একাধিক টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, নিহত পনুর লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে যা ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া সকল অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।