তথ্যপ্রযুক্তি
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড
বাংলাদেশের জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাত বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে আগ্রহী ফিনল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহডিভিরতা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈদ্যুতিক গ্রিড ব্যবস্থাপনায় তার দেশের অধিক দক্ষতা রয়েছে এবং তাই তারা এ খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করতে ফিনল্যান্ড থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল শিগগিরই ঢাকায় আসবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে অবশেষে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করতে যাচ্ছে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সমৃদ্ধির পথে যাত্রা মসৃণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে জিএসপি+ সুবিধা আরও কয়েক বছর (বৃহত্তর সময়) পেতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তার ফিনল্যান্ড সফর এবং ২০০৮ ও ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা ও কোভিড-১৯ মহামারির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্থিক সহায়তা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' শীর্ষক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে 'গুড নেইবারহুড’ সম্পর্ক অনুসরণ করছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: আপনাদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন পাশে থাকব: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে বলে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এ সেমিনারে জুমপ্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ।
তিনি উল্লেখ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ ক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট।
সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তা ছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সেদেশে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
১ বছর আগে
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইকমার্সের ৮০ শতাংশ ব্যবসা পরিচালনা করছে নারীর। ফ্রিল্যান্সিং এ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফল বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত উপজেলা পর্যায়ে ইনকাম জেনারেটিং একটিভিটিজ (আইজিএ) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া নারীদের কম্পিউটার ও আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে প্রকল্প রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।
মতবিনিময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদির মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রকল্প পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম, পরিচালক মনোয়ারা ইশরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিনা ফেরদৌস ও সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও হাইটেক পার্ক ও ৬ লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
এছাড়াও গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
২ বছর আগে
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিতকরণে লাইটশোর ভার্চুয়াল ওয়েব-সেমিনার
তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে লাইটশোর ফাউন্ডেশন ও বিআইটিএমই এর যৌথ আয়োজনে ‘গার্লস ইন আইসিটি ডে-’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে লাইটশোরের কো-ফাউন্ডার সুলতানা রাজিয়া বলেন, আইসিটি খাতে নারীদের অংশ গ্রহণ আরও বেশি বাড়ানো না গেলে নারীরা ক্ষমতায়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়বে। নারীদের আইসিটি অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে লাইটশোর এই বিষয়ক প্রশিক্ষণ, স্টেম নিয়ে কর্মশালা , আরিসিটি বিষয়ক হ্যাকাথন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা আরও বেশি পরিচলনা করবে।
বিআইটিএম এর ডিরেক্টর ও সিইও তালুকদার মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, বিআইটিএমের কোর্সে প্রথম দিকে মেয়েদের পার্টিসিপেন্ট প্রায় নগন্য ছিলো। এখনো যে খুব বেশি তা নয় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ এর মতো থাকে। হয়তো ঠিকমতো সচেতনার অভাবই এটার কারণ।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি আরও বলেন, আইসিটি সেক্টোরের কোর্সে ছেলেদের আধিক্যই বেশি দেখা যায়, যেটা মোটেও কাম্য নয়। সার্বিকভাবে দেখলে যেখানে ৪০ শতাংশ এর অধিক মেয়েদের উপস্থিতি থাকা উচিত সেখানে ২০ শতাংশ এর বেশি আমাদের এখানে কখনো পার্টিসিপেন্ট হিসেবে আসেনি, যেটা দুঃখজনক।
অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে আরও ছিলেন, এমরাজিনা ইসলাম ( ব্র্যান্ড এম্বাসেডর পেওনিয়ার, কো-ফাউন্ডার এমরাজিনা টেকনোলজিস), মো. শাহরিয়ার হোসেন ( ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, এটুআই আইসিটি ডিভিশন), নাজিয়া হাসান হেড অব ডিজাইন (ডিজাইন এন্ড এপিআই), শুভাশিস রয় হেড অব বিজনেস, ( দ্য ডেইলি স্টার) , এবিএম জাবেদ সুলতান পিয়াস (হেড অব বিজনেস, দৈনিক প্রথম আলো)।
এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এবং এতে সারা দেশ থেকে ৭০ জনের মত নারী, তরুণ - তরুণী অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন
২ বছর আগে
তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আইটি একদিকে অপার সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে, অন্যদিকে এর অপব্যবহার ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সজাগ থাকতে হবে।’
বুধবার কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতারক অনলাইন ডেলিভারির নামে জনগণের টাকা চুরির ফাঁদ পাতছে। অনেকে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করেও কোনো পণ্য পাননি। আবার অনেকে পণ্য পেলেও এর মান খারাপ ছিল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
তিনি আরও বলেন, এসব প্রতারক চক্র তথ্য প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দিয়ে প্রতারণা করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, তবে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখতে হবে। ক্রেতাদের লোভনীয় অফার দেখলেই অর্ডার করার বিষয়টি পরিবর্তন করতে হবে।
এই প্রজন্মকে স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিং একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে সাড়ে ছয় লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন, নারীদেরও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে হবে, যাতে তারাও সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হয়েছেন, তাদের এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। বিনিয়োগের মাধ্যমে এ পেশার পরিধি বাড়াতে হবে। বিল গেটস, ইলন মাস্ক, জেফ বেজোসের মতো আইটি জায়ান্টরা এভাবেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিন: রাষ্ট্রপতি
হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দেশের জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই বিশাল যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। যাতে তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্ববাজারে টেকসই অবস্থান তৈরি করতে মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই এবং সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার শিল্পের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসিকে সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ১২ দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
সাক্ষাৎ করা অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা হলেন-নাইজেরিয়ার হাইকমিশনার আহমেদ সুলে, এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাট্রিন কিভি, আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ডন ওয়ার্ড, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত মুকাঙ্গিরা জ্যাকলিন, রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা মারিয়ানা সেজোনভ, ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ইমানুয়েল পুইগ বুচেল, মাল্টার হাইকমিশনার রুবেন গাউসি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত আসউইন ইসায়েভ, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউকু-রোন্ডে, সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্রদূত রশিদ সেসে, হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি ও কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূত মারিয়ানা পাচেকো মন্টেস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় তাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছি এবং বিশ্বজুড়ে শান্তির সংস্কৃতি প্রচলনের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছি। শান্তি ও মানবিকতার জন্য আমরা মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে আমাদের মহানুভবতা দেখিয়েছি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র কার্যকরে সব দলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের নাগরিকরা যেন তাদের নিজ দেশ নিরাপদে ফেরত যেতে পারে সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে এবং তাদের স্ব স্ব দেশের অবস্থান দৃঢ় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নবনিযুক্ত দূতগণ তাদের দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুল মোমেন।
২ বছর আগে
মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ
পুলিশের দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ছয় মাস কারাগারে থাকার পর ঝুমন দাশ মুক্তি পেয়েছেন। হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর তার বিরুদ্ধে ওই মামলা করে পুলিশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে তাকে জামিনের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ আপন।
জানা গেছে,মঙ্গলবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে জামিনের আদেশ আসে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিল করলে আদালত জামিনে মুক্তির আদেশের কাগজ কারাগারে পাঠায়। সন্ধ্যায় ওই জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন দাশ।
আরও পড়ুন: ঝুমন দাশের জামিন আদেশ বৃহস্পতিবার
এ সময় কারাগার থেকে বেরিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঝুমন দাশ।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৬ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাশের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজত ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে সমালোচনা করে কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজত ইসলামের সমর্থকরা ১৭ মার্চ হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করে। গ্রামের পাঁচটি মন্দিরও ভাংচুর করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় ১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে নারী নির্যাতন কমেছে:পিআইবি মহাপরিচালক
এ ঘটনায় হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ অধিকাংশ আসামি আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভূ্ইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
৩ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন!
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সোনাভান (৩০) ও তার পরকীয়া প্রেমিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার এলামউদ্দীনের ছেলে মো. রুবেল আলী (৩০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতু এলাকার একটি আম বাগান থেকে মঙ্গলবার সকালে মনিরুল ইসলাম বাবু (৩৮) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বিকালে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে সোপর্দ করলে তারা বিচারক মো. নাজমুল হোসেনের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরিদর্শক মাহফুজ জানান, নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সোনাভানের সঙ্গে একই এলাকার এলামউদ্দীনের ছেলে মো. রুবেল আলীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়া সম্পর্কের বাধা দূর করতে ঘটনার ১৫ দিন আগে স্ত্রী সোনাভান ও তার প্রেমিক রুবেল বাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা সেতু এলাকার একটি আমবাগানে ডেকে নিয়ে মনিরুল ইসলাম বাবুকে হত্যা করেন রুবেল। প্রথমে ইটের আঘাত ও পরে গলাটিপে হত্যা নিশ্চিত করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে প্রেমিকের আত্মহত্যা
মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর
গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন!
৩ বছর আগে
সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি, জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলেছি দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে আমাদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
দেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ১৬ কোটির উপর মানুষ আজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টর থেকে প্রতি বছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছি। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে সামিল হতে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার।
তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে না পারি, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব এবং এর খেসারত দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে