প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সন্তোষজনক যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর হচ্ছে এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, বিনিয়োগ ও সেবা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অপার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদানের বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে অব্যাহত আর্থ-সামাজিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্রের চর্চা, শান্তি স্থাপন ও বজায় রাখা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া