গৃহবধূর আত্মহত্যা
গাইবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষার্থী নিহত
গাইবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে এক কলেজছাত্রও নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গৃহবধূর শিশু পুত্র আহত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজ সংলগ্ন রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শিক্ষার্থী জুবায়ের ও গৃহবধূ রাজিয়া বেগম।
নিহত জুবায়ের এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীর জাহিদুল ইসলামের ছেলে তিনি।
আর রাজিয়া পৌর এলাকার মাঝি পাড়ার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
গাইবান্ধা পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ রোকন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম সোমবার সকালে তার এক বছরের ছেলে আবির হোসেনকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে রেললাইনে দাঁড়ান।
গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল ট্রেন আসছিল। এসময় তাদের দেখতে পেয়ে কলেজ ছাত্র জুবায়ের তাদের বাঁচাতে যান।
আবিরকে রক্ষা করতে পারলেও ওই নারী ও জুবায়ের ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
৭ মাস আগে
মতলবে পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
চাঁদপুরের মতলবে পারিবারিক কলহের জেরে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
নিহত মনিরা বেগম (২২) মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের গজরা গ্রামের আব্দুল মান্নান ঢালীর মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার আইঠাদি মাথাভাঙ্গা গ্রামের রাসেল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পারিবারিক বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে রাসেলের সঙ্গে অভিমান করে পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনিরা। পরে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
মনিরার বাবা আব্দুল মান্নান ঢালী বলেন, মনিরাকে বিয়ের সময় এক ভরি স্বর্ণ দেয়ার কথা ছিল। আমি এখনও দিতে পারিনি। স্বর্ণের জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে চাপ দেয় এবং জামাই বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। এ নিয়ে কলহ হতো। মনিরার এক বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে মনিরা বেগম পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
১ বছর আগে
পরকীয়ার জেরে মাগুরায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরকীয়ার জেরে ধরে মাগুরা সদরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার উপজেলার মঘি ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলেনা খাতুন উপজেলার সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও বিপ্লব মোল্যর স্ত্রী।
অভিযুক্ত স্বামী বিপ্লব মোল্য একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন।
জানা গেছে, ২০ বছর আগে নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে বিপ্লব মোল্য সঙ্গে সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে হেলেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল এবং এই দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
নিহত হেলেনার পরিবারের অভিযোগ, গত এক বছর আগে বিপ্লবের সঙ্গে তার কর্মস্থলে এক নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ও ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন বিপ্লব। এদিকে সংসারে কোনো খরচ পাঠান না বলে স্ত্রী হেলেনার সঙ্গে ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকতো। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল ঈদের কাপড় কেনাকাটা নিয়ে হেলেনাকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে মঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিলটন মাহমুদ ঈদের আগের দিন গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। বুধবার হেলেনাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা, ঘটনার সত্য প্রকাশিত না হয় সেজন্য তার ছেলেকেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা পিলটন জানান, মেয়েটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশটিক ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কলাউজান এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রোকসানা আক্তার (৩২) ওই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী ও কবির আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গৃহবধূ রোকসান আক্তারের দুই বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামী লিটনের ঘরে দুই ছেলে রয়েছে। ১২ বছর আগে লিটনকে ডিভোর্স দিয়ে আল আমিনকে বিয়ে করেন রোকসানা। পরের সংসারে তার কোনো সন্তান নেই। বেশ কিছুদিন ধরে প্রথম ঘরের বড় সন্তানের সঙ্গে তার ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আসছিল। সোমবার সকালে মানসিক চাপ সইতে না পেরে নিজ ঘরে ভিমের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
তবে এর আগেও তিনি অনেকবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে পড়েন।
রোকসানার ছোট ভাই মুহাম্মদ মোকতার হোসেন জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে আমার বোন অনেকবার ঘুমের ওষুধ খায়।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পানে তরুণীর আত্মহত্যা
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, খবব পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূ রোকসানা মানসিক চাপ সইতে না পেরে পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা করেছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কীটনাশক খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া!
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ফাতেমা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার-চাঁদলাই গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: বিষ পান করা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি
এদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর রামেক হাসপাতাল থেকে স্বামী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে লাশ নিয়ে গেলে বিপত্তি দেখা যায়। মৃত ফাতেমা বেগমের স্বামী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে লাশ ধোঁয়ার কাজ শুরু হলে সোমবার রাত ৯টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাফনে বাধা দেয়। এসময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা লাশ আটকে রেখে নিয়ে যাওয়ার দাবি করে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাত ১১টার পর আতাহার-চাঁদলাই গ্রামেই লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহতের মা শাহজাদী বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে জামাই অনেক মারধর ও নির্যাতন করে আসছে। এমনকি বিষ খাওয়ার দিনও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে তারা। খুনিদের হাতে মেয়েকে দাফন করতে দিব না বলে লাশ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু তা হলো না।
নিহতের স্বামী মনিরুল ইসলাম জানান, ছেলেকে বিদেশে পাঠাব। তাই শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু টাকা ধার চেয়েছিলাম। টাকা দিবে না জানার পর সামান্য কথা কাটাকাটি হয় আমাদের মাঝে। এ নিয়েই ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার ওপর কোন শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিজ অস্ত্র বুকে ঠেকিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে লাশ দাফন নিয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
চাঁদপুরে ফেসবুক ব্যবহারে নিষেধ করায় গৃহবধূর আত্মহত্যা!
জেলার ফরিদগঞ্জের বালিথুবায় ইমু ও ফেসবুক ব্যবহার করতে নিষেধ করায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
৪ বছর আগে
চট্টগ্রামে এনজিওর ঋণের টাকা শোধ দিতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে রুপনা শর্মা (৩৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ বছর আগে