বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মেলা আয়োজিত
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মেলার আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। এ আয়োজনের সহায়তা করেছে অ্যাড প্রোগ্রামস।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার ইএমকে সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। সেখানে সম্ভাব্য শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
এই মেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সম্ভাব্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুল কাউন্সিলররা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল-
• এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি
• নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
• আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি
• ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ডাকোটা
• ইউনিভার্সিটি অ্যাট বাফেলো, দ্য স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক
• ইউনিভার্সিটি অব কানসাস
• নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
• সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটি
• ডেপাও ইউনিভার্সিটি
• ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা
৬ দিন আগে
চীনা ভাষা শিখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও
চীনা ভাষা শিখে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নিজেদের নিয়োজিত করে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বাংলাদেশে কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩তম 'চাইনিজ ব্রিজ' ওয়ার্ল্ড চাইনিজ প্রফিসিয়েন্সি প্রতিযোগিতায় দেওয়া বক্তব্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই প্রতিযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন: গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশ দল
শুক্রবার (৩১ মে) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
ঢাকার চীনা দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শিক্ষা পেশাজীবীসহ ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
প্রতিযোগিতায় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের নির্বাচিত ৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের বুশরা মুবাশ্বেরা মাহমুদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং চীনে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির রেক্টর ড. মো. ওমর ফারুক সাংস্কৃতিক উপলদ্ধি বৃদ্ধিতে এই আয়োজনের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিযোগিতার রানার-আপ চীনে ফাইনাল দেখবে। অন্যান্য প্রতিযোগীরা একটি চীনা গ্রীষ্ম/শরৎকালীন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: চীনের চায়ের প্রতি গভীর আসক্তি বাংলাদেশিদের
৫ মাস আগে
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস জনতা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিশকেকে পাকিস্তানের মিশন জানিয়েছে, শুক্রবার(১৭ মে) রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে, যেখানে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।
কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই সহিংসতার বিষয়ে পাকিস্তান ও ভারত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশ দুটি বিশকেকে তাদের শিক্ষার্থীদের বাড়ির ভিতরে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করেছিল।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ ছাত্রদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।
যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়।
শনিবার বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তাদের নিরাপত্তার জন্য ইউএনবির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার(১৮ মে) এই হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’
সামিয়া আরও বলেন, 'কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি ... সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।’
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা শিগগিরই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
এদিকে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বর্তমানে বিশকেকের পরিস্থিতি 'পুরোপুরি শান্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে' রয়েছে।’
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তারা গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্লগিং সম্প্রদায় এবং বিদেশি সহকর্মীদের শুধুমাত্র কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সরকারি এবং যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে খবর পরিবেশন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন: অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধবিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী
৫ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার রেকর্ড উচ্চতায়: প্রতিবেদন
ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জের ২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
যা পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিনিধিত্ব করে এবং এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ সামগ্রিক বৃদ্ধিগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির বিস্তৃত প্রবণতার অংশ। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে, যা ৪ দশকের মধ্যে দ্রুততম বার্ষিক বৃদ্ধির হার।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পাস জীবনকে সমৃদ্ধ করা পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন ক্যাম্পাসে চিত্তাকর্ষক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ওপেন ডোরস রিপোর্টে আরও দেখা গেছে, বাংলাদেশি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী স্নাতক (স্নাতক ও সহযোগী ডিগ্রি) অধ্যয়নে ভর্তি হয়েছেন।
প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর মার্কিন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের সপ্তম স্থানে নিয়ে গেছে।
গত এক দশকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ৩ হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থী থেকে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থীতে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৪.৯ শতাংশ
১১ মাস আগে
ভারতের আইআইটি-তে স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের
ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হায়দরাবাদে (আইআইটি হায়দরাবাদ) স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশসহ বিদেশের শিক্ষার্থীরা।
ভারতের তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেডি জেলার কান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা সরকারি এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম পছন্দের হয়ে উঠেছে। এখানে প্রকৌশল, প্রযুক্তি, স্থাপত্য, কলা, মনোবিজ্ঞান, সাইবার নিরাপত্তা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), শিল্প-বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি (২০ অক্টোবর, শুক্রবার) বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন যায় ভারতের এই প্রতিষ্ঠানটিতে। আইআইটি হায়দরাবাদ এর প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক বি এস মূর্তি এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আইআইটি হায়দরাবাদের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ভারতের আইআইটিগুলোর মধ্যে আইআইটি-হায়দরাবাদ অন্যতম। বর্তমানে গোটা ভারতে তৃতীয় অবস্থানে
আইআইটি এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন ৪ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১ হাজার ৭৬০, স্নাতকোত্তর ১ হাজার ২৮০ ও ডক্টরাল শিক্ষার্থী আছেন ১ হাজার ১৬০ জন। ভবনগুলো এমন প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে যে এসির প্রয়োজন হচ্ছে না।
আইআইটি হায়দরাবাদে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে সিজিপিএ ১০-এর মধ্যে ন্যূনতম ৮ লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, ফার্স্ট স্কিমের মাধ্যমে আমরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছি। ফেলোশিপ হিসেবে প্রতিমাসে শিক্ষার্থী ৬০ হাজার রুপি করে পাবেন এবং বছরে গবেষণা সহায়তা হিসেবে এক লাখ রুপি করে পাবেন। এই ফেলোশিপের মেয়াদ থাকবে চার বছর।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে অর্থনীতিকে কোভিড পূর্ব অবস্থায় ফেরানোর আশা সরকারের
ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা টেকনোলজি সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে ভালো ফলাফলসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে যে কেউ এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানান পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কীভাবে দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করা যায়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসুক। মেধা তালিকার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
বি এস মূর্তি বলেন, আইআইটি হায়দরাবাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আগ্রহী হলে তাদেরও সে ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করব আমরা। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশিদের জন্য আরও বেশি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করব।
আরও পড়ুন: দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শনিবার
তিনি আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি ও ডিকিন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথ ডক্টরাল ডিগ্রি প্রোগ্রাম আছে আইআইটি হায়দরাবাদের। নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে পিএইচডি শিক্ষার্থীর হার বাড়ছে। ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করতে আসেন ২৩০ জন, পরের বছর সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭০ জনে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সের ডিন প্রফেসর তরুণ কান্তি পান্ডা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বেশি বেশি শিক্ষার্থীকে এখানে দেখতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাজ করবে। নিশ্চয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যথাসম্ভব ভালো কিছু করা হবে।
আরেক প্রশ্লে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নেই। বাংলাদেশ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা করতে পারবো।
অধ্যাপক তরুণ কান্দি বলেন, ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে গবেষণার দারুণ সুযোগ। এখানকার শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর প্রায় ১০০ স্টার্ট আপ দাঁড় করান।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
১ বছর আগে
কানাডায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: একজনের মরদেহ ঢাকায় আসবে ২৪ ফেব্রুয়ারি
কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একজনের মরদেহ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরিবারকে অবহিত ও আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে অবস্থিত হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের সঙ্গে প্রয়োজনে অফিস সময়ের পরেও,এমনকি ছুটির দিনেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
শনিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, কনস্যুলেট টরন্টোর দুটি ফিউনারেল হোমের (শেষকৃত্যের ঘর) সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কারণ তারাই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ পরিবহনের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবস্থা করছে।
নিহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট হাসপাতাল ও শেষকৃত্যের ঘর থেকে ডেথ সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টরন্টোতে সোমবার রাতে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
টরন্টোস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও হাইকমিশন নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহত শিক্ষার্থীর দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে জানানো হয়, আহত শিক্ষার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার উন্নতি হচ্ছে।
এদিকে নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে টরন্টোস্থ হাইকমিশন ও কনস্যুলেট নিহত শিক্ষার্থীদের মরদেহ পরিবহনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
হাইকমিশনার প্রয়োজন হলে টরন্টোতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজারদের এই প্রক্রিয়াটি সহজতর করার পাশাপাশি টরন্টোতে আসতে ইচ্ছুক পরিবারের সদস্যদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিটের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১ বছর আগে
কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি ৩ শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
কানাডার ডান্ডাস স্ট্রিট ওয়েস্টের ৪২৭ নম্বর মহাসড়কের দক্ষিণমুখী র্যাম্পে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে ও অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতের দুর্ঘটনা সম্পর্কে টুইট বার্তায় অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে থাকা চারজনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে স্টাডি পারমিট নিয়ে টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় ২০ বছর বয়সী এক নারী ও পুরুষ এবং ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হয়। চালকের আসনে থাকা আহত ২১ বছর বয়সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণের সময় বরিশাল ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি বলেছে যে উক্ত চারজনের পরিবারকে ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে।
টরন্টো পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ওই এলাকায় ডাকা হয় এবং বলা হয় যে একটি গাড়ি উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যায়।
টরন্টো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে ও আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
প্যারামেডিকেল টিম বলেছে, দুজনকে ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং আরও দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ নিশ্চিত করে যে তৃতীয় ব্যক্তিও মারা গেছে।
সড়কটি খুলে দেয়া হলেও এ ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
১ বছর আগে
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মো. গোলাম সৈয়দ রিংকু নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের এই ঘটনায় শত শত ভবন ধসে পড়েছে এবং তিন হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল মোহাম্মদ নুরে আলম ইউএনবিকে বলেন, রিংকু বগুড়ার বাসিন্দা। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে নুরকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে রিংকু এখনও নিখোঁজ।
রিংকুর বন্ধুরা তাকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করলেও আর কোনো বিবরণ দিতে পারেনি।
ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন ইউএনবিকে জানান, আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ৩৪০০ জনের বেশি নিহত
১ বছর আগে
