প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশেই মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছেমতো… মানে এসি লাগাচ্ছেন, বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন, সে জায়গাটা আদৌ একটা স্থাপনা করবার মতো কিনা, বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া বা সেভাবে নকশাগুলো করা হয়েছে কিনা- সে বিষয়গুলো কিন্তু দেখা একান্ত প্রয়োজন। নইলে নারায়ণগঞ্জের মতো এ ধরনের দুর্ঘটনা যে কোনো সময় ঘটতে পারে।’
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুজন সাংসদ- অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং ইসরাফিল আলমের পাশাপাশি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের ৯ম অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল তার কারণ জানতে সরকার ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি করেছে।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি কেন ঘটল, কীভাবে ঘটল, সেটার ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। আমি বলতে চাই কারণটা অবশ্যই বের করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং বিদ্যুত ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার পেছনের কারণগুলো শনাক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মৃতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন, শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।