জাহাজ
ভারত থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে আরও একটি জাহাজ
ভারতের কাকিনাড়া বন্দর থেকে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়েছে জাহাজ এমভি এসডিআর ইউনিভার্স। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এটি ভারত থেকে আসা চালের দ্বিতীয় চালান।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি কর্ণফুলী চ্যানেল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়ে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ফারুক জানান, গত ৮ জানুয়ারি জাহাজটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে রওনা দেয়।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর ভারত থেকে চালের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছিল জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম।
জাহাজ পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় এজেন্ট ‘সেভেন সিস শিপিং লাইন’-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ভারত থেকে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে।
৬৩ দিন আগে
মাস্টারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই হত্যাকাণ্ড ঘটান দীর্ঘদিন বেতন-বঞ্চিত ইরফান
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল, তা আলোর মুখ দেখেছে।
র্যাবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আকাশ মণ্ডল ইরফান নামের ওই যুবক জাহাজের কর্মকর্তাদের সহকারী হিসেবে কাজ করলেও দীর্ঘ ৮ মাস ধরে তাকে বেতন-ভাতা দিতেন না মাস্টার গোলাম কিবরিয়া। এমনকি, প্রায়ই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। এসব থেকে থেকে একটু একটু করে ক্ষোভের পাহাড় জমা হয় ইরফানের মনে। আর তা থেকেই মাস্টারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
তবে প্রাথমিকভাবে মাস্টার কিবরিয়া ছাড়া আর কাউকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল না ইরফানের। কিন্তু মাস্টারকে হত্যা করার ঘটনা দেখে ফেলায় বিপদে পড়েন বাকিরাও। একে একে ইরফানের শিকার হন তারাও।
র্যাবের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান জানিয়েছেন, জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাজার করতে পাবনার একটি বাজারে নামেন তিনি। সেখান থেকে বাজারের কেনাকাটার পাশাপাশি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধও কিনে নেন। এরপর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করেন। পরে হাতে গ্লাভস পরে জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। সবার মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে মনে হওয়ায় জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় পৌঁছে অন্য একটি ট্রলারে করে তিনি পালিয়ে যান।
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরে গলায় কুড়ালের কোপে আহত হয়েও বেঁচে যাওয়া জুয়েল নামের একমাত্র ব্যক্তি জানান, তিনিসহ মোট ৯ জন জাহাজে ছিলেন। নবম ওই ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তার সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানেন বলে লিখে জানান তিনি।
আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
এছাড়া গতকাল রাতেই এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ।
এরপর অভিযান চালিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে হ্যান্ড গ্লাভস, লোট ব্যাগ, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা, রক্তমাখা জিন্স প্যান্ট ও খুন হওয়া ব্যক্তিদের পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ মোট ৭টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব ১১ কুমিল্লার উপ-অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।
২৬ বছর বয়সী আকাশ মণ্ডল ইরফান বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে।
এর আগে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে হাইমচরের মেঘনা নদীর ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করে রাখা সারবাহী জাহাজ থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। একইসঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: তদন্ত কমিটি গঠন
ঘটনাটি শুরুতে ডাকাতি বলে ধারণা করা হলেও মঙ্গলবার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে নিহতদের স্বজনরা লাশ গ্রহণের সময় এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
পরে গতকালই চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
৮১ দিন আগে
জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: তদন্ত কমিটি গঠন
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতিকালে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইউএনবিকে বলেন, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও থাকছেন কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি।
এই কমিটি আমাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
এর আগে, সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
৮২ দিন আগে
মোংলায় পশুর চ্যানেলে ২ জাহাজের সংঘর্ষ, জেলে নিখোঁজ
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে বিদেশি বাণিজিক জাহাজের সঙ্গে কয়লাবাহী একটি লাইটার জাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টারে দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় অবস্থিত ওমেরা জেটিতে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমটি এরা স্টার ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন এলপিজি ডিসচার্জ করে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় যাওয়ার পথে পশুর চ্যানেলের জে-৮ রেড বয়ারের কাছাকাছি এলাকায় বিপরীত থেকে আসা কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজ এম. ভি মিজানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এবার বিএসসির আরেক জাহাজে আগুন
এতে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমটি এরা স্টারের ক্ষতি না হলেও কয়লা বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ এম.ভি মিজান এর সামনের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিষয়টি বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পেরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মুরিং বোট এম এল মতি ও টাগ বোট এম টি শিবসা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইটার জাহাজটিকে উদ্ধার করে কাইনমারি চরে নিরাপদে নিয়ে এসে নোঙর করে। এম ভি মিজান লাইটারেজ জাহাজের ৭ জন ক্রু অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
তবে বাণিজ্যিক জাহাজ ও লাইটারেজ জাহাজের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ঢেউ এর তোড়ে ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা একটি কাঁকড়ার নৌকা থেকে নদীতে পড়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া লোকমান হাওলাদার (১৮) খুলনা জেলার দাকোপ উপেজলার রূয়াটা এলাকার মৃত গণি হাওলাদারের ছেলে।
নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে কোস্ট গার্ড দুইটি হাই স্পিড বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
১৩৪ দিন আগে
পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৭ নম্বর ডলফিন জেটির অদূরে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারের অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে থাকা জাহাজটিতে আগুন লাগে।
নিহতরা হলেন, বিএসসির নিজস্ব মেরিন ওয়ার্কশপের চার্জম্যান চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের মো. হারুন এবং বরিশাল মেরিন একাডেমির ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলীতে জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের ৮টি গাড়ি পাঠানো হয়। এসময় সেখান থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ।
তিনি বলেন, জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ। জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
জাহাজে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
১৬৭ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় জাহাজে হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
লোহিত সাগরে জাহাজে সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুমোদন দেওয়া ওই প্রস্তাবে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার বিষয়ে জরুরিভাবে সমাধানের আহ্বানও জানানো হয়।
তবে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা এ হামলা চালাচ্ছে- এমন কোনো দাবি প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে হুথিদের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মাসিক প্রতিবেদনের শর্ত বাড়িয়েও ১২-০ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। তবে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের হুদেইদায় মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলায় নিহত ১৬
হুথিরা বলছে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গাজা উপত্যকায় যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
প্রস্তাবে হুথিদের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। আর বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের হামলার উদ্দেশ্য গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। প্রস্তাবে ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং সামুদ্রিক সুরক্ষা ব্যাহত করার ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বসহ মূল কারণগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। আর গাজা -ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হুথিরা নৌপথে ৬০টিরও বেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নভেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের হামলায় চার নাবিক নিহত, একটি জাহাজ জব্দ এবং আরও দুটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে হুথিদের ৪টি নৌকা ও ২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হুথিদের দাবি, তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। তবে যেসব জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই সঙ্গে ইরানসহ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিদ্রোহীদের মতে, হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় জানুয়ারি থেকে হামলা হুথিদের লক্ষ্য করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান চালানো হয়েছে। ধারাবাহিক হামলার অংশ হিসেবে মে মাসের ৩০ তারিখের হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় হুথিরা উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। ফলে রাজধানী সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার পালাতে বাধ্য করে। পরের বছর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারি বাহিনীর সমর্থনে হস্তক্ষেপ করে। একপর্যায়ে এই সংঘাত সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধে রূপ নেয়।
যদিও ২০২২ সালে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতির পর থেকে লড়াই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে এই যুদ্ধের ফলে আরব অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবটি গত ১০ জানুয়ারি গৃহীত একটি প্রস্তাবের ফলো-আপ রেজোলিউশন। এতে হুথিদের হামলার নিন্দা ও অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়। ‘লোহিত সাগর এবং বিস্তৃত অঞ্চলে পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে সতর্কতা ও সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবারের ভোটের পর প্রস্তাবটি উত্থাপনকারী যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, হুথিদের হামলা 'আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।' এটি একটি 'বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ' এবং এর 'বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পরিষদ আবারও হুথিদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। ‘অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করুন।’
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
তিনি হুথিদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবটি ইয়েমেনের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করে এমন হুথি ও অন্যদের উপর ২০১৫ সালের জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে সব দেশকে মনে করিয়ে দেয়।
রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত আন্না ইভস্টিগনেভা বলেছেন, মস্কো লোহিত সাগর এবং ইয়েমেন সংলগ্ন অন্যান্য জলসীমায় নৌ চলাচলের নিরাপত্তাকে সমর্থন করেন। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন যে ‘তথাকথিত মার্কিন জোট’ হুথিদের উপর তার আক্রমণকে বৈধতা দিতে জানুয়ারির প্রস্তাবটি ব্যবহার করছে।
ইভস্টিগনেভা বলেন, 'আমরা জোটের সব অংশগ্রহণকারীকে অবিলম্বে অবৈধ হামলা বন্ধ করার এবং ইয়েমেনসংলগ্ন জলসীমায় উত্তেজনা কমাতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘে চীনের উপরাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং বলেছেন, বেইজিং হুথিদের বারবার বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু জানুয়ারিতে তারা ভোটদানে বিরত থেকেছে। কারণ, প্রস্তাবের কিছু মূল উপাদান 'নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে 'নির্দিষ্ট কিছু দেশের' পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা কেবল বেসামরিক লোককে হত্যা করেনি বরং অবকাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেই সঙ্গে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে।’
গেং বলেন, ‘গাজায় দ্রুত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ইয়েমেন ও লোহিত সাগরের পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
২৬১ দিন আগে
৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ
বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছালে জাহাজটিকে স্বাগত জানান ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন ও কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান। এসময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তুর্কি নৌ-বাহিনীর জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) আগামী ৭ থেকে ৯ মে বাংলাদেশ সফর করবে। টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) সাড়ে চার বছরে ২০টি দেশের ২৪টি বন্দর পরিদর্শন করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বন্দর সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বাড়ানো।
বাংলাদেশে সফররত জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ মোট ১৫২ জন সদস্য রয়েছেন। সফরকালে জাহাজটির অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধি কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।
তুরস্ক নৌবাহিনী জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ৯ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: কালুরঘাট সেতুতে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কা
কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার
৩১৩ দিন আগে
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে
খুলনার অভয়নগরের ভৈরব নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজটির তলা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় বন্দরে এনেছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব কয়লা বড় জাহাজে করে প্রথমে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছোট কার্গো জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২-এ তোলা হয়।
গত শনিবার সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশে কার্গো জাহাজটি রওনা দেয়। শনিবার রাতে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নোনাঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে পৌঁছায়। জাহাজটি নোঙরের জন্য অপেক্ষায় ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে তলা ফেটে জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে নদে তলিয়ে যেতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়।
এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, নওয়াপাড়া নোনাঘাটের পাশে জাহাজটি ভেড়ানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘাটে নোঙর করার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। হঠাৎ নদের শক্ত মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজের নিচতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। তবে জাহাজের ওপরের তলা পানির ওপরে রয়েছে বলে জানান মাস্টার বেল্লাল হোসেন।
তিনি আরও বলেন,জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। সবাই সাঁতরে তীরে উঠেছেন।
এ সময় জাহাজে প্রায় প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক রাহুল দেব বিশ্বাস বলেন, কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার শেষ হলে তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
৩৩৬ দিন আগে
'জিম্মি নাবিক ও জাহাজ বিষয়ে সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সোমালিয়ায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের বিষয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের টেলিভিশনে কী দেখাচ্ছে, কী হচ্ছে সেটা কিন্তু যারা জিম্মি করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এই বিষয়টাকে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন অপহরণকারীদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় ও হচ্ছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।'
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিষয়ে সবারই আরও সতর্ক হওয়া দরকার উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য তো নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করি তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজ হবে।’
ড. হাছান বলেন, এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে, অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৬৫ দিন আগে
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল: এমএইউ সচিব খুরশেদ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিককে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন। তাদেরসহ জাহাজ ফেরত আনাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হব না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও করেনি।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
খুরশেদ আলম বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকির রুট থাকে। আমাদের এই জাহাজ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে।’
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে। জলদস্যুরা আমাদের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন।’
সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সব নবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম। এছাড়া মালয়েশিয়ান জাহাজ 'আল-বেদো' যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান নাবিক ছিল কিন্তু মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে, আড়াই বছর পর ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটে।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল বলেন, ‘আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।’
সরকারের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টায় আছি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
সামুদ্রিক ইউনিট সচিব বলেন, “আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কী দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো কৌশলগতভাবেই গণমাধ্যমকে পুরোপুরি জানাতে পারব না। তবে যেভাবে 'জাহান মনি'কে আনা হয়েছে, যেভাবে 'আল-বেদো' থেকে নাবিকদের অক্ষত আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। 'জাহান মনি' আনতে একশ’ দিন লেগেছে, আর মালয়েশিয়ান জাহাজ থেকে সাতজন ক্রু ফেরত আনতে লেগেছে তিন বছর চার মাস। কাজেই সময় একটা ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
৩৬৭ দিন আগে