সাগর
ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে প্রাদেশিক তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা।
বৃহস্পতিবার নৌকাটির উল্টে যাওয়া হালে রাতভর গাদাগাদি করে আশ্রয় নেওয়া ৪৪ জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ৭৫ জনকে উদ্ধার করে জেলে, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল।
কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলেও বেশিরভাগকেই আচেহ বারাত জেলার একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অনেকে যাত্রাপথে পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন বলে ইউএনএইচসিআর কর্মীদের জানিয়েছেন।
শনিবার জেলেরা তিনটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানায়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় প্রস্তুত ইউএনএইচসিআর-আইওএম
রবিবার এক বিবৃতিতে বান্দা আচেহ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আল হুসেইন জানান, ওই এলাকায় তল্লাশির পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও একজন পুরুষ। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী। তারা ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী ছিলেন।
লাশগুলো আচেহ জায়া জেলার কালাং শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউএনএইচসিআরের কর্মী ফয়সাল রহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া কয়েকজন মৃতদেহ শনাক্ত করতে সাহায্য করেছেন।
ফয়সাল রহমান আরও জানান, তারা নৌকায় একসাথে ছিল কি না যাচাই করতে শরণার্থীদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করতে ও যাচাই করার জন্য বেছে নেওয়া হয়।
আচেহর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার থেকে নিকটবর্তী পানিতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে বলে খবর পেয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র যাত্রা করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে প্রায় ৭০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিখোঁজ বা নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস বিদ্রোহ দমন অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার এবং অধিকাংশই নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো ইন্দোনেশিয়াও জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে বাধ্য নয় দেশটি। তবে সাধারণত বিপদগ্রস্ত শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
৭ মাস আগে
সাগরের মাঝ থেকে ৪৪ পর্যটককে উদ্ধার
কক্সবাজারে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এম ভি গ্রীন লাইন-১’ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ডুবোচরে আটকে গেছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: একদিনে সমুদ্রে ভেসে যাওয়া ৩ শতাধিক পর্যটক উদ্ধার
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তৌকি বলেন, ৪৪ জন পর্যটক আটকে পড়ার খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড পর্যটকদের উদ্ধার করেছে। তাদের সেন্টমার্টিনে আনা হয়েছে। অনেক পর্যটক আতঙ্কিত ছিল। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পর্যটকরা বলেন, জাহাজটি যখন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ডুবোচরে আটকে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, কোস্ট গার্ডের সহায়তায় আটকে পড়া পর্যটকেরা সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১৫ পর্যটক উদ্ধার
৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনে পথ ভুলে আটকে পড়া ১০ পর্যটক উদ্ধার
১১ মাস আগে
১০২ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে ১০২ বার পেছালো প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
১ বছর আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০০ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
সোমবার (৭ আগস্ট) আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
১ বছর আগে
৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৭ বারের মত পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। আগামী ২২ মে প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
১ বছর আগে
সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে ড্রেজারডুবি: ৮ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে মিরসরাই সমুদ্র উপকূলে থাকা ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ আট শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হেয়েছে। মঙ্গলবার সারাদিন অভিযান চালিয়ে শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ড্রেজারটি ডুবে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
নিহত শ্রমিকরা হলেন- মাহমুদ মোল্লা, আলামিন, ইমাম মোল্লা, আবুল বশর, তারেকসহ আটজন নিখোঁজ হন। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠি ও মোল্লাবাড়ি থানায়।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাগরে বালি তোলার কাজে নিয়োজিত একটি ড্রেজার ডুবে গতকাল রাতে নিখোঁজ হওয়া ৮ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের একটি টিম রাত ১২টা থেকে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ওসি আরও জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১০০০ ফুট দূরত্বে সাগরের মাঝে রাখা বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি (সৈকত-২) রাখা ছিলো। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ায় ড্রেজারটি ডুবে যায়। এ সময় ড্রেজারে থাকা আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।
ড্রেজারে থাকা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ড্রেজারে আমিসহ নয়জন ছিলাম। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কথা শুনে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি ড্রেজার থেকে নেমে আসি। এ সময় বাকিরা সেখানেই ছিল।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ দিন পর ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
বাংলাদেশ কী অচিরেই সাগরের পানিতে ডুবে যাবে!
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন জীবিকা, অবকাঠামোগুলোকে ধ্বংস করায় অসহায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে তাদের ঘর-বাড়ি, শহর এমনকি দেশ ছাড়তে। শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই আবহাওয়ার চরম বিপর্যয়ে প্রায় ২৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এসব ভয়াবহ সংকটের শিকার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বন্যার্ত মানুষের ক্রমবর্ধমান সংকটের কারণে দেশটি এখন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে পরিচিত। এবার এর মূল কারণের সঙ্গে সঙ্গে এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় জেনে নেয়া যাক।
সাম্প্রতিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঘটনা
বিংশ শতাব্দীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় বৃদ্ধি ছিল প্রতি বছর প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিমিটার। ১৯৯৩ সাল থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ৩ মিলিমিটার হারে বেড়েছে। গত এক দশক ধরে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও পূর্ব ভারত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি।
ঢাকার সার্ক আবহাওয়া কেন্দ্রের রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশের উপকূলের মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক মাত্রার মধ্যে অবস্থান করছে- সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট (প্রতি বছর ৪ মিলিমিটার), হাতিয়ার চর চাঙ্গা (প্রতি বছর ৬ মিলিমিটার) ও কক্সবাজার (প্রতি বছর ৭.৮ মিলিমিটার)।
আরও পড়ুন: চালু হলো দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে বসবাসরত এবং বার্ষিক বন্যার সম্মুখীন হওয়া মানুষের সংখ্যা শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ।
বাংলাদেশ নিয়ে আশঙ্কা
২০২১ সালের শেষের দিকে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ প্লাবিত হয়ে যাবে। এর ফলে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে।
ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের রিপোর্ট মতে, ২০১৯ সালে চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনের দুর্যোগের ফলে বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ গোটা বিশ্বের ৭০ শতাংশ।
২০২১ সালে গ্লাসগোর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে সেন্টার ফর ইনভার্নমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের (সিইজিআইএস) তথ্যানুযায়ী, ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ৯০ সেন্টিমিটারে পৌঁছবে।
কেন বাড়ছে সমুদ্রের পানি
ইন্টারগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) রিপোর্ট অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠ উল্লম্ব থেকে আনুভূমিক দিকে পরিবর্তিত হয়। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের উল্লম্ব আন্দোলন থেকে এই আনুভূমিক ব্যাপ্তিতে রূপ নেয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
২ বছর আগে
জরুরি সেবা ৯৯৯: সমুদ্রে বিকল নৌযান থেকে উদ্ধার ১৫
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক মৎস্যজীবীর ফোন কলে বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। বিকল নৌযানটি ভাসানচরের কাছাকাছি ঠেঙ্গারচরের নিকটবর্তী জায়গায় বিকল হয়ে যায়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় ৯৯৯ নম্বরে ইব্রাহীম নামের একজন কলার ভাসানচরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর থেকে ফোন করে জানান, তিনি সহ মোট পনের জন মৎস্যজীবী তিন দিন আগে আগষ্টের দশ তারিখ রাত বারোটার পরে একটি ফিশিং ট্রলার যোগে মাছ ধরার জন্য ভোলার চরফ্যাশন থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
বুধবার দুপুরের দিকে তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তারা ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেননি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকায় তারা কাউকে তাদের বিপদের কথা জানাতে পারেননি। এরপর তারা নিয়ন্ত্রণহীন সাগরে ভাসতে থাকেন।
একদিন বিকল নৌযানে সাগরে ভাসামান অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অবশেষে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে ইব্রাহীম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। কলার আরও জানান তারা এখন উপকূল থেকে গভীর সমুদ্রের আনুমানিক ত্রিশ থেকে চল্লিশ কি.মি. দূরত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোষ্টগার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ভাসান চর থেকে কোষ্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রওনা হয় সমুদ্রে বিকল নৌযান চিহ্নিত করার জন্য। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কোষ্টগার্ড বিকল নৌযানটিকে খুঁজে পায় এবং বিকল নৌযানটি সহ পনের জন জেলেকে উদ্ধার করে নিরাপদে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়েছে।
৩ বছর আগে
নিখোঁজের দুইদিন পর সাগরে ভেসে উঠলো জেলের লাশ
নিখোঁজের দুইদিন পর সাগরে ভেসে উঠলো জেলের লাশ। চট্টগ্রামের বাঁশখালী মদিনা পাড়া সৈকত এলাকায় শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কয়েকজন মো. নেজাম উদ্দিনের (২১) লাশ ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে। গত বুধবার এই এলাকাতেই সাগরে নেমে নেজাম উদ্দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন।তিনি বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকার তাহের মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ জাফলংয়ে দুই দিন পর ভেসে উঠল পর্যটক ইমরানের লাশনিখোঁজ নেজাম উদ্দিনের ভাই জমির বিন হাসান বলেন, ‘গত বুধবার বেলা ১টার দিকে যখন ভাটা হচ্ছিল, তখন নেজাম দেখেন স্রোতের তোড়ে তাঁর নৌকা ভেসে যাচ্ছে। নৌকা আটকে রাখতে তিনি পানিতে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে নৌকার পিছু নেন। এ সময় তিনি তলিয়ে যান। তখন ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড যৌথ তল্লাশি চালিয়েও তাঁর সন্ধান পায়নি। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে আমরা গিয়ে নেজামের লাশ বলে শনাক্ত করি।
আরও পড়ুনঃ নৌবাহিনীর অভিযানে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধারবাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুর রহমান জানান, সাগরের স্রোতে নিখোঁজ নেজাম উদ্দিনকে খুঁজতে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস দলের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুইদিন পর আজ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩ বছর আগে
সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’, বন্দরে ২ নং সংকেত
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫ বছর আগে