আরাকান আর্মি
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে আরও ১২৩ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১১৩ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে।
বিজিবির পিআরও বলেন, রবিবার সকাল থেকে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সীমান্ত পুলিশের আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, ‘আকাশ পথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশ পথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।’
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।’
'বাইডেনের চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আর কোনো 'অস্বস্তি' নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় ৫৮ নাসাকা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৫৮ সদস্য।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বিজিপির ৫৮ জন সদস্য বা নাসাকা সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
আহতদের মধ্যে পবিন্দ্র ধর নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, জিরো লাইনে পড়ছে গুলির খোসা ও মর্টার শেল। ফলে তার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাড়ি, ভাজাবনিয়া সীমান্ত পয়েন্টের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, একটি মর্টার শেলের অংশ একটি বসতবাড়ির উপরে পড়ায় দুটি গ্রামের বাসিন্দারা চলে গেছেন।
চলমান পরিস্থিতির কারণে অনেক কৃষক তাদের ফসলি জমিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। উৎপাদিত ফসল জমি থেকে কাটতে না পারায় জমিতে পচে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
এই অঞ্চলের সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের কাছে বাংলাদেশ তার উদ্বেগ জানিয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাদের ব্রিফ করা হয়েছে।
শান্তি বজায় রেখে মিয়ানমারের ফাঁদে পা না দেয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন কূটনীতিকরা।
মঙ্গলাবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত)।
কূটনীতিকরা বাংলাদেশের উদ্বেগ তাদের দেশকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশে মর্টার শেল নিক্ষেপের জন্য মিয়ানমার আরাকান আর্মি ও এআরএসএকে দায়ী করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে আসছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের (কূটনীতিকদের) সাহায্য চেয়েছিলাম যাতে মিয়ানমার এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে।’
পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
এর আগে সোমবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মোঃ খোরশেদ আলম(অবসরপ্রাপ্ত) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মিশন প্রধানদের ব্রিফ করেন এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা আমলে নিয়েছেন এবং তাদের নিজ নিজ দেশে যথাযথভাবে পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল পড়া ও বিস্ফোরণের ঘটনা, নির্বিচারে বিমান থেকে গুলি, মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর জখম, সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের সম্পত্তি ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা আশিয়ান দূতদের জানান।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো কূটনীতিক ব্রিফিংয়ে ছিলেন না। তবে অন্যান্য আসিয়ান দেশ-ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া শাখা) মো. নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর দায় চাপিয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিও উইন সোমবার ইয়াঙ্গুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, আরাকান আর্মি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে’ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
জ ফিও উইন বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মিয়ানমার সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে’ আরাকান আর্মি ও আরসার সন্ত্রাসীদের পরিখা এবং ঘাঁটির তথ্য অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সেই সব স্থাপনা ও ঘাঁটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সাক্ষাতে মহাপরিচালক বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কাছে মিয়ানমারের ঘটনা সম্বলিত একটি আন অফিসিয়াল পেপার হস্তান্তর করেন।
পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
মিয়ানমারে শিশু হত্যা নিয়ে জাতিসংঘের ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ
মিয়ানমারে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দেশটিতে শিশু হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এই মাসের শুরুর দিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুজন নিহতের ঘটনায় ‘দুঃখ ও শোক’ প্রকাশ করেছে।