যুবদল নেতা
লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা বহিষ্কার, জেলা কমিটি বিলুপ্ত
দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসসহ তিন যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। একইসঙ্গে জেলা যুবদল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়ার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা আটক
অপর দুই বহিষ্কৃত নেতারা হলো- পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
এর আগে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (৩১ অক্টেবর) সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাসদস্যরা।
পরে লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয় সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পণ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস।
দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে তাকে বহিস্কার ও কমিটি বিলুপ্ত করা হয় বলে জানানো হয় দলের বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
২০ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে এক যুবদল নেতা কামাল হোসেনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার জগতপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা, বুড়িচং সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন ফেন্সি কামাল নামেই পরিচিত। তার সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ও সারদুল ইসলাম নামে আরও দুইজন গ্রেপ্তার হন। এসময় তাদের কাছ থেকে ২১০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ওসি আজিজুল হক মুঠোফোনে জানান, ভোরে ২১০ পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর যৌথবাহিনী তাকেও গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার
১ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটে ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু
বাগেরহাটের কচুয়ায় ইঁদুর মারার জন্য নিজের পাতা বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহতাব শেখ নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ধানের জমিতে ওই যুবদল নেতা বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।
সোমবার সকালে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
নিহত মাহাতাব শেখ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের এমানউদ্দিন শেখে ছেলে।
তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
এলাকাবাসি জানান, রাতে বোরো ধানের জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দিতে যান। কিন্তু অসাবধানবশত তিনি নিজের পাতা ফাঁদ স্পর্স করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাসীন হোসেন জানান, বাড়ির কাছে জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহাতব শেখ মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
৭ মাস আগে
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রনি হোসেন নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি নগরীর টিকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
রনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। রনির ছোট ভাই মনা ইসলাম জানান, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ঝামেলাও হয়। আমার ভাই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে তার লাশ পাই। আমরা ধারণা করছি, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, যুবদল নেতা রনি নগরীর আমচত্বর থেকে মোটরসাইকেলে খড়খড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, রনির লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ তুলছে যে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবার চাইলে মামলা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খালেক ময়নাকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
পৌর শহরের জিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুর খালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।
ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একজন গ্রেপ্তার রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম যুবদলের সভাপতি মো. রায়হান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে চার সহযোগীসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
১০ মাস আগে
যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি অসুস্থ মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের করা রিটের শুনানি করে আদেশের দিন ধার্য করেন।
রবিবার রাহাত আরা খানের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’- শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে এনে উপস্থাপন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী। এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
১০ মাস আগে
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিট আবেদনটির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আাইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে রবিবার আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিট আবেদনটি দাখিল করেন। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী এক আইনজীবী।
এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার রিটটি করা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ স্থানীয় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ সলিমপুর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে জঙ্গল সলিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম সোহেল সলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, সোহেল অনেক মামলার আসামি। দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে কিশোরীকে ধর্ষণ, ঢাকা থেকে আসামি গ্রেপ্তার
আটক ওই যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম কচাকাটা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
কচাকাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা শুক্রবার (১৯ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যঙ্গ করে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে নানান বিষয়ে প্রচারণা চালান।
বিষয়টি কচাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কচাকাটা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আতাউল রহমানের নজরে আসে।
পরে তিনি বৃহস্পতিবার থানায় এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং ৯। সেই মামলায় তাকে আটক করা হয়।
কচাকাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ব্যঙ্গ করা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ছবি জব্দ করা হয়েছে।
ওই নেতাকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: টেকনাফের দমদমিয়া চেকপোস্টে ১৪০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে ৪ নারীসহ গ্রেপ্তার ১৭
১ বছর আগে
‘আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার’: যুবদল নেতাসহ ১৯জন আটক
পঞ্চগড়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে অরাজগতা সৃষ্টির অভিযোগে শনিবার রাতে পৌর যুবদল নেতাসহ ১৯জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে অরাজগতা সৃষ্টিসহ ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক যুবদল নেতা হলেন- পঞ্চগড় পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান আলীর ছেলে ফজলে রাব্বী (৩০)।
পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ফজলে রাব্বিসহ কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন দুইজন মুসলমানের গলা কেটে হত্যা করেছে এমন অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে দেয় এবং ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে কয়েকজন উঠতি বয়সের যুবক হাতে লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি শুরু করে এবং সড়ক অবরোধ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ শহরের একটি জুতার দোকানসহ তিনটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ফজলে রাব্বীসহ মোট ১৯জনকে আটক করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ২: র্যাব
উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ের আহম্মদনগরে গত শুক্রবার থেকে আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের তিনদিনব্যাপী সালানা জলসা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিলের দাবিতে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ছাত্র শিবিরসহ বেশ কয়েকটি সমমনা ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা জুম্মার নামাজের পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে,সড়ক অবরোধ করে, কাদিয়ানী আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট, যানবাহন ভাঙচুর এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে।
এতে করে দুইজন মারা যান এবং সাত পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক আহত হন। এ সময় শহরের দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে পঞ্চগড়ের জেলা শহরের সিনেমা হল সড়কে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পিছু হাটেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮টি স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুজব ঠেকাতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঞ্চগড় বাজার মসজিদের মাইক দিয়ে সতর্কতামূলক মাইকিং করেন। তিনি পঞ্চগড় বাজারের জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া এবং কাদিয়ানীদের দ্বারা কোন মানুষকে মারা হয়নি বলে তিনি মাইকিং করেন। এছাড়াও জেলা শহরের কয়েকটি মসজিদে গুজব ঠেকাতে মাইকিং করা হয়।
বর্তমানে পুরো জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ। বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মুসলমান জবাই করার গুজব ঠেকাতে সাময়িক ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। সকাল থেকেই যানবাহন চলছে। দোকানপাট খুলেছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা জানান গতকালের মত রবিবারও যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে সতর্ক থাকবে। গেল রাতে গুজবের ঘটনায় প্রধান গুজবকারী পৌরযুবদল নেতা রাব্বি নামে এক যুবকসহ লুটপাট ও ভাঙচুরে জড়িত থাকা সন্দেহে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আটক ৩
১ বছর আগে