প্যারিস চুক্তি
জলবায়ু সংরক্ষণ নীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা ব্রাজিলের
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি (কপ২১) অনুযায়ী ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ব্রাজিল। যদিও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর শাসনামলে এই প্রতিশ্রুতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার দেশটির ১৮টি সরকারি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ সংস্থা ‘জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কমিটি’- এই ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রাসিলিয়ায় কমিটির বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং মুহুর্তে পৃথিবীকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ব্রাজিল একটি প্রধান ক্রীড়ানক।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে আমাদের পরিবর্তিত সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হবে। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বৈশ্বিক পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে কাজ করে।
এটি প্যারিস চুক্তি অনুসারে প্রতিটি দেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত দায় বা জাতীয় নির্গমন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে নজরদারি করে।
উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর আমলে ব্রাজিল দেশ হিসেবে তার গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দুবার পিছিয়ে পড়ে।
অনেকগুলো পরিবেশ ও সামাজিক গোষ্ঠীর একটি নেটওয়ার্ক ক্লাইমেট অবজারভেটরি’র অনুমান অনুসারে, সাম্প্রতিক সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে ২০২১ সালে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রাজিল তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন বেশি কার্বন নিঃসরণ নির্গমন। প্যারিস চুক্তির অধীনে ব্রাজিলের কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিক টন।
একটি জলবায়ু নীতি-কেন্দ্রিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তালানোয়া ইনস্টিটিউট শুক্রবার তার নিজস্ব বিশ্লেষণ প্রকাশ করে বলেছেন, পুনরুদ্ধারকে নিছক একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছে। এরজন্য আরও সাহসী প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
ইনস্টিটিউট বলেছে, চিরাচরিত নিয়মে বদ্ধ ঘরে বসে সিদ্ধান্ত না নিয়ে নির্গমন টার্গেট প্রক্রিয়াটি পুরো সমাজের সামনে উন্মুক্ত করা উচিত। এটি শুধুমাত্র ব্রাজিলের ২০১৫ সালের নেওয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্বহাল করবে না, আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতেও সক্ষম করবে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের পরিচালিত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ক্লাইমেট ওয়াচ অনুসারে, ব্রাজিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী, যা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের প্রায় ৩ শতাংশের জন্য দায়ী।
এই নির্গমনের প্রায় অর্ধেক আমাজন রেইনফরেস্টের গাছ ধ্বংসের কারণে ঘটে, যা বলসোনারোর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ১৫ বছরে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কৃষি ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পক্ষে ছিলেন। তিনি আমাজন রেইনফরেস্ট সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করেন এবং ব্রাজিলের পরিবেশ সংস্থাগুলোকে ভেঙে দিয়েছিলেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছেন।
তিনি জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বন উজাড় ৪৮ শতাংশ হ্রাস করেছেন।
১ বছর আগে
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত এবং গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দ্যা গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলনে, বাংলাদেশ প্রণীত ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ‘তহবিল ও সমাধান’-এর মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও ন্যূনতম দায়ী দেশগুলোর জন্য কাজ ও সহায়তা করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কপ সম্মলেনে আলোচনায় অংশ নিবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অর্থায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্স এর হিসাবমতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আট দশমিক ৮ থেকে ৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে কমিয়ে আনা এবং ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে ঐক্যমতে পৌঁছানোর আশা প্রকাশ করছে সম্মেলনে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার কপ-২৬ সম্মেলনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, আমি মনে করছি এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে কিছুটা হলেও সফলতা অর্জন করতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা ও প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের অর্থায়নের বিষয়ে মোটামুটি একমত। যদিও দুই একটি দেশ বিষয়টি চাচ্ছে না, তবে আলোচনা পজেটিবলি এগুচ্ছে। আশা করছি শেষ পর্যন্ত এটিও ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সিভিএফ) এ আমরা আমাদের লক্ষ্য তুলে ধরেছি। আশা করছি আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারব। আমাদের সাথে আরও ১৩টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ। দূষণকারী দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ এবং সিভিএফের নেতৃত্বে থাকায় কপ-২৬ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে শক্ত অবস্থানে আছে।
আরও পড়ুন:বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের জোর দাবি-তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি অথবা ২ ডিগ্রিকে (সর্বোচ্চ) টার্গেট করে এনডিসি হালনাগাদকরণ, উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের হার কমানো, সকল দেশের জলবায়ু পরিকল্পনা (এনডিসি, ন্যাপ, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা) অনুযায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল প্যারিস চুক্তিতে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর স্বতন্ত্র অন্তর্ভুক্তি। উন্নত দেশগুলো যদিও খুব বেশি সদিচ্ছায় লস এন্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বে থাকায় এই ক্ষেত্রে আমরা জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর কাজে ব্যবহারের জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি এসেছিল প্যারিস সম্মেলনে। কিন্তু এখনও এটি ফাইনাল হয়নি। ২০২০-২৪ সাল পর্যন্ত ৫০০ বিলিয়ন ডলারের রূপরেখা প্রণয়ন হবে (কোন দেশ কত পরিমাণ টাকা দেবে, কখন, কিভাবে দেবে)।২০২৫ সাল পরবর্তী অর্থায়ন লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা ও রূপরেখা প্রণয়ন হবে।
এদিকে শুক্রবার গ্লাসগোর স্থানীয় সময় বিকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে একটি সাইড ইভেন্টে মন্ত্রী বলেন, গত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ আপডেট এনডিসি ইউএনএফসিসিসিতে দাখিল করেছে। উক্ত এনডিসিতে ২০১২ সালকে বেস ইয়ার ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এনডিসি বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল নাগাদ আনকন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশানে ৩২ বিলিয়ন এবং কন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশানের জন্য ১৪৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে,বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে আনকন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশান এবং উন্নত বিশ্ব থেকে কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা পেলে কন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশান বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন:কপ-২৬ এ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিকুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম ইস্যু হলো:ক্ষয় ও ক্ষতি বা লস এন্ড ডেমেজ, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে টেম্পারেচার এবং ১০০ বিলিয়ন অর্থায়ন। এসব বিষয়ে পজেটিভ আলোচনা চলছে। সম্মেলনে শেষ পর্যায়ে এ বিষয়ে অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেছেন, উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার মোবিলাইজ এবং ডিস্টিবিউশন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা বলছে, গত বছর করোনার জন্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যেই ১০০ বিলিয়ন টাকা দেয়া শুরু হবে।
২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা রয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে নতুন করে আরও বেশি ৩০০/৫০০ বিলিয়ন দেয়ার দাবি থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে, আগে বকেয়া ১০০ বিলিয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
জলবায়ু সম্মেলনে গ্লাসগোতে অবস্থানরত বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন,ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য জলবায়ু সম্মেলনের পরও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে হবে।
আরও পড়ুন:গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ চান প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস চুক্তি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য বিশ্ব নেতাদের দ্রুত জোরালো পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
কপ -২৬ এর কয়েক মাস বাকি থাকতেই শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের সামনে ছয় দফা প্রস্তাব রেখেছেন।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল-এ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আয়োজিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
ছয়টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য প্যারিস চুক্তির কঠোর বাস্তবায়ন, উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়, এই তহবিলের ৫০ শতাংশ অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য, বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে বরাদ্দ দেয়া।
অন্য প্রস্তাবগুলো হলো: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নতুন অর্থনৈতিক কৌশল তৈরি করা এবং সবুজ প্রযুক্তি স্থানান্তর করা, ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি এবং মহামারি ও জলবায়ু সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ভুক্ত দেশগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত রেখে যাওয়ার জন্য আমাদের একটি 'পুরো বিশ্ব' পদ্ধতির প্রয়োজন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে সবচেয়ে কম অবদান রাখে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো। তবুও তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সবচেয়ে বড় শিকার।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
তিনি উল্লেখ করেন যে ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ভবিষ্যত সম্পর্কে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যায়, তাহলে এই দেশগুলো স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
৩ বছর আগে
দেশের উন্নয়নের জন্য আরও জ্বালানি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার দেশের উন্নয়ন করতে চায় এবং সেজন্য আরও বেশি জ্বালানি প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।
শুক্রবার তার সরকারি বাসভবনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরির সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি; বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাই। তাই আমাদের জ্বালানি প্রয়োজন।'
পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হিসেবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও বেশি জ্বালানি উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কেবল একটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমরা নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাথে আঞ্চলিক ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আলোচনা করছি।'
আরও পড়ুন: তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর জোর
তিনি জানান, দেশে প্রায় ৫৮ লাখ সৌর সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কৃষিক্ষেত্রেও সেচের জন্য সৌরশক্তি প্রয়োজন।'
শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তের আন্তরিক প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন কূটনীতিতে এটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে তহবিল তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
তিনি ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণটি গ্রহণ করার জন্য জন কেরি প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ-মার্কিন সহযোগিতা নিয়ে কেরি-মোমেনের ফোনালাপ
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুতি সকলের জন্যই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু দূত জন কেরি একমত হয়েছেন।
৩ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক জলবায়ু জোটের প্রয়োজনীয়তার ওপর বুধবার জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
পৃথিবী রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে কম সুদে ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে সবার সুযোগ নিশ্চিতের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
প্যারিস চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্র
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৫ সালের করা এই যুক্তি থেকে যদিও তিন বছর আগেই সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটি।
৪ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ডিজিটাল ধর্মঘট পালন
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল বিক্ষোভ পালন করেছে ২৪ জেলা থেকে ৩০টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
৪ বছর আগে