এফআইআর
চালু হলো ‘হেল্প অ্যাপ’, অভিযোগ করলেই এফআইআর
রাজধানীর গণপরিবহনে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চালু হয়েছে হ্যারাসমেন্ট এলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম (হেল্প) অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনো নারী অভিযোগ করলে তা এফআইআর হিসাবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ডিএমপি শেখ সাজ্জাদ আলী।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে চালু করা পরিষেবাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সাজ্জাদ আলী বলেন, হেল্প অ্যাপের মাধ্যমে কোনো নারী অভিযোগ করলে এক কিলোমিটারের মধ্যের থানায় তা এফআইআর হিসাবে লিপিবদ্ধ হবে। পরবর্তীতে এই অভিযোগকে ভিত্তি ধরেই মামলার প্রস্তুতি নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায় অনেক সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার থানায় যেতে চায় না। তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চায়। এই অ্যাপ চালু হওয়ায় কাউকে থানায় আসতে হবে না। অভিযোগ পর্যালোচনা করে পুলিশ নিজেই বাদি হিসেবে মামলা রুজু করতে পারবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরুতে এই সেবা ঢাকার বছিলা থেকে সায়েদাবাদ রুটে বাস্তবায়ন করা হবে। পরবর্তীতে এটিকে সব রুটে চালু করার ওপর জোর দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশ সব ধরনের সাহায্য করবে। রাজধানী এখন অনেক বিস্তৃত। সবকটি রুট ধরে কাজ করতে পারলে নারীরা গণপরিবহনে আর অনিরাপদবোধ করবে না। আর এমন একটি অ্যাপ চালু হয়েছে, এ বিষয়টিও সবাইকে জানাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ধর্ষণ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বলেন, নারী নির্যাতনের যে-সব চিত্র সামনে আসে তার থেকেও বাস্তবতা অনেক বেশি ভয়াবহ। নির্যাতনরোধে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: নারীদের জন্য মার্শাল আর্ট: ঢাকার কোথায় শিখবেন কুংফু, জুডো, বা কারাতে
২৩ দিন আগে
এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ময়নুল হাসান বলেছেন, থানায় মামলা রেকর্ড করলেই এজাহারে নাম থাকা আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নাই।
পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া ঢাকায় সম্প্রতি পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাটসহ বিভিন্ন ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
'অপরাধমূলক ঘটনার মেয়াদ কখনো শেষ হয় না' উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'থানায় পুলিশ হত্যা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হবে।’
আরও পড়ুন: নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি সাদেক খান: ডিএমপি
গণহারে দায়ের হওয়া মামলা এবং এফআইআরে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এফআইআরে কারো নাম থাকার অর্থ এই নয় যে, অবিলম্বে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন আছে। আমরা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্মিলিত তদন্ত চালিয়ে যাব। সে অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের ভিত্তিতে সব মামলার সুরাহা করা হবে।’
তিনি জানান, সাম্প্রতিক অস্থিরতার সময় ১৭৭টি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। সেসব পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ছিনতাই রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করছেপুলিশ। এরই মধ্যে টহল ও চেকপয়েন্টগুলো চালু হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার গণবিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করে পুলিশের মনোবল বাড়ানোর চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার সমস্যা সমাধানে পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হকারদের রাস্তা ও ফুটপাত উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পুলিশ ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরছে।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের ধরতে চলমান অভিযানের কথা উল্লেখ করে তিনি আগামী দিনগুলোতে এই প্রচেষ্টা আরও জোরদারে পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সহায়তার আহ্বান ডিএমপির
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২০৪ দিন আগে
মাগুরায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ, ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর
মাগুরায় পুলিশি নির্যাতনে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের পাশাপাশি পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী যমুনা বেগম আদালতে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয়) সব্যসাচী এই আদেশ দেন।
বাদীর অভিযোগকে বিবেচনা করে এফআইআর নির্দেশ দেন এবং পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) জামাল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সিরাজ মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জসিম ও পুলিশ ভ্যানচালক নাজমুল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শনিবার এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা টিকিট কাউন্টারের কর্মী আব্দুস সালামকে (৪৫) মারধর করে আসামিরা। সালাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে প্রথমে নাকোল ক্যাম্পে এবং পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজন ও ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকরা এসআই জামালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রায় এক ঘণ্টা মাগুরা-ফরিদপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, ওই দিনই এসআই জামালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: শিয়ালের কামড়ে মাগুরায় আহত ৫
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবার শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
৯৯৩ দিন আগে
এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তারই এক নারী সহকর্মী। ভুক্তভোগী ওই পুলিশ পরিদর্শকের এই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উত্তরা পূর্ব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ওই নারী পরিদর্শক আদালতে মামলার আবেদন জানালে মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা অরেঞ্জ ইউএনবিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন উভয়ে সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন।ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর মোক্তার ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ২২ ডিসেম্বর মোক্তার ক্ষমা চাইতে গিয়ে ভুক্তভোগীকে আবারও তার বাসায় ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করার জন্য এসপি মোক্তার তাকে একাধিকবার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে এসপি মোক্তার তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। বাদী এই বিষয়ে পুলিশ বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
১৩৩৩ দিন আগে
এমসিতে ধর্ষণ: স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা
সিলেট এমসি (মুরারিচাঁদ কলেজ) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের পর তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার আটকে রেখে তা ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা।
১৬৫২ দিন আগে