শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৫ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ লাখ ৩ হাজার ৩৫২ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশেটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ লাখের উপরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বৃহস্পতিবার নতুন এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে দেশটিতে কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৬৮ জন আক্রান্ত এবং এক লাখ ১২ হাজার ১৬১ জন রোগীর মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখ ৩০০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৪ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৩ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫২৭ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫০৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৭.৮৯ শতাংশ।
করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৭৭টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২১ লাখ ৪০ হাজার ১২৯টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.২৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৮.০৪ শতাংশ।
নতুন যে ১৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন এবং নারী দুইজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩২৭ জন বা ৭৬.৯৫ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২৯৬ জন বা ২৩.০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।