অব্যবস্থাপনা
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত চাপের কারণে রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরই তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের সম্মুখীন হন।
আসন সংকটের কারণে অনেক রোগীকে জনাকীর্ণ করিডোর ও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান ক্রমবর্ধমান সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, চলমান এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
চিকিৎসায় বিলম্ব ও ওষুধের অভাব
ময়মনসিংহে এক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া আলাল উদ্দিন ৪ অক্টোবর থেকে করিডোরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনও বিছানা পাননি।
তার ভাই জালাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় নার্সদের পাওয়া যায় না, এমনকি ডাক্তারদেরও খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সি জাহিদ হাসান ২ অক্টোবর ভর্তি হয়েছেন। তিনিও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জানান, ‘প্রেসক্রাইব করা একটি ইনজেকশন এখনও দেওয়া হয়নি, বলা হচ্ছে সেটি স্টকে নেই, যদিও হাসপাতালের ফার্মেসিতে তালিকাভুক্ত।’
ওষুধের অভাবে অনেক রোগী বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিচ্ছন্নতার অভাব
হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে পরিচ্ছন্নতার মান বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা।
তবে অপরিচ্ছন্নতার জন্য লোকজনের আচরণও দায়ী বলে মনে করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘শৌচাগারগুলোর পাইপলাইনে প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় বস্তু আটকে যায় এবং পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিটি শৌচাগার প্রায় ১০ জন লোক ব্যবহার করেন, তাই সঠিক স্যানিটেশন বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’
হাসপাতালের রান্নাঘরেও দেখা গেছে নানা রকম সমস্যা। যেখানে রান্না করা হচ্ছে, তার আশপাশে বর্জ্য জমে রয়েছে। খাদ্যদ্রব্যগুলো ঢেকে রাখা হয়নি। এগুলো রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে।
জনবল সংকট ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা
পরিচালকের মতে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘জনবল না বাড়ালে এরকম অব্যবস্থাপনা চলতেই থাকবে।’
এছাড়াও, প্রতিদিনের জন্য রোগীপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা খাদ্য বাজেট যথেষ্ট নয় বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে খাবারের মান উন্নয়নের জন্য এটি ২০০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেন।
দুর্নীতির কারণে আর্থিক চাপ
বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার সহায়তা মৌলিক সেবার মধ্যেই পড়ে। অথচ এর জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের ৫০-১০০ টাকা পরিমাণ বকশিস দিতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ওয়ার্ড সহকারী বলেন, ‘রোগীরা যদি আমাদের কিছু দেন, তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে সহায়ক হয়।’
হাসপাতালের পরিচালক এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কাজে জড়িতদের আমরা বরখাস্ত করেছি, তবে পুরোপুরি এই প্রথা নির্মূল করা এখনো চ্যালেঞ্জিং।’
১ মাস আগে
ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
অব্যবস্থাপনা এবং ঋণ কেলেঙ্কারির সমালোচনা সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা অর্জনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)। বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইবিবিএল এখন দেশের সর্বোচ্চ আমানত ধারণকারী ব্যাংক। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঋণ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনের পর এই ব্যাংক থেকে অনেক আমানতকারী টাকা তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ইসলামী ব্যাংকে তারল্য সংকটে ৪০০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলি বিতরণকৃত ঋণ এবং সংগ্রহের আপডেটের ওপর তাদের শাখা অফিসের তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শনিবার প্রকাশিত বিবি’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২০২২ সালে আগের (২০২১) বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা মুনাফা অর্জনে ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইবিবিএল। ২০২২ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর), ব্যাংকটি দুই হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির (আইবিবিএল) মুনাফা ছিল দুই হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে তা ছিল দুই হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে, ২০২২ সালে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। ২০২১ সালে তা ছিল দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।
কিন্তু পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। পরিচালন মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন বা সেফটি স্টক সংরক্ষণ এবং কর্পোরেট ট্যাক্স পরিশোধের পর নিট মুনাফা গণনা করা হবে। নিট মুনাফা হল ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা।
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফা করতে পারেনি। বিপরীতে, তারা ৩৭১ কোটি টাকা লোকসান করেছে; গত বছরও লোকসান হয়েছিল ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া ছয় মাসে সিটিজেন ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ব্যাংকটি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে কার্যক্রম শুরু করে।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে এবং এ ধরনের ঋণের সুদ আয় খাতে দেখিয়ে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। কাগজে ভাল দেখানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সদিচ্ছা প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রান্তিকে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে বিবি’র পর্যবেক্ষক
১ বছর আগে
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে: দেবপ্রিয়
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং তারপর লিটারে মাত্র ৫ টাকা কমানো হল অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানো প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতার অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ইআরএফ ডায়ালগ-এ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা বৈদেশিক লেনদেনে নয়, বরং দেশীয় আর্থিক খাতের দুর্বলতা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দা ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এর বিরূপ প্রভাব কমানো যেতে পারে।
তিনি অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে চারটি বিচ্যুতিও চিহ্নিত করেছেন, যা বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিচ্যুতিগুলো হলো- বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না পাওয়া, রাজস্ব উৎপাদনে দুর্বলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বৈষম্য।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন সরকারি বিনিয়োগ দ্বারা চালিত হচ্ছে কারণ জিডিপিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের অনুপাত কয়েক বছর ধরে বাড়েনি এবং এখনও জিডিপির ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সিডিপিতে পুনর্নিযুক্ত হলেন ড.দেবপ্রিয়
অন্যদিকে, জিডিপিতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৫ থেকে ৬ শতাংশ থেকে ৭ থেকে ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হয়নি কারণ এফডিআই এখনও জিডিপির এক শতাংশের নিচে যা একটি গতিশীল অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট নয়’।
গত ১০ বছরে গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আয় বাড়ছে। ‘তাহলে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না কেন... হিসেব-নিকেশে কোনো গরমিল আছে কি?’
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, রাজস্ব আহরণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারছে না, পাশাপাশি খাদ্য সহায়তার আওতা বাড়ানোও সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শুল্ক ও মাসুল কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার জন্য তারা রাজস্ব সংগ্রহের জন্য পরোক্ষ করের ওপর প্রচুর নির্ভর করে; যা সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলেছে।’
দেবপ্রিয় অভিযোগ করেন, ভৌত অবকাঠামো খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২০টি মেগা প্রকল্পে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জিডিপির এক শতাংশ।
তিনি জানান, রাজনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য দ্রুত গতিতে দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সামাজিক সুরক্ষা নেট ভাতা বিতরণে বড় আকারের বৈষম্য হয়েছে। কারণ তখন প্রমাণিত হয়েছিল যে দুর্বল লোকদের জন্য সরকারি পরিষেবাগুলো পাওয়া সহজ ছিল না।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মহল নীতিনির্ধারকদের প্রশংসা পাচ্ছেন, যার জন্য মেধাভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানের মানবসম্পদ উন্নয়নের অপর্যাপ্ত বিকাশ ঘটেছে।
ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানি, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়াটা বড় উদ্বেগের: সিপিডি
২০টি মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন: দেবপ্রিয়
২ বছর আগে
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দুর্নীতি, চুরি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাটির দক্ষতা বৃদ্ধি করে সরকার জ্বালানির নজিরহীন মূল্যবৃদ্ধি এড়াতে পারত বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই পর্যবেক্ষণ দেয় থিংক ট্যাংকটি।
সিপিডির মতে, বাংলাদেশে প্রতি লিটার অকটেনের দাম প্রতিবেশী ভারতের দামের তুলনায় ১০ টাকা বেশি এবং ডিজেলের দাম ২ টাকা বেশি।
বৈশ্বিক আরএমজি বাজারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় অকটেনের দাম ২৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১৬ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এটি সরকারকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই বৃদ্ধি অর্থনীতিতে বহুগুণ প্রভাব ফেলবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খায়রুন বলেন, ‘জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বর্তমান সাড়ে সাত শতাংশ মূল্যস্ফীতিকে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’
‘এখন কি নজিরহীন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যায়’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনা করেছেন তিনি।
২ বছর আগে
রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী বহন বন্ধসহ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে রেলওয়ে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি জানান, রেলওয়ের পক্ষে কমপ্লায়েন্স (প্রতিবেদন) দাখিলের জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত সময় দিয়ে আগামী রবিবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির বিষয়টি নজরে নেয়ার পর ২১ জুলাই হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। ওইদিন হাইকোর্ট ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন বন্ধ করতে বলেন। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি নিয়ে ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী। তার ছয় দফা দাবিগুলো- সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট; টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো; একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন। এছাড়া রনির অভিযোগের পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত ২০ জুলাই রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে গ্রাহক অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করে। গত ২৫ জুলাই রাতে রেলভবনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন রনি।
আরও পড়ুন: রেলের অব্যবস্থাপনা: চলামান আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি
রেলের প্রতিবাদ: কমলাপুর স্টেশনে ঢুকতে রনিকে বাধা
২ বছর আগে
ঢাকার বাসিন্দারের শীতেও ঘাম ঝরাচ্ছে সবজির দাম
শাক-সবজির দামের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হলো আপনাকে গরমের সময়ের তুলনায় শীতকালে ব্যয় করতে হয় কম অর্থ। তবে এবার, শীতের আমেজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠাণ্ডা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
৪ বছর আগে
বেহাল অবস্থায় কুমিল্লার চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন
প্রায় ১০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা কুমিল্লার চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এক সময় জেলাবাসীর বিনোদনের অন্যতম স্থান ছিল। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
৫ বছর আগে