নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে চেয়ারে বসা নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্যালয়ের নিচতলায় প্রথম দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে আহত ব্যক্তিরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আরেক দফা হামলার শিকার হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার জাহিদ হোসেন (২৮), তার কর্মী মিনহাজুর রহমান (২৩), ইয়াসিন আহমেদ (২৯), সানভির আলম নিবির (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৭), জাহিদ বিন রাফি (২২), দুলাল (২৫), রিপন (২২), তৌফিক (২৭), অয়ন (২৯), শিমুল (২০), শিপন (২৫), জীবন (২০) এবং জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (২৪)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
জানা যায়, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেনের জাপ্পি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ভাষ্য, খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনে সভায় সামনের দিকের কিছু চেয়ারে জাহিদের কর্মীরা বসতে গেলে তাদের বাধা দেন ছিদ্দিকুর। এ নিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান ছিদ্দিকুর রহমানের কর্মীরা। সেখানে অন্তত তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ওই ঘটনায় ১৪ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং অন্তত ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন নাহিদ ও তার কর্মীরা। অথচ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম।’
হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কার্যালয়ে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিলেন আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি। তারা আমাকে দেখার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