ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ নিরীক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কীকরণের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নকে দুর্বল করার জন্য তামাক শিল্পের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক গবেষণাটি বাংলাদেশে গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কতা (জিএইচডব্লিউ) বাস্তবায়নকে‘বিলম্বিত এবং দুর্বল’ করার জন্য তামাক শিল্পের প্রচেষ্টার ওপর সমীক্ষা চালায়।
প্রজ্ঞার পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) প্রক্রিয়াটিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে কারখানার সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সমীক্ষা অনুসারে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) সবচেয়ে সক্রিয় ছিল এবং একমাত্র কোম্পানি যেটি জিএইচডব্লিউ বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একা কাজ করেছিল।
গবেষণাটি বাংলাদেশ সরকারকে ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিকেল পাঁচ দশমিক তিন নির্দেশিকা গ্রহণ করার এবং তাদের বাস্তবায়নকে নীতিগত অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক ছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের পরিচালক অধ্যাপক আনা বি গিলমোর; ডা. ব্রিটা কে ম্যাথস, বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা গ্রুপের গবেষণা সহযোগী; এবং বাংলাদেশ ভিত্তিক তামাক বিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রোগ্রেস) এর চারজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনজীবী – এবিএম জুবায়ের, প্রোগা’র নির্বাহী পরিচালক, মো. হাসান শাহরিয়ার, প্রোগ্রামের প্রধান, মো. শাহেদুল আলম, অ্যাডভোকেসি প্রধান এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মিডিয়া ম্যানেজার মো. মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী