জাহাজ
মোংলায় পশুর চ্যানেলে ২ জাহাজের সংঘর্ষ, জেলে নিখোঁজ
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে বিদেশি বাণিজিক জাহাজের সঙ্গে কয়লাবাহী একটি লাইটার জাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১১টারে দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় অবস্থিত ওমেরা জেটিতে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমটি এরা স্টার ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন এলপিজি ডিসচার্জ করে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় যাওয়ার পথে পশুর চ্যানেলের জে-৮ রেড বয়ারের কাছাকাছি এলাকায় বিপরীত থেকে আসা কয়লাবাহী লাইটারেজ জাহাজ এম. ভি মিজানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এবার বিএসসির আরেক জাহাজে আগুন
এতে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমটি এরা স্টারের ক্ষতি না হলেও কয়লা বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ এম.ভি মিজান এর সামনের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিষয়টি বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পেরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মুরিং বোট এম এল মতি ও টাগ বোট এম টি শিবসা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইটার জাহাজটিকে উদ্ধার করে কাইনমারি চরে নিরাপদে নিয়ে এসে নোঙর করে। এম ভি মিজান লাইটারেজ জাহাজের ৭ জন ক্রু অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
তবে বাণিজ্যিক জাহাজ ও লাইটারেজ জাহাজের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ঢেউ এর তোড়ে ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা একটি কাঁকড়ার নৌকা থেকে নদীতে পড়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া লোকমান হাওলাদার (১৮) খুলনা জেলার দাকোপ উপেজলার রূয়াটা এলাকার মৃত গণি হাওলাদারের ছেলে।
নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে কোস্ট গার্ড দুইটি হাই স্পিড বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
২ সপ্তাহ আগে
পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ৭ নম্বর ডলফিন জেটির অদূরে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারের অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে থাকা জাহাজটিতে আগুন লাগে।
নিহতরা হলেন, বিএসসির নিজস্ব মেরিন ওয়ার্কশপের চার্জম্যান চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের মো. হারুন এবং বরিশাল মেরিন একাডেমির ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন নেভাতে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ইস্টার্ন রিফাইনারির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মো. কফিল উদ্দিন জানান, কর্ণফুলীতে জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, বন্দর, কর্ণফুলী ইপিজেড, সিইপিজেড স্টেশনের ৮টি গাড়ি পাঠানো হয়। এসময় সেখান থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলার জ্যোতি জাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ডিজিএম (ইন্সপেকশান অ্যান্ড সেইফটি) এ কে এম নঈমুল্লাহ।
তিনি বলেন, জাহাজের সবাই নিরাপদে নেমে গেছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গেছে, বাংলার জ্যোতি ট্যাংকার জাহাজটি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন পুরোনো জাহাজ। জাহাজটি মূলত বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করা মাদার ট্যাংকার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিবহন করে থাকে।
জাহাজে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা ভবনের লিফটের গর্ত থেকে শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় জাহাজে হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
লোহিত সাগরে জাহাজে সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুমোদন দেওয়া ওই প্রস্তাবে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার বিষয়ে জরুরিভাবে সমাধানের আহ্বানও জানানো হয়।
তবে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা এ হামলা চালাচ্ছে- এমন কোনো দাবি প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে হুথিদের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মাসিক প্রতিবেদনের শর্ত বাড়িয়েও ১২-০ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। তবে রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনের হুদেইদায় মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলায় নিহত ১৬
হুথিরা বলছে, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গাজা উপত্যকায় যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
প্রস্তাবে হুথিদের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। আর বিদ্রোহীরা বলছে, তাদের হামলার উদ্দেশ্য গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানো। প্রস্তাবে ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং সামুদ্রিক সুরক্ষা ব্যাহত করার ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বসহ মূল কারণগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের অতর্কিত হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। আর গাজা -ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হুথিরা নৌপথে ৬০টিরও বেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। নভেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের হামলায় চার নাবিক নিহত, একটি জাহাজ জব্দ এবং আরও দুটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: লোহিত সাগরে হুথিদের ৪টি নৌকা ও ২টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হুথিদের দাবি, তারা ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। তবে যেসব জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই সঙ্গে ইরানসহ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিদ্রোহীদের মতে, হুথিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় জানুয়ারি থেকে হামলা হুথিদের লক্ষ্য করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান চালানো হয়েছে। ধারাবাহিক হামলার অংশ হিসেবে মে মাসের ৩০ তারিখের হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় হুথিরা উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। ফলে রাজধানী সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার পালাতে বাধ্য করে। পরের বছর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারি বাহিনীর সমর্থনে হস্তক্ষেপ করে। একপর্যায়ে এই সংঘাত সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধে রূপ নেয়।
যদিও ২০২২ সালে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতির পর থেকে লড়াই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে এই যুদ্ধের ফলে আরব অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবারের প্রস্তাবটি গত ১০ জানুয়ারি গৃহীত একটি প্রস্তাবের ফলো-আপ রেজোলিউশন। এতে হুথিদের হামলার নিন্দা ও অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়। ‘লোহিত সাগর এবং বিস্তৃত অঞ্চলে পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে সতর্কতা ও সংযমের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবারের ভোটের পর প্রস্তাবটি উত্থাপনকারী যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, হুথিদের হামলা 'আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।' এটি একটি 'বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ' এবং এর 'বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে পরিষদ আবারও হুথিদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। ‘অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করুন।’
আরও পড়ুন: গাজায় আবারও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
তিনি হুথিদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবটি ইয়েমেনের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করে এমন হুথি ও অন্যদের উপর ২০১৫ সালের জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে সব দেশকে মনে করিয়ে দেয়।
রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত আন্না ইভস্টিগনেভা বলেছেন, মস্কো লোহিত সাগর এবং ইয়েমেন সংলগ্ন অন্যান্য জলসীমায় নৌ চলাচলের নিরাপত্তাকে সমর্থন করেন। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন যে ‘তথাকথিত মার্কিন জোট’ হুথিদের উপর তার আক্রমণকে বৈধতা দিতে জানুয়ারির প্রস্তাবটি ব্যবহার করছে।
ইভস্টিগনেভা বলেন, 'আমরা জোটের সব অংশগ্রহণকারীকে অবিলম্বে অবৈধ হামলা বন্ধ করার এবং ইয়েমেনসংলগ্ন জলসীমায় উত্তেজনা কমাতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘে চীনের উপরাষ্ট্রদূত গেং শুয়াং বলেছেন, বেইজিং হুথিদের বারবার বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু জানুয়ারিতে তারা ভোটদানে বিরত থেকেছে। কারণ, প্রস্তাবের কিছু মূল উপাদান 'নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’
তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে 'নির্দিষ্ট কিছু দেশের' পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা কেবল বেসামরিক লোককে হত্যা করেনি বরং অবকাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেই সঙ্গে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে।’
গেং বলেন, ‘গাজায় দ্রুত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ইয়েমেন ও লোহিত সাগরের পরিস্থিতি শান্ত করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
৪ মাস আগে
৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ
বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছালে জাহাজটিকে স্বাগত জানান ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন ও কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান। এসময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তুর্কি নৌ-বাহিনীর জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) আগামী ৭ থেকে ৯ মে বাংলাদেশ সফর করবে। টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) সাড়ে চার বছরে ২০টি দেশের ২৪টি বন্দর পরিদর্শন করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বন্দর সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বাড়ানো।
বাংলাদেশে সফররত জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ মোট ১৫২ জন সদস্য রয়েছেন। সফরকালে জাহাজটির অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধি কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।
তুরস্ক নৌবাহিনী জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ৯ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: কালুরঘাট সেতুতে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কা
কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার
৬ মাস আগে
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে
খুলনার অভয়নগরের ভৈরব নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজটির তলা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় বন্দরে এনেছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব কয়লা বড় জাহাজে করে প্রথমে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছোট কার্গো জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২-এ তোলা হয়।
গত শনিবার সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশে কার্গো জাহাজটি রওনা দেয়। শনিবার রাতে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নোনাঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে পৌঁছায়। জাহাজটি নোঙরের জন্য অপেক্ষায় ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে তলা ফেটে জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে নদে তলিয়ে যেতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়।
এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, নওয়াপাড়া নোনাঘাটের পাশে জাহাজটি ভেড়ানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘাটে নোঙর করার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। হঠাৎ নদের শক্ত মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজের নিচতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। তবে জাহাজের ওপরের তলা পানির ওপরে রয়েছে বলে জানান মাস্টার বেল্লাল হোসেন।
তিনি আরও বলেন,জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। সবাই সাঁতরে তীরে উঠেছেন।
এ সময় জাহাজে প্রায় প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক রাহুল দেব বিশ্বাস বলেন, কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার শেষ হলে তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
৭ মাস আগে
'জিম্মি নাবিক ও জাহাজ বিষয়ে সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সোমালিয়ায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের বিষয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের টেলিভিশনে কী দেখাচ্ছে, কী হচ্ছে সেটা কিন্তু যারা জিম্মি করেছে তারা দেখে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব টেলিভিশন দেখার সুযোগ আছে। যখন এই বিষয়টাকে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, জিম্মিদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া যখন ওরা দেখে, তখন অপহরণকারীদের অবস্থান আরও অনমনীয় হয় ও হচ্ছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।'
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিষয়ে সবারই আরও সতর্ক হওয়া দরকার উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য তো নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করা। সুতরাং আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করি তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সহজ হবে।’
ড. হাছান বলেন, এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে, অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদের ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল: এমএইউ সচিব খুরশেদ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিককে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন। তাদেরসহ জাহাজ ফেরত আনাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হব না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও করেনি।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
খুরশেদ আলম বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকির রুট থাকে। আমাদের এই জাহাজ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে।’
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে। জলদস্যুরা আমাদের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন।’
সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সব নবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম। এছাড়া মালয়েশিয়ান জাহাজ 'আল-বেদো' যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান নাবিক ছিল কিন্তু মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে, আড়াই বছর পর ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটে।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল বলেন, ‘আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।’
সরকারের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টায় আছি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
সামুদ্রিক ইউনিট সচিব বলেন, “আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কী দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো কৌশলগতভাবেই গণমাধ্যমকে পুরোপুরি জানাতে পারব না। তবে যেভাবে 'জাহান মনি'কে আনা হয়েছে, যেভাবে 'আল-বেদো' থেকে নাবিকদের অক্ষত আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। 'জাহান মনি' আনতে একশ’ দিন লেগেছে, আর মালয়েশিয়ান জাহাজ থেকে সাতজন ক্রু ফেরত আনতে লেগেছে তিন বছর চার মাস। কাজেই সময় একটা ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
৮ মাস আগে
সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
ভারত মহাসগরে জিম্মি করা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২টার আগে জাহাজটিকে নোঙর করে জলদস্যুরা। তবে এখনো পর্যন্ত দস্যুদের কেউ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং তাদের কোনো দাবি জানায়নি।
এম মাকসুদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
জলদস্যুদের পর্যবেক্ষণকারী লন্ডন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ জাহাজটি গ্যারাকাদ নোঙর এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে দস্যুরা নোঙর করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনের তথ্য অনুযায়ী, জিম্মি করার সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ভারত মহাসাগরে।
জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। তিন মাস আগে গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছিল জাহাজটি।
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। ফলে বিনা বাধায় জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের ২৩ নাবিককে।
জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের মূল প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আমাদের জাহাজ সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে। তবে এখনো কেউ কোনো দাবি জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
৮ মাস আগে
জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করা লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সে উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে সাংবাদিকরা গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির মোজাম্বিক থেকে দুবাইগামী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল ও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে বন্দি করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
তিনি আরও বলেন, ‘ঐ অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘জলদস্যুদের সঙ্গে কোনো 'ফরমাল' যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতোপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রুদের উদ্ধার করা হয়েছিল।’
এর আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ঢাবি সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডিভালপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসবে বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
‘ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীর জন্য বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় জাতির সমৃদ্ধির জন্য নারীর উন্নয়ন ও কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতির আত্মিক উন্নয়নে নিবেদিত। আর এ জন্য নারীর আত্মিক উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি অর্থনৈতিক, কারিগরি, ডিজিটাল উন্নয়নও প্রয়োজন।
এই সরকার নারীবান্ধব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী, অনেক ডিসি, এসপি, ইউএনও আজ সারা দেশে কর্মরত, যা দু'দশক আগে কেউ ভাবেনি।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলায়েন্স ফর উইমেন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাসিম ফিরদাউস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ডিভালপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাবি সমাজকল্যাণ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
৮ মাস আগে
কার্গো জাহাজের তলাফেটে পানি প্রবেশ, কয়লা অপসারণ শুরু
বাগেরহাটের মোংলায় পশুর নদীতে ৯৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ‘এম ভি ইশরা মাহমুদ’ নামে একটি কার্গো জাহাজের তলাফেটে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় নোঙর করা অবস্থায় এমভি ইশরা মাহমুদ নামে ওই কার্গোটির তলাফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এসময় জাহাজের ১১ নাবিক সাঁতরে কূলে উঠে যান।
এদিকে কার্গো থেকে কয়লা বার্জে খালাস করা হচ্ছে। তবে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে। মোংলা বন্দরের মুরিং বয়া থেকে ৯৫০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে ওই কার্গো যশোরের নওয়াপাড়ায় যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: পদ্মায় পানি প্রবেশ অব্যাহত, লালপুরে স্থিতিশীল
এম ভি ইশরা মাহমুদের মাস্টার কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তারা। শনিবার কার্গোটির তলাফেটে ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে।
তিনি আরও জানান, কার্গোতে থাকা ১১ জন নাবিক দ্রত তীরে উঠতে সক্ষম হন। এছাড়া কার্গো থেকে কয়লা বার্জে অপসারণ করা হচ্ছে। কার্গোটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়নি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, এমভি ইশারা মাহমুদ নামে কয়লাবোঝাই কার্গোটির তলাফেটে ভেতরে পানি প্রবেশ করে। তবে কার্গোটি ডুবে যায়নি।
তিনি জানান, কার্গোটি পশুর নদীর চরে নোঙর করা রয়েছে। মালিক পক্ষ কার্গো থেকে কয়লা অন্য নৌযানে খালাস করছে। বন্দর চ্যানেল সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। পশুর চ্যানেলে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনার পানি প্রবেশ: হারানো যৌবন ফিরে পেল কাটাখালি
সিরাজগঞ্জের যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত
৮ মাস আগে