সিডিসি
নিরাপদ খাবার পানি: দ. এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম, বিশ্বে ১২৮তম
আমরা মনে করি বাংলাদেশে আমরা যে কলের পানি পান করি, তা নির্দ্বিধায় পানযোগ্য। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
২০২২ এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইনডেক্সে (ইপিআই) ১০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬ দশমিক ৯০ মান অর্জন করেছে, যার অর্থ আমাদের দেশের কলের পানি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পানির অন্তর্ভুক্ত।
দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপদ পানীয় জলের প্রবেশাধিকারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম এবং সামগ্রিকভাবে ১২৮তম।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শুধু নেপাল (২৫ দশমিক ৯০), ভারত (১৮ দশমিক ৩০) ও পাকিস্তান (১৫ দশমিক ৩০) এর চেয়ে এগিয়ে।
এই অঞ্চলে শ্রীলঙ্কা ৪৬ দশমিক ৭০ স্কোর নিয়ে প্রথম, এরপর যথাক্রমে মালদ্বীপ (৪১ দশমিক ২), ভুটান (৩১ দশমিক ৫) ও আফগানিস্তানের (২৭ দশমিক ৮০) অবস্থান।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির ইপিআই সূচক, অনিরাপদ পানীয় জলের সংস্পর্শে আসার কারণে প্রতি এক লাখ জনে (ডেলি হার)প্রাণ হারানো, শারিরীক অক্ষমতা ও অন্যান্য ঝুঁকিতে পড়া মানুষের সংখ্যা মূল্যায়ন করে বিশ্বের ১৮০টি দেশের পানীয় জলের গুণমান বিচার করে।
তালিকার সব দেশকে ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত মান দিয়ে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। ১০০ মান অত্যন্ত নিরাপদ পানীয় জল নির্দেশ করে এবং ০ মান সবচেয়ে অনিরাপদ পানীয় জল নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন: সবার জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ স্বাধীন টয়লেট্রিজ সামগ্রীর পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতা কিউএস সাপ্লাইস ইপিআই ও সিডিসির তথ্য ব্যবহার করে ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের একটি নতুন সেট তৈরি করেছে পরিস্থিতির তীব্রতা চিত্রিত করতে এবং যে দেশগুলোর কলের পানি ব্যবহার করা নিরাপদ এবং নিরাপদ নয় সেগুলোকে চিহ্নিত করেছে।
সিডিসি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে বাংলাদেশে কল থেকে যে পানি বের হয় তা পান করা নিরাপদ নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ পানির সংকটে থাকা দেশগুলোতে বাস করে এবং একই সংখ্যক মানুষ মলমূত্র দ্বারা দূষিত পানীয় জলের উৎস ব্যবহার করে।
এ অবস্থার কারণে প্রতিবছর কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও পোলিওসহ ডায়রিয়াজনিত রোগ পানীয় জলের মাধ্যমে ছড়ায়। এসব পানির সাধারণ রাসায়নিক দূষকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সীসা, পারদ, কীটনাশক, ফার্মাসিউটিক্যালস ও মাইক্রোপ্লাস্টিক।
ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের কেন্দ্রে ১০০-রেটেড দেশগুলোর সবগুলোই ইউরোপীয় দেশ এবং সর্বনিম্ন রেটিং পাওয়া ২৪টি দেশের সবগুলোই আফ্রিকার।
সিডিসি ১৮০টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র ৫০টি দেশের পানিকে পানযোগ্য ট্যাপ ওয়াটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ইউএস ডিজিজ কন্ট্রোল এজেন্সি এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ অংশে এবং আফ্রিকার প্রতিটি দেশের কলের পানি পান করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে।
ট্যাপের পানির সুরক্ষায় সিডিসির পরামর্শ অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার কোনও দেশেই পানযোগ্য ট্যাপের পানির সরবরাহ নেই।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: মোংলায় ৮৫ শতাংশ মানুষের নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই
গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি সবরাহ করতে ২০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
১ বছর আগে
৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেয়ার আহ্বান সিডিসির
মার্কিন সরকারের উপদেষ্টারা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বুস্টার ডোজ হিসাবে ফাইজারের টিকা দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দ্রুত প্যানেলের এই সুপারিশটি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। ঠিক যেমনটা ইতোমধ্যেই ১২ বা তার বেশি বয়সের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
সিডিসি পরিচালক ডা. রোচেল ওয়ালেনস্কি একটি বিবৃতিতে বলেছেন,আশা করা হচ্ছে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের সুরক্ষা বাড়িয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৩০ লাখ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন,আমরা জানি এই ভ্যাকসিনগুলো নিরাপদ, এবং আমাদের অবশ্যই সুরক্ষিত শিশুদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইজারের বাচ্চাদের বুস্টার অনুমোদন করেছে, যা তরুণদের দেয়া শেষ ডোজের অন্তত পাঁচ মাস পরে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের করোনার পিল ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
২ বছর আগে
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় কার্যকর বুস্টার ডোজ: সিডিসি
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এবং অসুস্থতার মাত্রা কমাতে টিকার বুস্টার ডোজ কার্যকর বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি)।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সিডিসির করা এ সংক্রান্ত তিনটি গবেষণার ফল প্রকাশ করে বলা হয়- এই তিন গবেষণা থেকে জানা যায়, করোনার বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা ওমিক্রন থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের করা বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় প্রচলিত টিকাগুলো করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর। তবে, এটিও ঠিক যে দুই ডোজ টিকা ও বুস্টার ডোজ নেয়া লোকেরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালোভাবে লড়াই করতে পারছে এবয় খুব দ্রুতই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
সিডিসির করা প্রথম গবেষণায় আগস্ট থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যের হাসপাতালে ভর্তি এবং জরুরি ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের ওপর পরিচালিত হয়েছে।
করোনার চিকিৎসা সেবা দেয়া হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজার বা মডার্না টিকার তি ডোজের কার্যকারিতা সবচেয়ে ভাল বলে তারা মনে করছে। এই দুই টিকার দুই ডোজ গ্রহণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেলেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা কমে ৮২ শতাংশে নেমে আসে।
এই গবেষণায় বিশেষজ্ঞেরা শুধু সংক্রমণই নয়, গুরুতর রোগ প্রতিরোধের ওপরও জোর দিয়েছেন। সেই হিসেবে আশাপ্রদ খবর হলো টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অন্তত ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা
দ্বিতীয় গবেষণাটি এপ্রিলের শুরু থেকে ডিসেম্বরে বড়দিন পর্যন্ত ২৫টি রাজ্যে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হারের ওপর করা হয়েছে। এ গবেষণায় দেখা যায়, যখন ডেল্টা খুবই কার্যকর ছিল এবং যখন ওমিক্রন বাড়তে শুরু করে, এই দুই সময়েই যে সমস্ত লোকেরা বুস্টার ডোজ নিয়েছিল, এই টিকা তাদের করোনভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
সিডিসি এই দুটি নিবন্ধ অনলাইনেও প্রকাশ করে।
সিডিসি গবেষকদের নেতৃত্বে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল তৃতীয় গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। এটি ১০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চার হাজার ৬০০টিরও বেশি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত লোকদের ওপর করা হয়েছে।
এ গবেষণায় দেখা যায়, ফাইজার ও মডার্না টিকার তিনটি ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা না দেয়া মানুষের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ কার্যকর ছিল। যদিও দুই ডোজ টিকা নেয়ার কয়েক মাস পরে যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে তাদের শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো সুরক্ষা দেখা যায়নি।
গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য সিডিসির এমা অ্যাকরসি বলেছেন, এটি সত্যি যে,একটি বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সিডিসির ডিরেক্টর ডা.রোচেল ওয়ালেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আপনার যদি টিকার বুস্টার ডোজ নেয়ার সময় হয় এবং আপনি এটি না নিয়ে থাকেন তবে আপনি যথেষ্ট সচেতন নন এবং দ্রুত আপনাকে বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্তের ৭৩ শতাংশ এখন ওমিক্রন
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস শনাক্তের প্রায় ৭৩ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। সোমবার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহে ওমিক্রন সংক্রমণের পরিমাণ প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশটির কোনো কোনো অঞ্চলে ওমিক্রন শনাক্তের হার আরও বেশি। নিউইয়র্ক, দক্ষিণপূর্ব ও উত্তরপশ্চিম এলাকায় এর হার প্রায় ৯০ শতাংশ।
হাল নাগাদ তথ্যে, গত সপ্তাহে দেশটিতে ৬ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন থেকে দেশটিতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা দেয়। নভেম্বরের শেষের দিকে ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
