বিশৃঙ্খলা
ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ জন উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিল। সেটার জন্য এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটার প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অনেকে বলছে এগুলো যদি কঠোর হস্তে দমন না করেন, ব্যবস্থা না নেন, আমাদের প্রশাসন ভেঙে পড়বে শৃঙ্খলা থাকবে না। প্রশাসনের একটি বড় দিক হলো শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় যা যা করার... আমিও আইনের ঊর্ধ্বে না, আপনারা কেউ আইনের উর্ধ্বে নন, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী গুরু ও লঘুদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিনিয়র সচিব।
জড়িত হওয়ার পরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন কেউ আছেন কিনা- বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘একজন যুগ্মসচিব ছিলেন, তাকে এরইমধ্যে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার করে বদলি করা হয়েছে। উনি কিছু ওভার অ্যাক্ট করেছিলেন, এজন্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা অ্যাক্ট করব, ওভার অ্যাক্ট করতে পারি না।’
১৭ জনের সবাই উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কর্মকর্তাদের কারও নাম জানার দরকার নেই।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। ডিসি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী উপসচিব পদমর্যাদার ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা গত ১০ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এমন ক্ষোভ প্রকাশ, হট্টগোল এর আগে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের এখনো সরানো হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করা কিছু সচিব ও কর্মকর্তা এখনো তাদের প্রভাবসহ প্রশাসনে রয়েছেন। ‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং নানাভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে এবং সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ ভেঙে দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত স্থানীয় সরকার সংস্থায় নির্বাচিতদের অপসারণ করেছে।আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
তিনি বলেন,‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছেন কেন? এই চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, যারা গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের কেউই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাহলে এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা কীভাবে এখনও পদে রয়েছেন?’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে ঢাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এসব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা আমাদের দলের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। তারা কীভাবে তাদের পদে রয়েছেন?'
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আহমেদ আলী মুকিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
দেশের টাকাশেখ হাসিনার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে নিজের আত্মীয়-স্বজন, এমপি, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে জনগণের ওপর জুলুম ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও গুম ও হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এস আলমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধা দিয়েছিলেন এটা জেনেই যে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে সেই অর্থ তার কাছে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
২ মাস আগে
রংপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা, ২ কারারক্ষী বরখাস্ত
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাহারাম বাদশা নামে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ করেছেন অন্য কয়েদিরা। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টায় ঘটনাটি ঘটে।
বাহারাম পীরগঞ্জ উপজেলার বকেরবাড়ি এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: জামালপুর কারাগারে সংঘর্ষে ৬ বন্দি নিহত
কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারাম ও রফিকুলের মধ্যে গাছ থেকে আমড়া পাড়া নিয়ে মারামারি হয়। একপর্যায়ে বাহারাম গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাহারামের মৃত্যুর খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বাহারামের অপর তিন ভাইসহ অন্য কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করে কারা ফটকে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে রফিকুলের পক্ষের কয়েদিদের সঙ্গে বাহারামের ভাইসহ তাদের পক্ষের কয়েদিদের হাতাহাতি শুরু হয়। বাহারুলের মৃত্যুকে ইস্যু করে কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেয় কয়েদিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাধিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ছুটে যান।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- শাহজাহান ও মোতালেব।’
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান রংপুর জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের বিদ্রোহ, ব্যাপক গোলাগুলি
৩ মাস আগে
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে সবচাইতে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল। তারা যদি মানবাধিকারের কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে দেশের মানুষ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সমাবেশে’- প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপিই প্রথম মানুষের অধিকার হরণ করা দল। এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তিনিই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে বিএনপি-জামায়াত। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।
হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনও গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ, যানবাহন ও সহায়-সম্পত্তিতে হামলা, গাড়ি পোড়ানোর কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, মানুষকে জিম্মি করার দেশবিরোধী অপতৎপরতা। সমস্ত শিল্পী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে, মানুষকে জাগাতে হবে। মানবাধিকার নিয়ে বিশৃঙ্খলা করে মানুষ তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, আর বিশ্বমোড়লরা চেয়ে চেয়ে দেখল। এমনকি ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য বিশেষ বোমা দিয়ে তারা সহায়তাও করছে। তারাই আবার মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সঞ্চালনায় জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত চিত্রতারকা ও জোটের সহসভাপতি রোজিনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক লায়ন মুহা: মীযানুর রহমান, চিত্রতারকা সিমলা, সংবাদ পাঠিকা মুনা চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে তাদের বক্তৃতায় অগ্নিসন্ত্রাসী, তাদের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিএনপি ও জামায়াত জোট মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা ভুল রাজনীতিতে লিপ্ত এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াত বিএনপির প্রধান নেতৃত্বে থাকবে। বিএনপি জামায়াতের বি-টিম হয়ে যাবে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। সাহস থাকলে তারা বেরিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিরোধী দল থাকবে। তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বড় জোট, সুপ্রিম পার্টিসহ আরও অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
১১ মাস আগে
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
১১ মাস আগে
বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রংপুরে ছাত্রলীগের বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ।
এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং জেলা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
বহিষ্কৃতরা হলেন- রংপুর টেক্সটাইল কলেজের সিয়াম আলম, লালমনিরহাট কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের জিহাদ রহমান জিসান, রংপুর সরকারি কলেজের মোনাজাত, আল আমিন হোসাইন, রাজন হোসাইন, কারমাইকেল কলেজের শাহাদত হোসনে রিমন, ইমন ইসলাম ও মাসুদ রানা সাফিন ও আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে যে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রংপুর জেলার কমিটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আমাদের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই দিনে মহানগর ছাত্রলীগ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
১ বছর আগে
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত তীব্র করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গুজব ছড়াচ্ছে।
বুধবার(৫ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক যৌথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দলগুলো ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না, বরং তাদের বিদেশি প্রভুদের কাছে আবেদন করছে।
তিনি বলেন, তারা অভিযোগ দায়ের এবং বাংলাদেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের স্বপ্নে লিপ্ত।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। কিন্তু এখানে তাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই।অন্যদিকে বিএনপি বিদেশি রাষ্ট্রকে প্রভু মানছে।
রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপলস অর্ডারের (আরপিও) সাম্প্রতিক সংশোধনী প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যেকোনো অনিয়ম হলে সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিল না করে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে হবে। এই বিধানটি আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অনুরূপ অনুশীলন বিদ্যমান। কেন বাংলাদেশকে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতার পেছনে ছুটছে। আওয়ামী লীগ হেরে গেলেই তাদের কাছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কথিত বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট এবং ভোটকেন্দ্র দখলের প্রতিফলন ঘটেনি যা বিরোধীরা প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও গণতন্ত্রীকরণে কারণে এই ইতিবাচক ফলাফল ঘটেছে।
কাদের আরও বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতোই আগামী জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সরকার হস্তক্ষেপ করবে না এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন তার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু বিএনপির ১৪ বছরের আন্দোলনকে ঢেকে দিয়েছে: কাদের
১ বছর আগে
বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকারকে সহিংসতা ও সংঘাত এড়াতে হলে বিরোধী দলগুলোর দাবি মানতে হবে।
শনিবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেনে।
গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এমন মন্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার যদি সংঘাত এড়াতে চায় এবং এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে প্রথমেই বিরোধী দলগুলোর দাবি পূরণ করতে হবে। অন্য কথায়, পদত্যাগ করতে হবে, আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে তারা সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, তাদের দল সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যোগ দিয়েছিল, কিন্তু তারা ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতা বলেন, দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসবে না। ‘তাদের (সরকার) বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। প্রথমে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে এবং তারপর সংলাপের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
জাতীয় আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্মারক ভাষণের প্রতি প্রতিবেদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় ফখরুল বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে তার তেমন ক্ষমতা নেই। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না।’
তিনি স্মরণ করেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের দল যখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের কোনো প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার সেই ক্ষমতা নেই।’
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত ভাষণ পড়ে শোনান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলি যে ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি জিনিস পছন্দ করি, কারণ তিনি বলেছিলেন যে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সর্বজনীন নয়। এটা আরেকটি ভালো কথা তিনি বলেছেন, সংঘাত ও প্রতিহিংসার মাধ্যমে কখনও গণতন্ত্র চর্চা করা যায় না। এই শব্দগুলো ভাল।’
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের চর্চা না করে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
সহিংসতা এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুসংহত করার কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর নির্ভর করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সংসদ সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ জনসমস্যার আলোচনা হয় না। ‘একজন ব্যক্তি সেখানে সর্বেসর্বা। এটি একটি অনির্বাচিত সংসদ।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
সাম্প্রতিক বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফখরুল বলেন, সরকার ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সেবা করার উপযোগী নয়। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় তারা অনিয়মে লিপ্ত হয়।’
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কৌশল নিয়ে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
১ বছর আগে
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
'ঢাকায় শুক্রবার বিএনপির গণমিছিল কর্মসুচি থেকে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ।
এছাড়া তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই।'
ড. হাছান বলেন, 'তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, '২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে