শনিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটা হয়েছে এবং তার শরীরের অবস থাকা ডান পাশেরও উন্নতি হয়েছে।’
ইউএনও ওয়াহিদা ডান হাতের কনুই পর্যন্ত তুলতে ও নাড়তে পারছেন, তবে এখনো ডান পা নাড়াতে পারছেন না বলে জানান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ওয়াহিদার মাথায় যে অপারেশন করা হয়েছিল, সেখানকার সেলাইগুলো আমরা আজ কেটেছি। অপারেশনের জায়গাগুলো এখন ভালো আছে।
ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ধারা অব্যাহত আছে, তার অবশ ডান হাতের কনুই পর্যন্ত অংশের উন্নতি হয়েছে। আরও উন্নতির জন্য এখানে দিনে তিন-চারবার তার ফিজিওথেরাপি চলছে যোগ করেন তিনি।
ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, ওয়াহিদার স্বাস্থ্যগত আর কোনো জটিলতা নেই। মোটামুটি তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। যেহেতু তার ফিজিও থেরাপি চলছে সেহেতু তাকে আরও কিছুদিন অবজারভেশনে রাখা হতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো তার সব ধরনের খাবার অ্যালাও করিনি তবে সলিড খাবার খাচ্ছেন তিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, আমরা এখনো তাকে বেডে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেইনি। আপাতত কেবিনে স্থানান্তর করছি না, কারণ তাকে কেবিনে স্থানান্তরের পর অনেক বেশি ভিজিটর এখানে ভিড় করবেন। সেক্ষেত্রে তার ইনফেকশনের শঙ্কা বেড়ে যায়।
সেজন্য আমরা তার শারিরীক অবস্থা বুঝে আরও দু-একদিন পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো বলেন তিনি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।
হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান আসামিসহ ১০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।