বনভূমি
জনপ্রশাসন একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমির মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজায় 'পাহাড়' শ্রেণির ৪০০ একর এবং 'ছড়া' শ্রেণির ৩০০ একর জমি ‘রক্ষিত বনের’ গেজেটভুক্ত হওয়ায় ওই বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
রবিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমানের সই করা পত্রে এ অনুরোধ জানানো হয়।২৯ আগস্ট এবিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার পাঠানো আধা-সরকারি পত্রে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। ২১৪৫.০২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।রেকর্ডে ‘রক্ষিত বন’ উল্লেখ না থাকায় বন বিভাগ এ বিষয়ে মামলা করে। পাশাপাশি, ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলাও হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ এ বন্দোবস্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন, যা আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে।
১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদে বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার রয়েছে। দেশের বনভূমির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় এই বন্দোবস্ত জনস্বার্থবিরোধী বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বন-বনভূমি ও ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনভূমিতে গারোদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, বনবাসীদের সঙ্গে বন বিভাগের দ্বন্দ্ব নিরসনে কাজ করা হবে। এলক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল কাটার উৎসব ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
তিনি বলেন, বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার, পানির অধিকার, যাতায়াতের অধিকার, গোচারণের অধিকার এবং বনজ দ্রব্য আহরণের অধিকার আইনগতভাবে নির্ধারণ করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গারোদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী পরিষদ কাজ শুরু করেছে। মধুপুর বনের বিরোধপূর্ণ সীমানা চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে বনবাসীদের বাইরে রেখে কিছু করা হবে না। বালু দস্যু ও পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশেষ প্রতীক। এটি আমাদের সমাজে সম্প্রীতির শক্তি বাড়ায়। ওয়ানগালা প্রকৃতি ও মানবসমাজের সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফসল কাটার এই সময় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ সুরক্ষায় গারোদের মত প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়া।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত উপভোগ করেন এবং প্রকাশিত বিশেষ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সীমান্ত চিসিম, নকমা, ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ফজলুল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) নাফরিজা শায়মা, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কবি ও গবেষক পরাগ রিচিল, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. শাকির হোসেন, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক থিওফিল নকরেক, উন্নয়ন গবেষক ড. বাপন মানখিন, বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান, দ্য ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভাপতি হেমন্টো করায়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শিক্ষার্থীসহ গারো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে ৬ একর বনভূমি দখলমুক্ত
গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ৬ একর বনভূমি দখলমুক্ত করেছে যৌথ বাহিনী।
এই অভিযানে কালিয়াকৈর রেঞ্জের অধীন চন্দ্রা বিটের বনভূমিতে ২০০ নির্মাণাধীন ও সদ্য নির্মিত ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দড়া মৌজায় এ অভিযান হয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনার তত্ত্বাবধানে ছিলেন- জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বন, বনভূমি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে বন অপরাধ ও জবরদখল প্রতিরোধের নিমিত্তে শুরু হওয়া এ অভিযান চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: বনভূমি জবরদখলমুক্ত করে বনায়ন করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৪ সপ্তাহ আগে
বনভূমি জবরদখলমুক্ত করে বনায়ন করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়ন করতে সরকার সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, এর ফলে অক্টোবর ২০২০ হতে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে এবং বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভূমির অবক্ষয় রোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ভূমি অবক্ষয় কমিয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প যেমন টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইটভাটায় টপ সয়েলের ব্যবহার কমাতে সরকারি নির্মাণ কাজে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ২ লাখ ১৭ হাজার ৪০২ হেক্টর ব্লক এবং ৩০ হাজার ২৫২ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১১ কোটি ২১ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে ৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
৩ বছরে ২৪৩২২ একর দখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০২০ সালের অক্টোবর ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩২২ একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন করেছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, অবৈধ বনভূমি পুনরুদ্ধারে সফলতার এ ধারা চলমান। যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বনের জমি দখলে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলা রেঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নবনির্মিত ম্যুরাল উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বনভূমি আছে। এটি ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে অবৈধ দখল কমে যাবে এবং মানুষ বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ হবে। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল ৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায় এবং কেন্দ্রীয় সার্কেলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
বনভূমি রক্ষায় ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের বনভূমি রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে বনভূমি সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা জানতে দ্রুত ডিজিটাল জরিপ পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদের এ সভায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সচিবালয় থেকে যুক্ত হন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সমন্বয় করে দেশের সব বনভূমির ওপর দ্রুত ডিজিটাল জরিপ পরিচালনা করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
পরিবেশের দৃশ্যমান উন্নয়নে বিভিন্নমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে: মন্ত্রী
দেশের পরিবেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি বনভূমি পুনরুদ্ধার, পাহাড় ও টিলা কর্তন রোধ, অবৈধ ইটভাটা এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতায় দেশের পরিবেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সমন্বয় সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০০ ভাগ ব্লক ইট ব্যবহার অর্জনের বিষয়টি মনিটরিং এবং যানবাহনের সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা জোরদারকরণ এবং প্রয়োজন অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ পলিথিন-প্লাস্টিক ব্যাগের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, উপকূলীয় এলাকায় এক বছরের মধ্যে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ এবং একই সময়ে সারাদেশের হোটেল, রেস্টুরেন্টে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলাধার ও নদী ভরাট এবং নদী দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শিল্প-কারখানা, নৌযান ও মনুষ্য-সৃষ্ট বর্জ্য সরাসরি নদীতে নিঃসরণ প্রতিরোধে নজরদারি জোরদারসহ প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পর্যালোচনা ও বিসিসিটি’র বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ নিয়মিত পরিদর্শনসহ এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার দেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করছে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, সংরক্ষিত বন ব্যতীত অন্যান্য বনভূমি (রক্ষিত বনভূমি, অর্পিত বনভূমি) এলাকায় খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন এবং প্রয়োজনে বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বনভূমি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে চলমান ক্র্যাশ প্রোগ্রামে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
অবৈধভাবে বন্দোবস্তকৃত বনভূমি উদ্ধারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বনভূমি যথাযথভাবে রেকর্ডভুক্তি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের মালিকানাধীন আনুমানিক ২৫-৩০ একর রাবার বাগান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) কর্তৃপক্ষের অবৈধ দখল থেকে উদ্ধারের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপস্থিত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বিভাগীয় কমিশনাররা তাদের বক্তব্যে এ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কাজ পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমেই করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। ভবিষ্যতে আরও নিবিড়ভাবে দেশের পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, অধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানরা এবং বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
যেকোনো মূল্যেই বনভূমি দখলমুক্ত করা হবে: মন্ত্রী
যেকোনো মূল্যেই দেশের বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
৩ বছর আগে
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭,৮৬০ দাবানলে এ বছর পুড়েছে ৩৪ লাখ একর বনভূমি
চলতি বছর মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭ হাজার ৮৬০টি দাবানলে ৩৪ লাখ একরের বেশি (প্রায় ১৩ হাজার ৭৫৯ বর্গ কিলোমিটার) বনভূমি পুড়ে গেছে।
৪ বছর আগে