সিডিসির পরিচালক ডা. রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, অন্যান্য দেশে যে ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট সেটাই প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের এই সংখ্যা বেশি হলেও আশ্চর্যজনক নয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ছাড়িয়েছে
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৫২৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ সাত হাজার ৯৪৫ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৭ হাজার ৮৭৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৬ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৪ জনে।
এছাড়া রাশিয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ৬৪ হাজার ২৯০ জন ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৩১ জনে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, ৮৯ দেশে শনাক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ভারতে শিখ মন্দিরের ভেতর একজনকে পিটিয়ে হত্যা
২ বছর আগে
১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকার সুযোগ আছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার পর ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকা দেয়ার সুযোগ থাকবে। এর মধ্যেই সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করছে টিকা সংগ্রহের জন্য। আমরা আশাবাদী, এই টিকা সংগ্রহ হবে এবং দ্বিতীয় ডোজ সবাই পেয়ে যাবেন।’
বুধবার (২৬ মে) অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রয়েছে, আর দ্বিতীয় ডোজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, সেটা দিয়ে প্রথম ডোজ গ্রহীতা সবাইকে টিকা দেয়া যাবে না।’
তিনি জানান, একই সাথে চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫০১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে এবং তাদের কারও মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। আগামী সাত থেকে ১০ দিন তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে এ সময় জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসা ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বিরল জাতের রোগ, এটি খুব বেশি সংখ্যক মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত আমাদেরকে বলে না। তবে অবশ্যই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এতে কোন সন্দেহ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা গত কিছুদিন যাবৎ ক্রমাগত কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, তাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করছি। একইসাথে এই রোগ মোকাবিলায় যেসব ওষুধপত্র লাগে, সেগুলো কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেব।’
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তাই এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন দাম নিয়ে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিশ্চিত করে ফলাফলগুলো হাতে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা যদি একটুখানি অপেক্ষা করি, তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে সবাইকে জানাই তাহলে সবার মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হবে না। এখানে আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরণের উদ্বেগ বা উত্কণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই রোগটি আদিকাল থেকে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রাদুর্ভাব ও সংখ্যাধিক্য দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেসব রোগীর ক্ষেত্রবিশেষ স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয় ও যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলাইটাস আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর পর্যবেক্ষণে করছি, আমরা আশা করছি এটি কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না।
৩ বছর আগে
ছুটির দিনে বাড়িতে থাকতে সিডিসির আহ্বান
ছুটির দিনে ভ্রমণ না করে বাড়িতে থাকতে, অথবা ভ্রমণে যদি যেতেই হয় তাহলে যাওয়ার এবং আসার পর অন্তত দুবার করোনা পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
৩ বছর আগে
রেস্তোরাঁ বন্ধ করুন, স্কুল খুলে দিন: মার্কিন বিশেষজ্ঞ
‘স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং উন্নতির ওপর সুস্পষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে’ উল্লেখ করে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাংলাদেশের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
৩ বছর আগে
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে।
৪ বছর আগে
মার্কিন রাজ্যগুলোকে ১ নভেম্বরের মধ্যে টিকা বিতরণের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) দেশটির রাজ্যগুলোকে করোনাভাইরাসের একটি সম্ভাব্য টিকা ১ নভেম্বর নাগাদ বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
৪ বছর আগে