মৌসুম
মৌসুমের প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘আলবার্তো’র আঘাতে টেক্সাস-মেক্সিকোতে ভারী বৃষ্টি, নিহত ৩
মৌসুমের প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আলবার্তো উত্তর-পূর্ব মেক্সিকোতে আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এই ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির ফলে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র খরায় ভুগছে থাকা অঞ্চলে আশাও জাগিয়েছে ঝড় আলবার্তো।
মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ আলবার্তোর প্রভাবে সৃষ্ট ঝুঁকিকে খুব সামান্য গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বরং এর পরিবর্তে তীব্র খড়ায় ভুগতে থাকা অঞ্চলের পানির চাহিদা সহজ করায় তাদের আশা জাগিয়েছে।
ঝড়টি স্থলভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা হচ্ছে। তবে মেক্সিকোর তামাউলিপাস, নুয়েভো লিওন ও কোয়াহুইলা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ টেক্সাসে কয়েক মিলিমিটার অতি প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
বুধবার (১৯ জুন) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তামাউলিপাস রাজ্যের হাইড্রোলজিকাল রিসোর্সেস সেক্রেটারি রাউল কুইরোগা আলভারেজ বলেন, ‘(বাতাসের) গতিবেগ এমন নয় যে এটিকে ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। পরিবর্তে, তিনি জনগণকে আলবার্তোকে আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ‘আমরা তামাউলিপাসে দীর্ঘ আট বছর ধরে এটির জন্যই অপেক্ষা করেছি।’
মেক্সিকোর বেশিরভাগ অংশ মারাত্মক খরার কবলে পড়েছে। বিশেষত উত্তর মেক্সিকো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুইরোগা উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের জলাধারগুলো কম ছিল এবং মেক্সিকো রিও গ্র্যান্ডে তাদের পানি ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশাল পানির ঋণ পাওনা ছিল।
তিনি বলেন, ‘এটি তামাউলিপাসের জন্য একটি আনন্দের মুহূর্ত।’
তবে নিকটবর্তী নুয়েভো লিওন রাজ্যে বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ আলবার্তোর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন ক্লাউদিয়া শাইনবাউম
তারা জানিয়েছে, রাজ্যের রাজধানী মন্টেরি শহরের লা সিলা নদীতে এক ব্যক্তি মারা গেছে এবং আলেন্দে পৌরসভায় বৈদ্যুতিক শকে দুই শিশু মারা গেছে। বৃষ্টির মধ্যে ওই শিশুরা সাইকেল চালাচ্ছিল বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
নুয়েভো লিওনের গভর্নর স্যামুয়েল গার্সিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, আলবার্তোর আঘাতে লোক মারা যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্ন পর্যন্ত মন্টেরিতে মেট্রো ও গণপরিবহন পরিষেবা স্থগিত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, বুধবার রাতে আলবার্তো মেক্সিকোর টাম্পিকো থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬৪ কিলোমিটার) পূর্বে এবং টেক্সাসের ব্রাউনসভিল থেকে প্রায় ২৫০ মাইল (৪০২ কিলোমিটার) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১৩ মাইল বেগে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
স্থানীয়ভাবে বন্যার আশঙ্কায় তামাউলিপাসে সপ্তাহের বাকি সময়ের জন্য স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার আলবার্তো স্থলভাগে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে এবং থেমে যাবে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় ঝড়ের কবলে নির্বাচনি সমাবেশ, ৯ জন নিহত
৬ মাস আগে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ও কক্সবাজারের টেকনাফে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
এছাড়া, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে আরও বলা হয়- কুমিল্লা, সীতাকুণ্ড ও মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
১০ মাস আগে
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বরিশালে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার ৭ থেকে ১০ গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও। শয্যা সংকট থাকায় তাদের মেঝেতে শুইয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবীসহ ছিন্নমূলরা। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় দোকানপাট কম খুলেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের উপস্থিতিও ছিল সীমিত। এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ধারণ ক্ষমতার সাত গুণ বেশি শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর শুক্র ও শনিবারও বেড়েছে শিশু ওয়ার্ডের রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে বহির্বিভাগেও প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন দুই থেকে তিন শতাধিক শিশু।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার নদী তীরের বাসিন্দা রিপন বলেন, নদী তীর এলাকায় কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ কারণে ঘরের মধ্যে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে। আগুন বা রুম হিটার ছাড়া নদী তীরের ঘরে থাকা যায় না। আমরা এ শীতে খুবই বিপদে রয়েছি।
পথশিশু ইয়াসিন জানায়, দিনরাত তীব্র শীতের মধ্যে টার্মিনালেই থাকতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে খুবই শীত পড়ছে। এ শীতের মধ্যে কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নগরীর লঞ্চটার্মিনালের শ্রমিক আবদুর রহমান বলেন, তীব্র শীত আর বাতাসে টিকে থাকাই দায়। সংসার চালানোর তাগিদে বাইরে বের হয়েছি। তা না হলে ঘর থেকেই বের হতাম না।
রিকশাচালক লোকমান মিয়া বলেন, ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কারণে রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আয়ও অনেক কমেছে।
গৌরনদীর মাজেদা বেগম বলেন, জ্বর-সর্দিতে আমার ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় শেবাচিমে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে এসেও সেবা পাইনি।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে শয্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগী থাকার পাশাপাশি রোগীর স্বজনরাও প্রতিনিয়ত মেঝে নোংরা করে। তারপরও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি আমরা।
এসময় শিশুদের সুস্থ রাখতে গরম কাপড়ে শিশুদের আবৃত রাখাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, একই সঙ্গে সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অনুভব হয়।
তিনি আরও জানান, এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এমন শীত আগামী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি
১১ মাস আগে
আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ৭ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
রবিবার (৮ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং ইউনিটের (এফপিএমইউ) সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি যথাক্রমে- ৩০ টাকা, ৪৪ টাকা ও ৪৩ টাকা দরে ২ লাখ টন ধান, ৪ লাখ টন সিদ্ধ ও বাকি ১ লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, নভেম্বরের শেষ দিকে ক্রয় অভিযান শুরু হবে।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেষ মৌসুমে ‘গৌড়মতি’ আম চাষে মামা-ভাগ্নের সাফল্য
আমের মৌসুম প্রায় শেষ। তবে অসময়ে গৌড়মতি জাতের আম চাষ করে মামা-ভাগ্নে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়। এই ব্যতিক্রমী চমকে অবাক হয়েছে এলাকাবাসী। মামা-ভাগ্নে আশা করছেন এ মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন তারা।
বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে এই মৌসুমে। আর সেটি হলো সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম। সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।
রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা-ভাগ্নে।
চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগ্নে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে ১ হাজার চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ব্যাগিং। মামা-ভাগ্নের হাতের নিবিড় ছোঁয়ায় দৃষ্টি কাড়ছে এলাকাবাসীসহ বাগান দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীদের। বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ মণ আম।
নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এই গৌড়মতি আম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে ২০১৩ সালে নতুন জাতের এই আমের নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আম আকারে বড় হলেও এর আঁটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে, বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা
কৃষক মহব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে ১ হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গত বছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে গাছে আম নেওয়া হয়নি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যত দিন যাবে গাছ আরও বড় হবে, আমের ফলনও বাড়বে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা।
কোনো কৃষক যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শনিবার সকাল ৯টায় পূর্বের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এই তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নওগাঁ ও মৌলভীবাজারসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা আবারও শীর্ষে
১ বছর আগে
তেতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় বাংলাদেশের মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সময়ে ঢাকায় ১৩ দমমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে যা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) তার সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
এছাড়া নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেতে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর', দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয়
দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
