তদারকি
ডিমের মজুতের বিষয়টি তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ডিমের দাম কিছুটা বেশি। হিমাগারে ডিম মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি তদারকি করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে। চালের কোনো ঘাটতি নেই, দাম স্থিতিশীল আছে। আলুর উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে, পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত আছে, কোনো সমস্যা হবে না।
সোমবার(২৭ মে) সচিবালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও মজুত কার্যক্রম তদারকিবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মনিটরিং চলছে। আমরা কিন্তু বসে নেই, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আমাদের সচিবদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমাদের সচিবরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো জেলার ডিসিকে ফোন করেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আমরা এই তিন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বসেছিলাম। যেটুকু ফলাফল পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম সেটুকু ফলাফলের আমরা অনেকাংশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, আজকেও আমরা একমত হয়েছি। বর্তমান অবস্থা কি এবং আমরা ভবিষ্যতে কী কী ব্যবস্থা নিতে পারি। সামনে আমাদের বাজেট আসছে। বাজেট আসার পর একটা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
আগামীতে সব পর্যায়ের বাজার ব্যবস্থা যাতে আরও সুন্দরভাবে নিশ্চিত হয়, সে জন্য সবাই কাজ করার জন্য একমত হয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, অতীতেও একমত ছিলাম। এটাতে আরও নতুন নতুন কিছু বিষয় যোগ হয়েছে কি না সেটা আমরা আলোচনা করেছি।
দেশে মূল্য পরিস্থিতি সহনীয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। না হলে কিন্তু আপনারা দেখতেন দুইদিন পরপর মিছিল মিটিং এগুলো হতো। আমরা তো মিছিল করেই এত বড় হয়েছি। এগুলো নিয়ে তো আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব নেই।
মন্ত্রী বলেন, চাল, চিনি, আদা, রসুন সব কিছুরই তুলনামূলক চিত্র আমরা দেখেছি, আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কেমন। সব জায়গায় আমরা একটা প্রিমিয়াম পজিশনে আছি। তাই আমি বলবো আমাদের দেশের নাগরিকদের অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। জনগণকে আমরা সন্তুষ্ট রাখার জন্য সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আগামীতে চালিয়ে যাব।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সজাগ আছেন। তিনি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কালকে হয়তো উনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে আমাদের কথা হবে, আমরা যে আজকে সভা করেছি সেটি তাকে অবহিত করব।
কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে তদারকি বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে তদারকি বাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি
সোমবার (৬ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাক্ষাৎ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মসিউর রহমান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার ও রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে এবং যোগ্য নাগরিক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি ক্যাম্পাসে বিদ্যমান শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক কর্মসূচি চালুর পরামর্শ দেন।
উপাচার্য এ বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৭ মাস আগে
তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে কারখানায় তদারকি আবশ্যক: গবেষণা
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ নিরীক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কীকরণের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নকে দুর্বল করার জন্য তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক গবেষণাটি বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা (জিএইচডব্লিউ) বাস্তবায়নকে‘বিলম্বিত এবং দুর্বল’ করার জন্য তামাক শিল্পের প্রচেষ্টার ওপর সমীক্ষা চালায়।
প্রজ্ঞার পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) প্রক্রিয়াটিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে কারখানার সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সমীক্ষা অনুসারে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) সবচেয়ে সক্রিয় ছিল এবং একমাত্র কোম্পানি যেটি জিএইচডব্লিউ বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একা কাজ করেছিল।
গবেষণাটি বাংলাদেশ সরকারকে ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিকেল পাঁচ দশমিক তিন নির্দেশিকা গ্রহণ করার এবং তাদের বাস্তবায়নকে নীতিগত অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক ছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের পরিচালক অধ্যাপক আনা বি গিলমোর; ডা. ব্রিটা কে ম্যাথস, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের গবেষণা সহযোগী; এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক তামাক বিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রোগ্রেস) এর চারজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনজীবী – এবিএম জুবায়ের, প্রোগা’র নির্বাহী পরিচালক, মো. হাসান শাহরিয়ার, প্রোগ্রামের প্রধান, মো. শাহেদুল আলম, অ্যাডভোকেসি প্রধান এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মিডিয়া ম্যানেজার মো. মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
না’গঞ্জের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মসজিদ নির্মাণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, যথাযথ নকশা অনুসরণ করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দেশের মসজিদগুলো নির্মাণ করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ জাতীয় ঘটনা না ঘটে সেবিষয়টি তদারকি করা জরুরি।
৪ বছর আগে