হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে বলে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এ সেমিনারে জুমপ্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ।
তিনি উল্লেখ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ ক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট।
সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তা ছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সেদেশে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার