হাইকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, এটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে গত বছর রিফাত শরীফকে হত্যার দায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এই রায় প্রদান করেন।
দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আদালত এ সংক্রান্ত একটি পেপারবুক প্রস্তুতের পর এ বিষয়ে শুনানি করবেন।
বর্তমানে, ২০১৪-২০১৫ সালে দায়ের করা বিভিন্ন মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানি হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে (২২) গুরুতর আহত করে। আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মারা যান।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই সাথে মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
রায়ে ছয়জনের ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি চারজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মিন্নি ছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) ও মো. হাসান (১৯)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।