এমএফএস
ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদের কেনাকাটা, ভ্রমণ, ইফতার ও সেহরিতে খাওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যাশলেস পেমেন্ট। ব্যাংকগুলোর মোটা অঙ্কের ছাড় ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) কারণে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডাররা এ সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদ উপলক্ষে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ক্যাশব্যাক ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
ঈদের পোশাক, জুতা, গয়নাসহ বিভিন্ন পণ্য কেনায় ছাড় দিচ্ছে কিছু ব্যাংক। এ ছাড়া পুরো রমজান মাস জুড়ে ইফতারের মূল্যে ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এছাড়াও রয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফারসহ নানা 'ঈদ উপহার'।
সংশ্লিষ্টদের মতে, উৎসব ঘিরে পণ্য ও সেবার দাম বাড়ানোর প্রবণতা বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই চলছে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, এ ধরনের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে; বদলে যাচ্ছে চিত্র। এখন বাংলাদেশেও উৎসবের সময় পণ্যের দামে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল খোলা থাকবে ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন ইউএনবিকে বলেন, 'ডিসকাউন্টের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তারা নগদ এড়াতে অনেক সুবিধা দেয়, যা নগদ অর্থ বহন করার ঝুঁকিকে নিরুৎসাহিত করে এবং কার্ডে ক্রয়কে উৎসাহ দেয়।’
তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলো তাদের কার্ড হোল্ডারদের জন্য বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় ৩০০ লাইফস্টাইল স্টোর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অফার দিচ্ছে এবং ৫০টিরও বেশি গয়না প্রতিষ্ঠান তাদের কার্ডহোল্ডারদের জন্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।
এছাড়া অনলাইনে কেনাকাটায় কার্ড পেমেন্টে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি ১৩০টিরও বেশি রেস্টুরেন্টে ইফতার ও ডিনারে 'বাই ওয়ান গেট ওয়ান' অফার বা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।
এরই সঙ্গে ঈদে বাড়ি ফেরা ও বিদেশ ভ্রমণে বিমান ভাড়ার ওপর বিভিন্ন অফার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
স্ট্যানচার্টের হেড অব কনজ্যুমার ব্যাংকিং সাব্বির আহমেদ জানান, ক্যাশলেস কেনাটাকায় উৎসাহিত করতে স্ট্যানচার্ট বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে। গ্রাহকদের ঈদ আরও আনন্দময় করতে ৭ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে এ সুবিধা দে্ওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, গ্রাহকরা আমাদের কার্ড অফারের সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে ক্যাশলেস কেনাকাটা করবেন।’
ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ইউএনবিকে বলেন, ‘নন-ক্যাশ ফর্ম পেমেন্টের বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা দেখছি, অনলাইন ও অফলাইনে কেনাকাটা ও অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত নিরাপত্তা ও গতিসহ ডিজিটাল পেমেন্টের বিভিন্ন সুবিধা পেতে কার্ড ব্যবহার করছেন ভিসা কার্ডধারীরা।’
সৌম্য আরও বলেন, 'আমরা আশা করি ঈদের আগের দিনগুলোতে ডিজিটাল লেনদেনের এই ধারা আরও বেগবান হবে। ভিসা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা, ব্যবহার সহজীকরণ ও সক্ষমতার মাধ্যমে আমাদের কার্ডহোল্ডারদের আরও সক্রিয় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
ইউসিবির 'ইউপে'র স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রোডাক্ট বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মৌলুদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ইউপের ব্যবহারকারীরা যাতে পবিত্র রমজান মাসে কোনো অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে এবং নির্বিঘ্নে ঈদ উৎসব উপভোগ করতে পারে সেজন্য দেশজুড়ে ইউপের হাজার হাজার মার্চেন্ট পয়েন্ট রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের গ্রাহকদের জীবনযাত্রার আরও সুবিধার্থে আমরা সম্প্রতি চালু করেছি ইউসিবি-ইউপে কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড। এটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ব্যবহার করতে পারবেন।’
ঈদ উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে রমজানে ব্যবহারকারীদের জন্য ইউপে আকর্ষণীয় অফারও নিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি।
ঈদ উপলক্ষে ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনবিআরসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ বেশকিছু ব্যাংক কেনাকাটা ও ভ্রমণে এমএফএস- বিকাশ ও নগদ পেমেন্টে মূল্যছাড় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
৭ মাস আগে
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ১৪-১৮ বছর বয়সী তরুণদের মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (এমএফএস ) খোলার সুযোগ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব পেমেন্ট সিস্টেম মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে, তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪-১৮ বছর বয়সী ব্যক্তি তার নিজের এনআইডি ছাড়াই বাবা-মায়ের গ্যারান্টির মাধ্যমে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
তবে, অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী ব্যক্তি ও বাবা-মা উভয়কেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আবেদনকারীর বাবা-মা/অভিভাবককে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্ম শংসাপত্র দিতে হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের এমএফএস অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলকভাবে একটি লিঙ্কযুক্ত এমএফএস অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
বাবা-মা বা অভিভাবকদের এমএফএস অ্যাকাউন্টের সত্যতা নিশ্চিত করে এই অ্যাকাউন্টটি খোলা উচিত।
পিতামাতা বা আইনী অভিভাবকের সম্মতিতে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের সম্মতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, তাদের অবশ্যই তাদের মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠাতে হবে।
এছাড়াও, এই অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টধারীর মোবাইল ফোন নম্বরে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সময়ে, লেনদেনের তথ্য অভিভাবকদের জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
