ভার্চুয়াল
লালবাগ থানায় দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার
বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমছে। ভার্চুয়াল দুনিয়ার ব্যস্ততায় বইয়ের পাতার গন্ধের স্মৃতি এখন অনেকের কাছেই অতীত। তাই এই অভ্যাস যেন মানুষের মধ্যে আবারও ফিরে আসে সেই প্রয়াস থেকে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ বছর তৈরি করা হয়েছে গ্রন্থাগার।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ ইউএনবিকে জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ থানায় যারা আসেন তাদের অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টা যেন তারা বই পড়ার মাধ্যমে ব্যয় করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই গ্রন্থাগারটি করা।
আরও পড়ুন:হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীদের জন্যেও এই গ্রন্থাগার উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বসে বই পড়ার সুযোগের পাশাপাশি কেউ চাইলে বাসায় বই নিয়ে যেতে পারেন।
গ্রন্থাগার নিয়ে এম এম মুর্শেদ বলেন, ‘বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন এতো ব্যস্ত যে বই পড়ার অভ্যাস দূর হয়ে যাচ্ছে। সেই চিন্তা থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকের সহযোগিতায় গ্রন্থাগারের উদ্যোগটি নেয়া। আমরা চেষ্টা করছি এখানে বইয়ের সংগ্রহ আরও বাড়াতে।’
রাজধানীর বেড়ি বাঁধ রাস্তার পাশেই লালবাগ থানার নতুন ভবন। দৃষ্টিনন্দন এই থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে গ্রন্থাগারটি তৈরি হয়েছে। সেখানে প্রবেশ করতেই বাম পাশে চোখে পড়বে পুরো দেয়ালজুড়ে বইয়ের সমাহার।
গ্রন্থাগারে সংগ্রহে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো বই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন উপন্যাস, ছোটগল্প, আইনবিষয়ক বই, গোয়েন্দা গল্পসহ নানা ধরনের সংগ্রহ। মূলত বিভিন্ন বয়সের পাঠকদের কথা চিন্তা করে গ্রন্থাগারটি সাজানো হয়েছে।
গ্রন্থাগারে আসা একজন পাঠক ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মূলত একটি জিডি করার জন্য থানায় এসেছি। কিছুক্ষণ যেহেতু অপেক্ষা করতে হবে তাই লাইব্রেরিতে আসা। বেশ নান্দনিক উদ্যোগ লেগেছে আমার কাছে। কয়েকটি পছন্দের বই পেলাম এখানে সেগুলোর একটি পড়ে সময় কেটে গেল। এমন উদ্যোগ দেশের প্রতিটি থানায় করা গেলে আরও ভালো হবে মনে করি।’
থানার কর্মকর্তাদের অনেকেরই রয়েছে বই পড়ার অভ্যাস। কিন্তু কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার অভ্যাসটা হয় না অনেকের। তাই সুযোগ হলে পছন্দের বইটি বাসায় নিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন:এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
২ বছর আগে
আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আবারও আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনার আভাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘চারদিকে করোনার সংক্রমণের যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে আবারও হয়ত ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে। ভার্চুয়ালি মামলা যে কম নিষ্পত্তি হয় তা কিন্তু নয়, ভার্চুয়ালি বেশিই নিষ্পত্তি হয়।’
এসময় আদালতে উপস্থিত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয় এবং একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ কয়েকজন আইন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
তখন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের ১৩ জন বিচারপতি, স্টাফ এবং নিম্ন আদালতের বেশ কিছু বিচারকও আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বিচার বিভাগকে সচল রাখার প্রয়োজনীয়তায় একপর্যায়ে ২০২০ সালের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরে ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এরপর একই বছরের ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়েছিল।
করোনা সংক্রমণ কমে আসায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ফের শারীরিক উপস্থিতিতে চালু করে কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশে করোনা পরিস্থিতি
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৬৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উচ্চ আদালতে বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অপরিহার্য: প্রধান বিচারপতি
২ বছর আগে
সপ্তাহে ৪ দিন ভার্চুয়ালি চলবে চেম্বার আদালত
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে চারদিন ভার্চুয়ালি চলবে। বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার আড়াইটায় শুধু তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদির শুনানি গ্রহণ করবেন।
গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করায় আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ভার্চুয়ালি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসকের মানহানিকর ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আদালত চলাকালীন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত ১০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইস্যুতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বগুড়ার তুফান
২ বছর আগে
দেশের সব আদালত ভার্চুয়াল করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২১’ উপলক্ষে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়াল করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনলাইনে জামিন নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থা কার্যকরি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি অনলাইন কারণ তালিকা চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট একটি রেকর্ড আদালত, তাই এটির সমস্ত নথি ডিজিটাল নথিতে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং মামলা দায়ের থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমের ডিজিটাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে সকলের দায়িত্ব রয়েছে: রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে আদালত ব্যবস্থাপনায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে। রাষ্ট্রপতি তথ্য প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার পরিচালনার জন্যে আদালত ২০২০ সালের ৯মে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করেছিল, যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।
করোনা মহামারি চলাকালীন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করে, বিচারকেরা তাদের মেধা ও চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কারণ তারা দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: আগামী সপ্তাহে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল,সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনিয়র আইনজীবী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনুষ্ঠানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ তারিখ স্বাধীন বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
৩ বছর আগে
১১ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ৫৩ বেঞ্চে ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু
আগামী ১১ আগস্ট বুধবার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এসব বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালিত হবে। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এই সংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকা নিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত চায় হাইকোর্ট
এরআগে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসারে সোমবার পর্যন্ত ১২টি বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালিত হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৮ আগস্ট রবিবার বিকেলে সরকার ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ জারি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চ(৫৩টি) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫ থেকে ৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২ থেকে ৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬টি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করায় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র তিনটি বেঞ্চ চালু ছিল। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় এবং সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতি করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করায় এবং কর্মকর্তা-কমর্চারিরা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে ফুলকোর্ট সভায় ১২টি বেঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
৩ বছর আগে
ভুটানে ফিরে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা
ঢাকা থেকে ভুটানে ফিরে বৃহস্পতিবার ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ও তার সফর সঙ্গীরা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পার্কিং করা গাড়িতে থাকা কোয়ারেন্টাইন সুবিধায় তিনি গন্তব্যে পৌঁছান।
প্রতিনিধিদলকেও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার জন্য সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়।
আগামী ২১ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সব সরকারি কাজ এবং অনুষ্ঠানাদি ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার পাশে বসে বাংলাদেশের গল্প শুনতে এসেছি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশের ভুটান সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
৩ বছর আগে
দেশে ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’ বিরাজ করছে: বিএনপি
করোনাভাইরাস ও বন্যার প্রভাবে দেশে ‘নীরব দুর্ভিক্ষ’ ছড়িয়ে পড়ায় জনগণ এখন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে বলে বুধবার দাবি করেছে বিএনপি।
৪ বছর আগে
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাস একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাস একদিন বের হবে।
৪ বছর আগে