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাবনার বিষয় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা। বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার সাথে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমানো যায়। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া এমনকি অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশগুলো এমন শিক্ষার্থীদের আশাকে সাধুবাদ জানিয়েই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফি সহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। আজকের নিবন্ধে এমন কিছু দেশের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের সাথে মানিয়ে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সেরা ১০টি গন্তব্য।
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সাথে টিউশন ফি-এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহণ, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়-ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯,৬৫০ থেকে ৩৩,৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯,৯০০টাকা) মত হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম; সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো (প্রায় ২,৮৯০ থেকে ৫,৭৮০ টাকা)-এর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহণ, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলো সহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ১,৩৪,৯০০ টাকা) এর মত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোতে গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ফ্রান্স
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়; বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণা। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারে। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা; জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতি বছর খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো (প্রায় ২,৬৭,০০০ টাকা)। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছর প্রতি ৩,৭৭০ ইউরো যা প্রায় ৩,৬৩,৪০০ টাকার সমান।
পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মত অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে, ৬৫০ ইউরো (প্রায় ৬২,৬৫০ টাকা)-এর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।
অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১,৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬.৭২ ইউরো (প্রায় ৭০,০০০ টাকা) ধার্য করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অপরূপ দেশটিতে অতি প্রত্যাশিত জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১,৩০০ ইউরো (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ১,২৫,২৩০ টাকা)-এর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহণ সহ সমস্ত খরচ কভার করতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এই দেশটি। এখানে ইংরেজি-ভাষায় অধ্যায়নের জন্য প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। বহুসাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশী শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২,৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২,২৪,০০০ টাকা)। এখানে নূন্যতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫,৫৪০ থেকে ৮৪,৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ; দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সমস্ত ইউরোপে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর(প্রায় ৯,৬৪০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) মত খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো (৩৮,৫৬০ থেকে ৬২,৬৫০ টাকা) বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।
পোল্যান্ড
৪৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকূল্যে প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার একটি শংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যায়নের জন্য টিউশন ফি ২,৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২,২৮,১১০ টাকা)। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩,০০০ টাকা)-এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়নের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
মালয়েশিয়া
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১,১৬১ আন্তর্জাতিক আবেদনকারী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৪,৫০০ ইউরো (১,৯২,৭৬০ থেকে ৪,৩৩,৭২০ টাকা)। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,১৯০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) মত বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যায়নের এই গন্তব্যটি শুধুমাত্র তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশ জুড়ে প্রচুর গ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসাবে গ্রীস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোন বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরোর (১,৪৪,৬০০ থেকে ১,৯২,৭৭০ টাকা) মত অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রীসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭২,২৮৭ টাকা) হয়ে থাকে। এটি স্পেন, জার্মানি, বা ইতালির মত প্রধান ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি-এর দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতি বছর ১,২০০ থেকে ৫,০০০ ইউরো (প্রায় ১,১৫,৬৬০ থেকে ৪,৮১,৯০০ টাকা) মত খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর
বসবাসের জন্য বাজেট করতে হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর (প্রায় ৩৬,১৪০ থেকে ৬৭,৪৭০ টাকা) মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের উপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫৭,৮৩০ টাকা) যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোতে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,২০০ টাকা) নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শেষ কথা
স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমস্ত উপলব্ধ তহবিল বিকল্পগুলো ভালো ভাবে যাচাই করে নেয়া উচিত। চাহিদা, সামর্থ এবং লক্ষ্যগুলোর সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য করে চুড়ান্ত ভাবে সেরা বৃত্তির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ নির্দিষ্ট বৃত্তিমুলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর করা যেতে পারে। গন্তব্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট; এমনকি সেখানকার অধ্যায়ন উপদেষ্টার সাথে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলাটা উত্তম। বিদেশে স্নাতক অধ্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
২ বছর আগে
আজারবাইজানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী খুন
আজারবাইজানে বুধবার সকাল ১০টার দিকে (স্থানীয় সময়) এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছে।
নিহত রিয়া ফেরদৌসী (৩৩) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে ফোনে জানানো হয়েছে।
তবে কি কারণে বা কারা হত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
নিহতের ভাই ফরমান আলী জানান, তার বোন বাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি রেস্টুরেন্টে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন।
তিনি বলেন, সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসীর মাধ্যমে শুনেছি সকালে কিছু যুবক তাকে তুলে নিয়ে গেছে। পরে পুলিশ তার হাত-পা ভাঙা লাশ উদ্ধার করে।
ফরমান আলী আরও বলেন, আজারবাইজানে বাংলাদেশি কনস্যুলেট নেই। এ কারণে ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেটের মাধ্যমে তার মরদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাংলায় সহজ বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে