যুবদল নেতা
শৈলকুপায় শতাধিক টিসিবি কার্ডের পণ্য নেওয়ার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কার্ড ছাড়াই টিসিবির পণ্য জোর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শৈলকূপার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খবরের সত্যতা পান। প্রকাশ্যে টিসিবির পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াস লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ১০০টি কার্ডের বিপরীতে টিসিবির পণ্য নিয়ে যান। ডিলারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারধরের হুমকি দেন।
শৈলকুপা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের প্রশাসক মো. শরীফ উদ্দীন জানান, টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াসের নেতৃত্বে অন্তত ১০০টি টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত টিসিবির মাল ফেরৎ কিংবা টাকাও দেয়নি। পরে তিনি ইউএনওকে ঘটনাটি অবহিত করেন বলে জানান।
টিসিবির ডিলার মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানায়, হুট করেই জুলিয়াসের লোকজন এসে ১০০টি কার্ডের পণ্য জোর করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১০০টি কার্ডের পণ্য তিনি কিনে বৃহস্পতিবার বিতরণ করবেন। তবে যুবদল নেতা জুলিয়াস ১০০টি পণ্যের দাম পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখনো টাকা পায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা জুলিয়াস বলেন, ঘটনাস্থলে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করুন। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। কে বা কারা টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে আমি কিছুই জানি না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এরকম অভিযোগ তুলেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক
কাঁচেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, ঘটনা শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। জুলিয়াস মালগুলো ফেরত দিতে চেয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে কিনা জানিনা। ব্যক্তির দায় দল বহন করবে না বলেও জানান তিনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, টিসিবির পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে থানায় এখনো পর্যন্ত টিসিবির ডিলার বা অন্য কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখনো কেন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না তা আমি খতিয়ে দেখছি।
২০ দিন আগে
বরিশালে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্তের বাড়িতে স্থানীয়দের আগুন
বরিশাল কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সুরুজ গাজী নামে এক যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও এই ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ মার্চ) রাতে এই ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত। তিনি বলেন, ‘সুরুজের মারা যাওয়ার খবরে অভিযুক্তের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।’
নিহত সুরুজ গাজী (৩৫) কাউনিয়া হাউজিং এলাকার কাঞ্চন গাজীর ছেলে। আহত নয়ন গাজী কাউনিয়া হাউজিং এলাকার তসলিম গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে ‘কুপিয়ে হত্যা’, মা আটক
স্থানীয়রা জানায়, হাউজিং এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন হাওলাদার ওরফে সোনা শাহীনের সঙ্গে যুবদল নেতা সুরুজের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির সময় শাহিনের স্ত্রী শাবানা, বড় ছেলে ইমরান ও ছোট ছেলে লিয়ন দেশীয় অস্ত্র রাম দা নিয়ে সুরুজের উপর হামলা করে।
এতে সুরুজ ও নয়ন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুরুজের মৃত্যু হয় এবং আহত নয়নকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কুপিয়েছে। একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট নাম পেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
২২ দিন আগে
চাঁদা না পেয়ে হকারকে ‘অপহরণ’, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটে যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে গ্রেপ্তার করেছে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন গ্রেপ্তার মাধব।
রবিবার (২ মার্চ) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রাম থেকে জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়দীপ চৌধুরী মাধব সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার অজিত চৌধুরীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জয়দীপের নেতৃত্বে গত শুক্রবার নগরীর জেলা পরিষদের সামনের ফুটপাত থেকে কাজল মিয়া নামের এক হকারকে অপহরণ করে কয়েকজন জিন্দাবাজার সিতারা ম্যানশনে নিয়ে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। এছাড়া আরও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ও কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে। পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় তাকে ছেড়ে দেয়।’
‘এ ঘটনায় গতকাল (শনিবার) জয়দীপকে প্রধান আসামি করে ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে কাজল মিয়া অভিযোগ করেন। এরপর শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকুনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে জয়দীপকে গ্রেপ্তার করে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ দিকে, জয়দীপের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় দুজন হকারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন শতাধিক হকার। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি, উল্টো পুলিশকে ধাওয়া দেন হকাররা। পরে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।
হকারদের অভিযোগ, সম্প্রতি যুবদল নেতা মাধব তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় ওই ব্যক্তি শুক্রবার দুজন হকারকে উঠিয়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
পরে সেদিন রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সে সময় তিনি বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিলে হকাররা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্ত সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
২৩ দিন আগে
চাঁদাবাজির অভিযোগে গাজীপুরে যুবদল নেতা বহিস্কার
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ভিডিও ফুটেজে ভাইরাল হওয়ার পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপির যুব সংগঠন শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের এমসি বাজারে চাঁদাবাজি করছেন। যা তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। এর পরই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি ছাত্রদলের তেলিহাটি ইউনিয়ন শাখার সাবেক সদস্য সম্পাদক এবং ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নুরু বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা জানান, শনিবার রাতে যুবদলের নির্বাহী কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এবং তার দল এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কখনোই সমর্থন করে না।
ভিডিও ফুটেজে তাকে বলতে শোনা যায়, 'এখন থেকে আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন এমসিবাজার আমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখন থেকে আমার লোকেরা খাজনা (চাঁদাবাজি) সংগ্রহ করতে শুরু করবে। কেউ বাধা দিলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। কেউ বাজার ইজারা দিয়েছে কিনা তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এখন থেকে আমার লোকজন টাকা আদায় করবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শনিবার দুপুরে মাথায় লাল ফিতা বেঁধে ও গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে জাহাঙ্গীর ও তার ৫০ থেকে ৬০ জন সহযোগী বাজারে ঢুকে চাপাতি উঁচিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
অনেক ব্যবসায়ী আতঙ্কে বাজার ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং কেউ কেউ চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানান তারা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে তাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
৩০ দিন আগে
বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতা ও তার সমর্থকের হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাশেদুল (২৭) ওই উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য।
অভিযোগ রয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা বাজারে রাশেদুলের ওপর হামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার সমর্থকরা। রাশেদুলের মৃত্যুর খবর শুনে বিএনপি নেতা হান্নান ও তার সহযোগীদের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন ক্ষুদ্ধ বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
বগুড়া সদর থানার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাশেদুলের ওপর হামলার কারণ সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসী তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান। অপর দুটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েল।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ছুরিকাঘাতের শিকার কিশোরীর মৃত্যু, হামলাকারী গ্রেপ্তার
বিএনপি নেতা আলী হাসান নারুন বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাশেদ মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় বাটালুর (হান্নান) নেতৃত্বে তার কর্মীরা ধাওয়া করে। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে রেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবি বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরে রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাশেদ মারা গেলে তার পক্ষের লোকজন বাটালু (হান্নান) ও তার লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। এর আগেই বাটালু ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। রাশেদুল মারা যাওয়ার খবরে পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেননি।
৩৮ দিন আগে
লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা বহিষ্কার, জেলা কমিটি বিলুপ্ত
দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসসহ তিন যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। একইসঙ্গে জেলা যুবদল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়ার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা আটক
অপর দুই বহিষ্কৃত নেতারা হলো- পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
এর আগে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (৩১ অক্টেবর) সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাসদস্যরা।
পরে লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয় সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পণ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস।
দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে তাকে বহিস্কার ও কমিটি বিলুপ্ত করা হয় বলে জানানো হয় দলের বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
১৪৪ দিন আগে
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে এক যুবদল নেতা কামাল হোসেনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা, বুড়িচং সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন ফেন্সি কামাল নামেই পরিচিত। তার সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও সারদুল ইসলাম নামে আরও দুইজন গ্রেপ্তার হন। এসময় তাদের কাছ থেকে ২১০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ওসি আজিজুল হক মুঠোফোনে জানান, ভোরে ২১০ পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর যৌথবাহিনী তাকেও গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার
১৫১ দিন আগে
বাগেরহাটে ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু
বাগেরহাটের কচুয়ায় ইঁদুর মারার জন্য নিজের পাতা বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহতাব শেখ নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ধানের জমিতে ওই যুবদল নেতা বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।
সোমবার সকালে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
নিহত মাহাতাব শেখ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের এমানউদ্দিন শেখে ছেলে।
তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
এলাকাবাসি জানান, রাতে বোরো ধানের জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দিতে যান। কিন্তু অসাবধানবশত তিনি নিজের পাতা ফাঁদ স্পর্স করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাসীন হোসেন জানান, বাড়ির কাছে জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহাতব শেখ মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
৩৮৬ দিন আগে
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রনি হোসেন নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি নগরীর টিকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
রনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। রনির ছোট ভাই মনা ইসলাম জানান, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ঝামেলাও হয়। আমার ভাই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে তার লাশ পাই। আমরা ধারণা করছি, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, যুবদল নেতা রনি নগরীর আমচত্বর থেকে মোটরসাইকেলে খড়খড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, রনির লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ তুলছে যে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবার চাইলে মামলা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
৪৫৯ দিন আগে
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
৪৫৯ দিন আগে