প্যারিস চুক্তি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য বিশ্ব নেতাদের দ্রুত জোরালো পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
কপ -২৬ এর কয়েক মাস বাকি থাকতেই শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের সামনে ছয় দফা প্রস্তাব রেখেছেন।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল-এ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আয়োজিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
ছয়টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য প্যারিস চুক্তির কঠোর বাস্তবায়ন, উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়, এই তহবিলের ৫০ শতাংশ অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য, বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে বরাদ্দ দেয়া।
অন্য প্রস্তাবগুলো হলো: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নতুন অর্থনৈতিক কৌশল তৈরি করা এবং সবুজ প্রযুক্তি স্থানান্তর করা, ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি এবং মহামারি ও জলবায়ু সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ভুক্ত দেশগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত রেখে যাওয়ার জন্য আমাদের একটি 'পুরো বিশ্ব' পদ্ধতির প্রয়োজন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনে সবচেয়ে কম অবদান রাখে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো। তবুও তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সবচেয়ে বড় শিকার।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
তিনি উল্লেখ করেন যে ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ভবিষ্যত সম্পর্কে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যায়, তাহলে এই দেশগুলো স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে।