শুরু
শীতকাল শুরু, দিন-রাতে বাড়বে আরও ঠান্ডা
বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, ততই সারা দেশের তাপমাত্রা কমে আসার হার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) ঠান্ডা দিন এবং রাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রকাশ করা সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।
গভীর রাত এবং ভোরের দিকে কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাসহ আবহাওয়া বেশিরভাগ শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি মৌসুমী নিম্নচাপ ব্যবস্থা এবং উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এর সম্প্রসারণ এই পরিস্থিতিতে অবদান রেখেছে, যা আরও সাধারণ শীতকালীন আবহাওয়ার রূপান্তরকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, যা দেশজুড়ে শীতকে আরও তীব্র করে তুলবে।
মাঝারি শীতের সময় ডিসেম্বর
ডিসেম্বর বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন শুরু হয়। এই সময়টিতে শুষ্ক পরিস্থিতি, ঠান্ডা রাত এবং স্নিগ্ধ দিন থাকে।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর মতে, বেশিরভাগ অঞ্চলে দিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। এসময় রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরগুলোতে কম আর্দ্রতার মাত্রা এবং প্রচুর রোদ অনুভূত হয়। এর ফলে বাইরের কাজকর্ম এবং ভ্রমণের জন্য আবহাওয়া অনুকূল হয়।
আরও পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ঢাকা: দিনের তাপমাত্রা সাধারণত ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করে থাকে।
চট্টগ্রাম: উপকূলীয় শহরটিতে হালকা শীতকালীন আবহাওয়া বিরাজ করে। তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে।
সিলেট: পার্বত্য অঞ্চলের জন্য পরিচিত সিলেটে শীতকালীন আবহাওয়া অনুভূত হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য
বাংলাদেশে শীতকাল উৎসব ও কৃষিকাজের ঋতু। কৃষকরা এই সময়কে কাজে লাগিয়ে অনুকূল পরিবেশে ধান ও সবজি চাষ করে থাকেন।
শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চলগুলো একইভাবে শীতল আবহাওয়াকে বরণ করে নেয়। আয়োজন করে মেলা, বিবাহ এবং বাইরের অনুষ্ঠানগুলো পুরোদমে চলছে।
তবে, শীতের রাত এবং সম্ভাব্য কুয়াশা ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কম থাকে।
কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে এমন সময় ভ্রমণকারীদের ভোরের দিকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের জন্য পরামর্শ
আবহাওয়া অধিদপ্তর সন্ধ্যায় এবং ভোরের জন্য হালকা জ্যাকেট(গরম কাপড়) পরার পরামর্শ দেয়। আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ থাকার পরামর্শ দেয় সংস্থাটি। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
কক্সবাজার, সুন্দরবন এবং সিলেটের চা বাগানের মতো প্রধান ভ্রমণ গন্তব্যগুলো মনোরম আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অনাবিল পরিবেশ উপভোগ করতে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের এই সময়ে বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে উৎসাহিত করা হয়।
শীতের ঠান্ডা তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক উদযাপন এবং উত্তাপ থেকে বহুল প্রত্যাশিত অবকাশের ঋতুকে বরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: শীতকালে নিরাপদে মোটরসাইকেল চালকদের প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার ও পোশাক
২ সপ্তাহ আগে
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ -এর ঢাকা সংস্করণ শুরু
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির আয়োজনে ঢাকার দৃক গ্যালারীতে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দৃক গ্যালারিতে এটির উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী সফররত এই প্রদর্শনীতে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার ফলাফলের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন বিচারকমন্ডলী দ্বারা নির্বাচিত বিগত বছরে তোলা সমগ্র বিশ্বের সেরা আলোকচিত্র সাংবাদিকতা এবং ডকুমেন্টারি আলোকচিত্রসমূহ প্রদর্শিত হচ্ছে।
দৃকপাঠ ভবনে আযোজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীর ঢাকা সংস্করণের প্রেক্ষাপটের উপর আলোকপাত করেন বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার প্রাক্তন জ্যুরি বোর্ড সভাপতি শহিদুল আলম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার এশিয়া অঞ্চলের কোর্ডিনেটর এএসএম রেজাউর রহমান।
এর আগে পূর্বে এশিয়া অঞ্চলের সহযোগি হিসাবে ২০২২ সালের নভেম্বরে দৃক ২০২২ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল। এছাড়াও দৃক এশিয়া অঞ্চলের ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার বিচারপ্রক্রিয়ার আয়োজন করে ঢাকায় এবং ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতার বিচারপ্রক্রিয়ার আয়োজন করে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রতিযোগিতাটি বিশ্বব্যাপী মোট ছয়টি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছে- আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর এবং মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়া। প্রতিযোগিতার এবারের ৬৭তম আসরে ১৩০টি দেশের ৩ হাজার ৮৫১ জন আলোকচিত্রীর কাছ থেকে ৬১ হাজার ৬২টি আলোকচিত্র ও ওপেন ফরম্যাট এন্ট্রি পাওয়া যায়। ৬১ হাজারেরও বেশি এন্ট্রি থেকে নির্বাচিত বিজয়ী কাজগুলোর মধ্য দিয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাত এবং রাজনৈতিক উত্থান থেকে শুরু করে জলবায়ু সংকট এবং অভিবাসীদের নিরাপদ উত্তরণ সম্ভ্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এধরনের গুরুত্বপূর্ণ গল্পগুলোকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে, নির্বাচিত কাজগুলো সমসাময়িক ঘটনাগুলো সম্পর্কে বৃহত্তর বোঝাপড়া এবং সচেতনতাকে উৎসাহিত করে। সেইসঙ্গে বিশ্বের সমস্ত কোণে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তাকেও মনে করিয়ে দেয়।
এবছর বিশ্বব্যাপী সফর শুরু করার পূর্বে, গত এপ্রিলের ১৯ তারিখে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো প্রদর্শনী ২০২৪ আযোজিত হয় নেদারল্যান্ডের অ্যামস্ট্যারডাম শহরে। বর্তমানে প্রদর্শনীটি ৬০টির বেশি দেশে সফর করছে।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: কুমার নদে ১২৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে মানুষের ঢল
১ মাস আগে
৪ দিন পর সিরাজগঞ্জের ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু
প্রায় চার দিন পর স্বল্প পরিসরে সিরাজগঞ্জের ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এদিকে থানাগুলোর কার্যক্রম চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সেনাবাহিনী, র্যাব ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে জেলার প্রায় সবকয়টি থানায় কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর সেনা নিরাপত্তায় বগুড়ায় ১২টি থানায় পুলিশি কার্যক্রম শুরু
এ সময় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা করেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি সোয়াইব রিয়াজ আলম।
এদিকে র্যাব-১২ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বেলকুচি থানার কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘জেলার সবকয়টি থানায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই থানা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।’
এসময় র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মারুফ হাসান, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আসমা খাতুন ও ওসি এনামুল হকসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: থানার কার্যক্রম ফেরাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটি গঠন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
৪ মাস আগে
আরও ১৭৭ থানার কার্যক্রম শুরু: পুলিশ সদর দপ্তর
শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের আরও ১৭৭টি থানায় কার্যক্রম চালু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী ৬৩৯টি থানার মধ্যে মোট সক্রিয় থানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৮টিতে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
এর মধ্যে মেট্রোপলিটন থানা ৮৪টি এবং জেলা থানা ৪৫৪টি।
টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার দেশের ৩৬১টি থানা ফের চালু হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকার প্রায় সব থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
যেসব স্টেশনে ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব স্টেশনে এখন আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গুরুতর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যে কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৪ মাস আগে
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রত্যাশিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী 'মার্স্ক দাভাও' নামের একটি কন্টেইনার জাহাজ আজ সকালে টার্মিনালে নোঙর করার মধ্য দিয়ে নিয়মিত পরিচালনা কার্যক্রম শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে টার্মিনালটি বছরে প্রায় ৫ লাখ বিশ-ফুট সমতুল্য ইউনিট (টিইইউ) পরিচালনা করবে।
পিসিটি চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে প্রথম টার্মিনাল যা একটি বিদেশি সংস্থা ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটি বিদেশি বিনিয়োগ এবং অপারেশনাল মডেলের নতুন যুগের সূচনা করে। এই রূপান্তর চট্টগ্রামকে একটি ল্যান্ডলর্ড বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের সামুদ্রিক অবকাঠামোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন।
সৌদি আরবের জেদ্দাভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের (আরএসজিটি) সঙ্গে ৬ মাস আগে চুক্তি হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা লাইটার জাহাজে আগুন, আহত ৩
কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা ও প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করে রেড সি গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড সোমবার থেকে কাজ শুরু করছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এ টার্মিনালে বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা। কমে আসবে জাহাজের গড় অবস্থানকাল। নতুন নির্মিত এ টার্মিনাল বছরে ৫ লাখ টিইইউএস (২০ ফুট সমমানের) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে। গত বছর দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর ৩০ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে।
এর আগে সোমবার ‘মায়ের্কস দাবাও’ নামের একটি কনটেইনার জাহাজ ভেড়ানোর কথা বলেছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি আরও বলেছিলেন, এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি টার্মিনালে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সমুদ্রগামী জাহাজের তথ্যসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্যে দেখা গেছে, শনিবার দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পিসিটিতে আসা প্রথম জাহাজ মায়ের্কস দাবাও। এটি সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী। মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং হয়ে কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৫ দশমিক ৯৯ মিটার ও ড্রাফট (পানির নিচে থাকা অংশ) ৯ মিটার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা উপকূলে নির্মিত হয়েছে পিসিটি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সৌদি আরবের আরএসজিটি এ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তারা শর্তসাপেক্ষে আগামী ২২ বছর টার্মিনাল পরিচালনা করবে। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আরএসজিটির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়। অবশ্য তার আগেই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে এখানে পণ্যও খালাস করা হয়। তবে গ্যান্ট্রি ক্রেন না আসায় শুরুতেই তারা পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে পারছে না বলে জানা গেছে। আপাতত ক্রেনযুক্ত জাহাজ ভেড়ানো হবে। গ্যান্ট্রি ক্রেন আসলে ক্রেনবিহীন জাহাজও হ্যান্ডলিং করা হবে। গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে অল্প সময়ে জাহাজে অধিক কনটেইনার ওঠানো-নামানো যায় ।
এর আগে একটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানিয়েছিলেন, সব সরঞ্জাম সংগ্রহ করে পিসিটি পূর্ণ সক্ষমতায় যেতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করবে দায়িত্ব পাওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে চার্জ পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পিসিটি’তে তিনটি কনটেইনার ও একটি তেল খালাসের (ডলফিন) জেটি রয়েছে। এগুলোতে একসঙ্গে চারটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে। কনটেইনার জেটির দুটিতে গ্যান্ট্রি ক্রেন থাকবে। যেখানে ভিড়তে পারবে গিয়ারলেস (ক্রেনবিহীন) জাহাজ এবং অপরটিতে গিয়ার্ড (ক্রেনযুক্ত) জাহাজ। পিসিটির চারটি জেটিতে একসঙ্গে চারটি জাহাজ বার্থিং নিয়ে পণ্য ওঠানামা করার সুযোগ রয়েছে। ফলে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজের চাপ কমে যাবে। পণ্য খালাসের অপেক্ষায় জাহাজকে দীর্ঘদিন বসে থাকতে হবে না।
৬ মাস আগে
দারাজের ৬.৬ বিগ ঈদ সেল ক্যাম্পেইন শুরু
অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ শুরু করছে বহুল প্রত্যাশিত ঈদুল আজহা ক্যাম্পেইন ‘দারাজ ৬.৬ বিগ ঈদ সেল’।
বুধবার (৫ জুন) থেকে শুরু হওয়ায় এই ক্যাম্পেইন চলবে আগামী বুধবার (১২ জুন) পর্যন্ত।
কোরবানির ঈদের আনন্দ উদযাপন এবং ত্যাগের মহিমা প্রকাশের উপলক্ষে বিগ ঈদ সেলে ক্রেতাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় সব অফার।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে দারাজ নিয়ে এলো গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪
‘ঈদে দারাজ মানেই সবার জন্য, সেরা দামে সেরা পণ্য’-এই স্লোগানের আওতায় এই ক্যাম্পেইনে রয়েছে কিচেন ও ডাইনিং, ফ্যাশন, কুলিং ও হিটিং সামগ্রি, বারবিকিউ উপকরণ, কোরবানি উপকরণ, মুদি দ্রব্যাদি, বিউটি প্রোডাক্টস, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিশেষ অফার।
৫ কোটি টাকা মূল্যমানের মেগা ভাউচার এবং ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মেগা ডিসকাউন্টের মাধ্যমে ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন দুর্দান্ত সঞ্চয় এবং অসাধারণ কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
ছাড়ের পাশাপাশি গ্রাহকরা নির্বাচিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ২৯৯ টাকার পণ্য ক্রয়ের বিনিময়ে ১০ লাখ নির্বাচিত পণ্যের উপর ফ্রি ডেলিভারির সুযোগ পাবেন।
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য তাদের শুধু দারাজ অ্যাপে ‘ফ্রি ডেলিভারি’ ব্যানারটি ক্লিক করে ভাউচার সংগ্রহ করতে হবে।
এই ভাউচারগুলো আগে এলে, আগে পাবেন ভিত্তিতে পাওয়া যাবে এবং অতিরিক্ত সঞ্চয়ের জন্য অন্যান্য ছাড়ের সঙ্গে একত্রিত করা যাবে।
এ বছর দারাজ তার গ্রাহকদের অনলাইনে সর্বোত্তম মূল্য প্রদানের জন্য ‘বেস্ট প্রাইস গ্যারান্টিড’ কর্মসূচি চালু করেছে।
৬.৬ সেলে ৩২ হাজার পণ্যে ‘বেস্ট প্রাইস’ ট্যাগ থাকবে।
যদি ক্রেতারা অন্য কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একই পণ্যের নিম্নমূল্য খুঁজে পান, তাহলে দারাজ যথাযথ দাবি করা সেই মূল্যের পার্থক্যের পাঁচ গুণ (শুধু ৬.৬ ক্যাম্পেইনে) অর্থ দেবে, যা নিশ্চিত করবে তারা সর্বদা সর্বোত্তম মূল্য পাবেন।
দারাজ ৬.৬ বিগ ঈদ সেল সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য দারাজ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ অথবা দারাজ অ্যাপে ব্রাউজ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
৬ মাস আগে
ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এদিকে ৪ মে ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়: কৃষিমন্ত্রী
বন্দরের আমদানিকারক আহমেদ আলী বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও রপ্তানি মূল্য ৫৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। আবার রপ্তানিতে আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্কও প্রত্যাহার করেনি।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানি শুল্ক আরোপ- এই দুই কারণে লোকসান হবে এমন ভয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। কিন্তু পেঁয়াজ কিনে রাখা ছিল। তাই বাধ্য হয়ে আমদানি করা হয়েছে। কয়েকদিনে দেশে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি কেজি প্রতি খরচ হচ্ছে ৭০ টাকা। এরমধ্যে সব খরচ রয়েছে। লোকসান না হলে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের পক্ষে কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। ভারত সরকার তাদের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি মোকাবিলায় রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। গত ৪ মে তারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশের প্রায় ২০ জন আমদানিকারক খামারবাড়ীতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনের ফলে আমদানিকারকদের খামারবাড়ী থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া হয়েছে। এসব আমদানিকারকেরা প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু শুনেছি আমদানিকারকেরা লোকসান হবে বলে এতদিন আমদানি করেননি।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধার একটু আগে একজন আমদানিকারক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। পেঁয়াজ পচনশীল পন্য তাই আমরা দ্রুত খালাস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেন তারা তাদের গন্তব্যে নিতে পারেন।
আমদানিকারক ব্যবসায়ী সূত্র জানান, গত বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ২০০-৩০০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে। তাতেও আমদানি হচ্ছিল। একপর্যায়ে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহতের কথা বলে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। রপ্তানি স্থগিত করে ভারত সরকার।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আমদানি পণ্য এড়িয়ে চলার আহ্বান বিএনপির
উপজেলা নির্বাচন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৭ মাস আগে
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও আশপাশের গ্রামসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে।
রবিবার(১০ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূত্র ইউএনবিকে জানায়, এসব এলাকার মুসল্লিরা তারাবিহর নামাজও আদায় করেছেন এবং ভোরে সেহরী খাবেন।
পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ দরবার শরীফের পীরজাদা ও অনুসারীরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাতে সেহরি খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
তিনি আরও জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক তার মরহুম দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মওলানা ইসহাক সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহে চাঁদ দেখা গেলে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজাপালন , ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজায় কমল স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সময়
রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরিও খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভোলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী , ছটাকীএবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সহস্র বাসিন্দারা একইভাবে আগাম রোজা পালন ও দুই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
৯ মাস আগে
সৌদি আরবে আজ রোজা শুরু
সৌদি আরবে রবিবার(১০ মার্চ) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ সোমবার (১১ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে।
এর আগে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছিল সৌদি আরব। খালি চোখে বা দূরবীন দিয়ে যারাই অর্ধচন্দ্র দেখবেন, তাঁদের নিকটস্থ আদালতে রিপোর্ট করতে এবং পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ব্রুনাইসহ আরও কয়েকটি দেশ ১২ মার্চ থেকে রমজান মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ওমানও ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ১২ মার্চ, মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাস শুরু করবে, কারণ রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যায়নি।
৯ মাস আগে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের মধ্যে ১০ দিনব্যাপী 'এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪' শীর্ষক মহড়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ মহড়ার আয়োজন করছে।
এ উপলক্ষে সোমবার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. বদরুল আমিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এ মহড়ায় বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে বিমানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের দুটি সি-১৩০জে বিমান অংশ নিচ্ছে। এছাড়া মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য বিমান বাহিনীর একটি এএন-৩২ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
'এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২৪'-এ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৫০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের ৭৮ জন সদস্য অংশগ্রহণ করবে।
সোমবার বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২ জন প্যারাট্রুপার ছাড়াও সেনাবাহিনীর ৩০ জন প্যারাট্রুপার (১১ জন ফ্রি ফলার ও ১৯ জন স্ট্যাটিক জাম্পার) এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন প্যারাট্রুপার এ মহড়ায় অংশ নেবে।
এই মহড়ায় বিমান বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের মধ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সহজলভ্য যন্ত্রপাতির কার্যকরী মূল্যায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতের সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিতকরণ এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবহন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মান নির্ধারণের উপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
মেলা উপলক্ষে বিমানের সব আন্তর্জাতিক রুটের টিকেটে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়
১০ মাস আগে