আমনে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তাকে পিছনে ফেলে চলমান আমন মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত হয়েছে।
শনিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫৯ লাখ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন চাল। ২০২০-২১ সালে আমন মোট আবাদ হয়েছিল ৫৬ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৪৫ লাখ টন। গতবছর ২০২১-২২ সালে আবাদ হয়েছিল ৫৭ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এবংআর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টন চাল।
এতে আরও বলা হয়েছে, খরা আর কম বৃষ্টিপাতের কারণে আমনে প্রায় ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। সেচকাজে প্রায় ছয় লাখ ৭৪ হাজার গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, এলএলপিসহ বিভিন্ন সেচযন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। দেশে মোট সেচযন্ত্রের পরিমাণ ১৪ লাখেরও বেশি।সম্প্রতি ময়মনসিংহে এক কর্মসূচিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গতবছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে।
আরও পড়ুন: খরা-অনাবৃষ্টি: অবশেষে আমন আবাদে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রার অর্জন
ফসলি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের খোলা চিঠি
জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
গরম আবহাওয়া থেকে স্বস্তির পাশাপাশি ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় এই বর্ষা মৌসুমে পুষ্টিকর সবজি থাকা আবশ্যক। এ সময় শাক জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন, কেননা এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এগুলোর মধ্যে থাকা অতিরিক্ত ব্যাকটিরিয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই শাক ছাড়াও কিন্তু এই বর্ষায় আপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর সবজি আছে। চলুন জেনে নেই এরকমি কয়েকটি সবজির ব্যাপারে এবং কেন সেগুলো আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।
বর্ষা মৌসুমে ৫টি পুষ্টিকর সবজি
করলা
বৃষ্টি মৌসুমে পাওয়া তেঁতো করলা অন্ত্রের ভেতরে থাকা পরজীবী কৃমি ধ্বংসে অনেক কার্যকর। পাকস্থলি ও অন্ত্রের পরজীবীগুলোর সাধারণত এই বর্ষাকালেই বেশি উপক্রম হয়।
তেঁতো করলা ফাইবার, ভিটামিন-সি, ফোলেট এবং ভিটামিন-এ জাতীয় পুষ্টির আঁধার। টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় এই সবজির ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য ধরা পড়েছে। এছাড়া এটি পেট, কোলন, ফুসফুস, এবং স্তন ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।
তেঁতো করলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এতে ক্যালোরি কম তবে ফাইবার বেশি। মানব এবং প্রাণী গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি পেটের চর্বি এবং শরীরের ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে ভ্রমণের পূর্বে কিছু সতর্কতা
চিচিঙ্গা
চিচিঙ্গা এমন ফাইবার সরবরাহ করে যা পেটে বেশিক্ষণ থেকে ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে দ্রুত গতিতে মেদ ঝরে পড়ে। এছাড়া ভারী খাবার গ্রহণের পরে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব এবং পেট-ব্যথা প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর এই ফাইবার।
নগন্য পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকায় এই সবজি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। সেই সাথে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি এবং কার্ডিয়াক পেশীগুলোর সর্বোত্তম কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। শরীরের বর্জ্য এবং কিডনিতে পাথর নির্মূলে সহায়তা করে।
চিচিঙ্গা অতিরিক্ত শ্লেষ্মা নিঃসরণ সহজেই শ্বাসনালী থেকে সরাতে পারে। ফলে কোনো প্রকার শ্বাসকষ্ট হয়না। অতিরিক্ত অ্যাসিডকে উপশম করে গ্যাস্ট্রাইটিস, পেপটিক আলসার এবং জ্বলন থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই অব্যাহতি দেয়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হোন
পটল
পটলে বিদ্যমান অ্যান্টিপাইরেটিক ক্রিয়াকলাপ জ্বর এবং সর্দি হ্রাস করতে সাহায্য করে যা বর্ষার সময় একটি সাধারণ রোগ।
রক্তের শুদ্ধির জন্য পটল বেশ উপকারী। এটি রক্ত ও টিস্যু পরিষ্কার করে ত্বকের যত্ন নেয়।
এই সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সঠিক হজমে সহায়তা করে। পটলের বীচি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তাই পটল খাওয়ার সময় এর বীচি ফেলে দেবেন না। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, যার ফলস্বরূপ দেহের কোলেস্টেরল কমে যায়। এটি কম ক্যালোরি সম্পন্ন এবং দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখবে। সুতরাং ওজন কমাতে আপনি নিঃসন্দেহে এর তরকারি খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
কাকরোল
তিক্ত স্বাদযুক্ত কাকরোল যকৃতের ক্ষতি, প্রদাহজনিত অসুস্থতা রোধ এবং জ্বর কমাতে সহায়তা করে।
এর ফল নিউরোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্যযুক্ত হওয়ায় মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বহাল রাখতে পারে।
এর হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য অতিরিক্তভাবে ইনসুলিনের নিঃসরণ এবং সংবেদনশীলতা উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা রাখার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
কাকরোলের বীচিতে থাকা ফাইবার গ্যাস্ট্রিক আলসার, পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি প্রশমন করে।
কম ক্যালোরির হওয়ায় আপনার অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কাকরোল খেতে পারেন।
কাকরোলের শাঁসে থাকে ভিটামিন বি-৯, যা কোষের বৃদ্ধি এবং প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়। এভাবে এটি গর্ভাবস্থায় নিউরাল টিউব ত্রুটির সম্ভাবনা হ্রাস করে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি মিঠুন
ঢেঁড়শ
ঢেঁড়শ ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে এবং প্রোটিনে ভরপুর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বিশেষত শক্তিশালী পলিফেনল প্রদাহ রোধ, হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
প্রাণী গবেষণা মতে, ঢেঁড়শ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে লেকটিন নামে একটি প্রোটিন রয়েছে, যার উপর ক্যান্সার প্রতিরোধী গবেষণা চলছে।
ঢেঁড়শ খাওয়ার ফলে আপনার রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি ডায়াবেটিসের সাধারণ ক্রিয়াকলাপেও হস্তক্ষেপ করতে পারে।
ঢেঁড়শ গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের ফোলেটের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন
শেষাংশ
এগুলোর মাধ্যমে আপনার বর্ষা মৌসুমে পুষ্টিকর সবজি তালিকা পরিপূর্ণ করতে পারেন। আপনার ও আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুষম খাদ্যের তালিকা প্রস্তুতিতে অন্য কোনো কঠোর ডায়েটের প্রয়োজন নেই। সর্বপরি, সবজি ঘরে আনার পর অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করার দিকে নজর রাখবেন।
৩ বছর আগে
সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু
সুন্দরবনে বৃহস্পতিবার থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও একই সময় পারমিট দেয়া শুরু করে বন অফিসগুলো। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় পাঁচ হাজার মৌয়াল।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের তথ্য মতে, এ বছর মৌসুমের তিন মাসে ৮০০ কুইন্টাল মধু এবং ২৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্টেশন অফিসগুলো থেকে পাস-পারমিট দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শরণখোলা রেঞ্জের বন থেকে ৭১১ দশমিক ৫০ কুইন্টার মধু এবং ২১৩ দশমিক ৪৫ কুইন্টাল মোম আহরণ করা হয়।
পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সুন্দরবনে মধু কম-বেশি হওয়া অনেকটা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী কৌশলপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে: মন্ত্রী
মৌয়ালদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে খলিশা ফুলের মধু আসে। এরপর আসে গারণ ফুলের। শেষ আসে কেওড়া ও ছইলা ফুলের মধু। এই তিন প্রজাতির মধুর মধ্যে সবচেয়ে দামী হচ্ছে খলিশার মধু। কিন্তু এ বছর এ অঞ্চলে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আর বৃষ্টি না হলে ফুল শুকিয়ে ঝরে যায় বলে মধু জমে না। তাই এ বছর মধু কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৌয়ালরা।
মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বনে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বন অফিসের ঘাটে পারমিটের অপেক্ষা করছেন মৌয়ালরা। আবার এখনো নৌকা প্রস্তুতির কাজ চলছে অনেকের।
মধু ব্যবসায়ী মো. রাসেল আহমেদ জানান, তিনি এ বছর তিনটি নৌকায় দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তার আরও বেশি বিনিয়োগের ইচ্ছা ছিল এবার। কিন্তু বৃষ্টির না হওয়ায় তিনি বেশি বিনিয়োগে সাহস করেননি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
মৌয়াল মো. ইউনুচ হাওলাদার (৬৫) জানান, তার নৌকাটি প্রস্তুত করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। কাজ প্রায় শেষের পথে। তার নৌকায় ১২ জন সহযোগী রয়েছে। মৌসুমের তিন মাসে মধু আহরণ করতে গিয়ে একেকজন মৌয়ালের খরচ হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।
তিনি জানান, গত বছর একেকজন সহযোগী দুই মন করে মধু পেয়েছেন ভাগে। ২৫ হাজার টাকা মন দরে তা বিক্রি করেছেন।
এসিএফ জানান, এবারে সংশ্লিষ্ট বন অফিস থেকে ১৪ দিনের পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করে মৌয়ালরা। সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকা থেকে মধু আহরণ করা যাবে না এবং কোনো মৌয়াল নিষিদ্ধ বনাঞ্চলে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তার পারমিট বাতিল করা হবে।
এছাড়া, পাসধারী মৌয়ালরা মধু আহরণের জন্য মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুন্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না। এগুলোসহ ৯টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মৌয়ালদের। এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে বন আইনে শাস্তিও রয়েছে।
৩ বছর আগে