ডেথ রেফারেন্স
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করছেন।
শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার পেপারবুক উপস্থাপন শুরু করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলার পেপার বুক পড়া শুরু করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি। আসামি পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এর আগে মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এই বেঞ্চে পাঠান।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
আরও পড়ুন: মেজর সিনহা হত্যা: ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে।
সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একই বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগে
মেজর সিনহা হত্যা: ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফেরেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। কক্সবাজারের বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এটি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সকল নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিরা যদি আপিল করে থাকেন তা একসেঙ্গে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: প্রদীপ ও লিয়াকত এখন চট্টগ্রাম কারাগারে
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বিকালে সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া ছয় আসামি সাবেক এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেন আদালত।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে যাবে প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
রায়ে সন্তুষ্ট নই, তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: মেজর সিনহার বোন
এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২য় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডেকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
১১৭৮ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১৪ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
প্রায় দুই দশক আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলের পাশে বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ মামলার যাবতীয় নথি সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছানোর পর এটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিরা যদি আপিল করে থাকেন তা একসাথে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামি হলেন-মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদ খাঁ, সরোয়ার হোসেন মিয়া, তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোসহাব মোড়ল, শেখ মোহাম্মদ এনামুল হক, মোসাহেব হাসান ওরফে রাশু, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক। তারা হলেন আজিজুল, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল ও মোসাহেব।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৮০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা-কর্মী। এ হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
অপরদিকে, হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে ২৩ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়।
১৪৮৬ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ডেথ রেফারেন্সের রায় ১৭ ফেব্রুয়ারি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুতে রেখে ২০০০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
১৫৪৯ দিন আগে
রিফাত হত্যা: হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স
বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স রবিবার হাইকোর্ট বিভাগে পৌঁছেছে।
১৬৭০ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, ডেথ রেফারেন্স-আপিলের শুনানি শুরু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
১৬৮৭ দিন আগে