পিকে হালদার
অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২ ধারায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, মামলার অপর ১৩ আসামিকে অবৈধ সম্পদের অর্জনের দায়ে ৩ বছর এবং মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে ৪ বছর করে মোট ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
১ বছর আগে
পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
দেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারে ভারত। চলতি বছরের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গের ফেডারেল অর্থনৈতিক অপরাধ সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হালদারকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘যেহেতু ইন্টারপোল গত বছর হালদারের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল, তাই ইডি শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।’
ইডি চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে একাধিক অভিযান চালিয়ে হালদার এবং তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
ইডি তখন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পিকে হালদার বিভিন্ন সরকারি পরিচয় জালিয়াতি করে সবশেষে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক পরিচয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন…।’
ইডি আরও জানায়, এই তিনজনই জাল নথির ভিত্তিতে ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিল।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
২ বছর আগে
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
আগামী ১৩ অক্টোবর তাকে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
শেষে চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
২ বছর আগে
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কানাডায় অর্থ পাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রায় তিন ডজন মামলার মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলার বিচার শুরু হলো।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন, পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
আজ শুনানিকালে কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।
পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে শুনানি হয়নি। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷
চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান, তালা দিয়ে পালালেন মালিকরা
পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
২ বছর আগে
আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পিকে হালদারকে বাংলাদেশে আনতে হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, পলাতক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী পিকে হালদারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণের আগে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অর্থ পাচার এবং একাধিক আর্থিক অপরাধের জন্য বাংলাদেশে ওয়ান্টেড হালদারকে রবিবার ভারতের ফেডারেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দোরাইস্বামী বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়া এবং এটি ক্রিসমাস কার্ড বিনিময় করার মতো নয়।
তিনি বলেন, ‘এগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। এটা ধীরে ধীরে হবে।’
তিনি বলেন, তারা (ভারত) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক সময় তাদের (ভারতের) পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এর আগে হাইকমিশনার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
তার বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বিষয়টি উত্থাপন করে এবং পিকে হালদারকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের সমর্থন চান।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার এ বিষয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
২ বছর আগে
আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
কলকাতার একটি বিশেষ আদালত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়েছে।
যদিও ইডি হালদারকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য’ আরও দুই সপ্তাহ চেয়েছিল,তবে মঙ্গলবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত সংস্থাটিকে ১০ দিন সময় দেয়।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ইডির অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া হালদার ও তার দুই সহযোগীর তিন দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে আজ আবার আদালতে তুলছে ইডি, বাড়তে পারে রিমান্ড
তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারও তার সঙ্গে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার ওপার বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অভিযানে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তিনজনই জালিয়াতি নথির ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানিটি স্থানান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
পিকে হালদারকে আজ আবার আদালতে তুলছে ইডি, বাড়তে পারে রিমান্ড
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে আজ আদালতে তুলবে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
মঙ্গলবার কলকাতার একটি আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড বাড়ানোর আবেদন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ইডির অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া হালদার ও তার দুই সহযোগীর তিন দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, রিমান্ড বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ইডি হালদারকে দেশের প্রধান তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কাছে হস্তান্তর করতে চায়।
আরও পড়ুন: কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারও তার সাথে পলাতক ছিলেন।
শুক্রবার ওপার বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অভিযানে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তিনজনই জালিয়াতি নথির ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানিটি স্থানান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
কোন কোন দেশে টাকা পাচার করেছেন পিকে হালদার, জানতে চান হাইকোর্ট
কোন কোন দেশে পিকে হালদার টাকা পাচার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে)হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিশ্চিত করেন।
গত ১৩ মে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার কয়েক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)। পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
গ্রেপ্তারের পর ইডি সাংবাদিকদের জানায়, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর শিবশঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিকের সনদ যোগাড় করেন পিকে হালদার। পশ্চিমবঙ্গের নকল রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ডও তৈরি করান পিকে।
সংস্থাটি আরও জানায়, পিকে হালদার এবং তার সহযোগীরা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় নকল নাগরিক সনদ দেখিয়ে জমি কিনেছেন। গত ১৬ মে (সোমবার) ভারতে গ্রেপ্তারে হওয়ার বিষয়টি উপরোক্ত বেঞ্চের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে স্বত:প্রণোদিত হয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে ওই রুলের ওপর ১২ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএলএফএসএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে পিকে হালদারের বিদেশ পালানোর পর ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি দুদক তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই সে দেশ থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ‘পিকে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেপ্তার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বত:প্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দেশে ফেরাতে পদক্ষেপ নেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, দুদক থেকে পাঠানো নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে জারির প্রায় দু’ঘন্টা আগেই ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পিকে হালদার দেশত্যাগ করেন।’ সর্বশেষ গত বছরের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারী পিকে হালদারের বান্ধবী ৩ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে
পিকে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো তথ্য আসেনি বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি পিকে হালদার গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের ওয়ারেন্টেড ব্যক্তিত্ব। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে অনেক দিন ধরেই চাচ্ছিলাম। তিনি এখন গ্রেপ্তার হয়েছে আমাদের কাছে এখনও অফিশিয়ালি কোনো তথ্য দেশে আসেনি।’
১৫ মে (রবিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পিকে হালদারকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার বিষয়ে যা করবো আইনগতভাবেই করব এবং আইনগতভবেই তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে শনিবার পলাতক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী পিকে হালদার এবং তার দুই সহযোগীকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)।
গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন-হালদারের সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদার।
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মানি লন্ডারিং এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার পলাতক ছিলেন।
অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
পড়ুন: পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
পিকে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার
পলাতক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার এবং তার দুই সহযোগীকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্ট (ইডি)।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে একাধিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- হালদারের সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদার।
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মানি লন্ডারিং এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনার পর থেকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি হালদার পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ৯০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা
অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিকে হালদার জালিয়াতি করে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তিনজনই জালিয়াতি নথির ভিত্তিতে ভারতে কোম্পানিটি স্থানান্ত করেছে।
সূত্র ইউএনবিকে আরও জানিয়েছে, তিনজনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। তবে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাননি বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
২ বছর আগে