এসআই আকবর
রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
সিলেটের নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। এছাড়া পলাতক আরেক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণকালে প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিল।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: আরও ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির ‘টুইআইসি’(সেকেন্ড-ইন-কমান্ড) পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।
আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। পলাতক আকবরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠলে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১২৭০ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: আইনজীবী পাননি এসআই আকবর
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরের পক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি।
১৫৯৪ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: ৭ দিনের রিমান্ডে এসআই আকবর
সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৫৯৪ দিন আগে
রায়হান হত্যার ঘটনায় লজ্জিত এসএমপির নতুন কমিশনার
রায়হান খুনের বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) নতুন কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনপ্রিভেত, অপ্রত্যাশিত। পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা জড়িত আছে তাদের এই কর্মকাণ্ডে আমি লজ্জিত।’
১৬০৭ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: আরেক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ওই ফাঁড়ির কনস্টেবলের দায়িত্বে থাকা হারুন রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
১৬১১ দিন আগে