কূটনৈতিক সম্পর্ক
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
বিস্তৃত ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নীল অর্থনীতি, আর্থিক স্থিতিশীলতা, ডিজিটাল ক্ষমতায়ন, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নকে সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও এক নিবন্ধে বলেন, ‘যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করব এবং মানবজাতির একটি সম্প্রদায়ের অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে অগ্রসর হব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ঐতিহাসিক সুযোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত দুই দেশ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ সব সময় তার নিজস্ব জাতীয় আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকীকরণের পথ অনুসন্ধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন আশা করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণকে জাতীয় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে দ্রুত ও অবিচলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং স্টেট কাউন্সিলের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান।
চীনা নেতারা বলেন, গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা বাস্তবায়নে দুই দেশ যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছে চীন: ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে উৎসাহিত করা, উন্নয়ন কৌশলকে আরও সমন্বিত এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই উন্নয়নশীল ও জনবহুল। নিজ নিজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে দেশ দুটি।
চীন একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছে। একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলেছে। এছাড়াও কার্যকর সমাধান প্রস্তাব করেছে। যেটিতে মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎসহ একটি সম্প্রদায় গঠনের বাস্তবতা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বহুমতের বিশ্ব সমান হওয়া উচিত বলে আমরা সমর্থন করি। অর্থাৎ সব দেশের সমতার ওপর জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে কয়েকটি দেশের একচেটিয়া শাসনের অবসান হতে হবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে উৎসাহিত করতে হবে।’
সব দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর সমাধান করতে হবে এবং বিশ্বের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্য সব দেশের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলা ইতিহাসের সাধারণ ধারা এবং মানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ সব দেশ যৌথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, যা আরও বেশি দেশ উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা তৈরি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
১০ মাস আগে
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক 'ঠিক দিকেই এগোচ্ছে': ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক দিকেই এগোচ্ছে এবং উভয় পক্ষই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে এগিয়ে নেবে।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক শেষে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এ মন্তব্য করেন।
গত মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ২ দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সরকারি সফরে আসা ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ২ দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রযুক্তিগত ও নির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
আরও পড়ুন: 'শান্তি ও স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি চীন-ভারতের
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান নিশ্চিত করেছেন যে ইরানের প্রেসিডেন্ট শিগগিরই সৌদি আরব সফর করবেন।
তিনি ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে সৌদি মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখবে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অগ্রগতিকে উৎসাহিত করবে।
সৌদি কর্মকর্তাও ইরানের প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত সৌদি আরব সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
১ বছর আগে
ঢাকায় পালিত হলো বাংলাদেশ-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১তম বার্ষিকী
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার রাশিয়ান হাউস সেরোভ অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সহযোগিতায় আলোচনা অনুষ্ঠান এবং তরুণ শিক্ষার্থীদের মাসব্যাপী চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পাশাপাশি বাংলাদেশ-রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রোখোতোভ।
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের পরিচালক বলেন, ঢাকায় রাশিয়ান হাউসটি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সোভিয়েত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যার অংশ হিসেবে রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রিয়াদে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
১ বছর আগে
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই বিস্তৃত হয়েছে: রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম
বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, যোগাযোগ, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রই বিস্তৃত হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকায় নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি এবং বাংলাদেশ বুক ক্লাব আয়োজিত শিল্প প্রতিযোগিতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও, ভারত ও ভুটানের পর ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি সপ্তম দেশ হিসেবে নেপাল বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আপাতত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে নেপাল: রাষ্ট্রদূত
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
ঢাকা-সিউল সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অব্যবহৃত প্রতিভা খুঁজবে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর একসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং বার্ষিকীকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে কোইকা অ্যালামনাই নাইট-২০২২-এ বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘটানোর জন্য আমার অনেক পরিকল্পনা এবং চিন্তা রয়েছে। তবে এর জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
যদিও দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, রাষ্ট্রদূত বলেন, এখনও বিপুল অব্যবহৃত সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক কোরিয়ার তৃতীয় এবং অষ্টম বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে কোরিয়ার সম্পর্কের স্তরকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোইকা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (কেবিএএ) সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রধান এজেন্ট এবং সহায়ক হতে পারে এবং হওয়া উচিত।
এ বছর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলে (ইডিসিএফ) অর্থায়নের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোরিয়ান সরকার। যা আগামী পাঁচ বছরে শূন্য দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে।
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন(কেবিএএ) -এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে ‘কোইকা অ্যালামনাই নাইট’ নামে গ্র্যান্ড বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: তৃতীয় এফএমসি: বিস্তৃত অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্মত ঢাকা ও সিউল
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরালো অংশীদারিত্ব চায় সুইজারল্যান্ড। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইগনাজিও ক্যাসিস বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ‘আগের চেয়ে জোরালো অংশীদারিত্বের’ কথা তুলে ধরেন।
প্রেসিডেন্ট ক্যাসিস কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার, শান্তি ও সমৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নসহ ভবিষ্যৎ সহযোগিতার প্রধান প্রধান ক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করেছেন।
পাঁচ দশক আগে এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সুইজারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচার পক্ষপাতমূলক: রুশ রাষ্ট্রদূত
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই মাইলফলকের স্মরণে সুইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অভিনন্দন বার্তায় সুইস প্রেসিডেন্ট দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্রমাগত বিস্তৃতি ও গভীরতর করার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী আসনের প্রার্থী সুইজারল্যান্ড। এজন্য বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পৃক্ততা আরও প্রসারিত’ করার দিকে নজর দেশটির।
আরও পড়ুন: এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
রবিবার দূতাবাস জানায়, গত পাঁচ দশক ধরে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের এক নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগী।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন সিএইচএফ (এক দশমিক তিন বিলিয়ন ইউএস ডলার) বিনিয়োগ করেছে।
২ বছর আগে
মার্কিন চাপের কথা প্রত্যাখ্যান ঢাকার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো চাপ নেই। আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
মঙ্গলবার বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র চাপে রেখেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,‘মোটেই না, একেবারেই না।’
এরপর মার্কিন চাপের বিষয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মিডিয়া রিপোর্টের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি এ ব্যাপারও অস্বীকার করে বলেন, ‘কমিটির কোনো সদস্য এই ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি (বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে)।‘
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির যেকোনো কথোপকথন অত্যন্ত গোপনীয়। এই কথোপকথন কমিটির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, আগামী মাসে ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’সহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেন থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
শাহরিয়ার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্সের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
ব্লিঙ্কেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের আমন্ত্রণ এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি এই সম্পৃক্ততাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রও বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আগ্রহী।’
সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বাংলাদেশ মিশনগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি বর্তমান ও প্রাক্তন র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে।
এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন করার সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ‘এগিয়ে ও চালিয়ে যেতে’ ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
পিটার ডি হাস আগামী মার্চের শুরুতে ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পিটার আরও বলেছেন, তারা বছরব্যাপী কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করতে চান এবং সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে চান। এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে তার স্বীকৃতি দিতে চান।
পড়ুন: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্চ মাসে ‘অংশীদারিত্বের সংলাপ’ এর পরবর্তী রাউন্ড আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। কারণ দুই পক্ষই পারস্পরিক স্বার্থের মূল বিষয়গুলোতে ‘গভীর সম্পৃক্ততা’ রক্ষা করতে চায়৷
উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগে ত্রাণ, শাসন, বিশেষ করে মানবাধিকার, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা সম্পর্কিত বিষয় এবং অংশীদারিত্ব সংলাপে করোনা মহামারি ইস্যুতে সহযোগিতা পর্যালোচনা ও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাম্বাসেডর ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সংলাপের সহ-সভাপতিত্ব করতে ঢাকায় আসবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার: যুক্তরাষ্ট্র
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সন্তোষজনক যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর হচ্ছে এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, বিনিয়োগ ও সেবা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অপার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদানের বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে অব্যাহত আর্থ-সামাজিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্রের চর্চা, শান্তি স্থাপন ও বজায় রাখা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার অংশীদারিত্ব আরও বর্ধিতকরণ দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রেখে এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে, আমাদের দুই দেশই একযোগে বন্ধুত্বের ঐতিহ্যবাহী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক কিছু করেছে।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাজনৈতিক সংলাপ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ও প্রাথমিকভাবে জাতিসংঘ এবং এর বিশেষ সংস্থাগুলোর মধ্যে গঠনমূলক বোঝাপড়া।
রাশিয়ার মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, মানবিক এবং অন্যান্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ক্রমাগতভাবে বিকশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘রূপপুর’ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন।
রুশ মন্ত্রী ড. মোমেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সকল সহকর্মীদের সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী: রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন
ভারত-রাশিয়ার মধ্যে একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরির চুক্তি স্বাক্ষর
২ বছর আগে
আগামী বছর টোকিও সফর করবেন শেখ হাসিনা, প্রত্যাশা জাপানের
জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, জাপান প্রত্যাশা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালে জাপানে আনুষ্ঠানিক সফর করবেন।
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এই দিনে বাংলাদেশ ও জাপান তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের রাষ্ট্রদূত নাইকো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস জাপানের
জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত সম্প্রসারিত দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ঢাকা ও টোকিও উভয় স্থানেই উপযুক্ত স্মারক অনুষ্ঠান আয়োজনে একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ২০২২ সালে মেট্রো রেল লাইন ৬ এর উদ্বোধন ৫০ তম বার্ষিকীতে একটি যথাযথ অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে জাপান
এসময় তিনি আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী বছর থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জাপানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দেখতে পাবে বলে উল্লেখ করেন।
শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন সহায়তার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আরও বেশি জাপানি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।
তিনি জাপানের প্রতি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করার জন্য তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত নাওকি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে জাপান সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে: মিয়া সেপ্পো
২ বছর আগে