অনলাইন জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল অর্থনীতি পরিষেবার (এমএফএস) ২১ হাজার ৭২৫টি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। এমএফএস অপারেটরদের ভবিষ্যতে এই ধরনের লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
বিএফআইইউ চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন জুয়া ও বাজি লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেন থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়াও, ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং অবৈধ হুন্ডি, গেমিং ও বাজি সম্পর্কিত লিঙ্কগুলোর একটি তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি ২১টি মানি চেঞ্জারের বিবরণ এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিএফআইইউ।
আরও পড়ুন: ১৫ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করল বিএফআইইউ
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম, বিএফআইইউর পরিচালক, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের চিফ অব মানি লন্ডারিং এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, অপরাধী ও অর্থ পাচারকারীরা যেন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং
১ বছর আগে
বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এমএফএস বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে। এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার শিকল ভাঙ্গতে পারেনি, কিন্ত এমএফএস তা পেরেছে।
তিনি বলেন, এমএফএস সেবা দেশের জনগণ ব্যবহার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
এমএফএস যাতে জনগণ সঞ্চয় করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখার প্রয়োনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, এতে জনগণের অংশগ্রহণ অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
বুধবার ঢাকায় আইডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি শক্তিশালী করণে এমএফএসের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় কাগজের নোটের দিন শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিন ফুরিয়ে আসছে। সামনের পাঁচ বছরে বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোথায় যাবে আমরা কেউ জানি না। দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। তবে এই মুদ্রা কাগজের নোট ছাড়া অন্যকোন ভাবে লেনদেন হবে এটা গভীর বিবেচনায় নিতে হবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ভবিষ্যত গতিবিধি আয়ত্ত্ব করে আমাদের সামনে এগুতে হবে বলে উল্লেখ করেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিত্তির ওপর স্মার্ট প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সালে স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে আমরা অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পৃথিবীর সমান্তরালে এসেছি।
এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পৃথিবীর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের বিকাশের বিপ্লবের সূচনা হয়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল থেকেই।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, দেশে টেলিকম সভ্যতার মহাসড়ক আমরা তৈরি করেছি। এই মহাসড়ক দিয়েই ডিজিটাল সভ্যতা এগিয়ে যাবে।
তিনি ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, আমরা ৫জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছি। আজ মোবাইলে যে ফিনান্সিয়াল সার্ভিস হচ্ছে পরবর্তীতে আইওটি ডিভাইস মোবাইলের স্থান দখল করতে পারে।
মন্ত্রী প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ভবিষ্যতের প্রযুক্তির গতিবিধি আয়ত্ত্ব করতে না পারলে গবেষণার ফলাফল কাজে আসবে না বলে উল্লেখ করেন।
সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইডিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর, বিকাশের সিইও কামাল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাহুল হক, সাবেক নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের লিড রিসার্চার হোসাইন এ সামাদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিজিটার প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ভবিষ্যত প্রযুক্তির ওপর লাগসই গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
১ বছর আগে
হুন্ডিতে লেনদেন: ২৩০ এমএফএস অ্যাকাউন্টের ক্যাশ-আউট স্থগিত
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর সঙ্গে জড়িত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ২৩০টি অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ-আউট স্থগিত করেছে।
বিএফআইইউ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো রোধ ও বৈধ পথে রেমিটেন্স বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
বিএফআইইউ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। তবে অ্যাকাউন্টগুলোতে টাকা পাঠানো যাবে।
ক্যাশ-আউট স্থগিত হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিকাশ, নগদ, উপায় ও রকেটের।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
১ বছর আগে
করোনা চলাকালীন এমএফএস সেক্টর আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে: নগদের এমডি
করোনার সময়ে আর্থিক লেনদেনের অংশীদারিত্বে এমএফএস সেক্টর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এমএফএস প্রদানকারী সংস্থা নগদ করোনায় আর্থিক সহায়তা, উপবৃত্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেট প্রোগ্রাম সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা বিতরণে নেতৃত্ব দিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি মাসউদুল হককে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,এই ভাতাগুলোর স্বচ্ছ বন্টন সময় বাঁচিয়েছে এবং সিস্টেম লস কমিয়েছে।
মিশুক দেশের অর্থনীতি এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নিয়ে বাজেট-পরবর্তী সময়ের পরে তার চিন্তাভাবনাও জানিয়েছেন।
এমএফএস শিল্পের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, এমএফএস শিল্প বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নগদ এমডি বলেন, এমএফএস সেক্টর করোনার সময় দেশের আর্থিক লেনদেনের নেতৃত্ব দিয়েছে। নগদ করোনায় আর্থিক সহায়তা, উপবৃত্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা বিতরণে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ভাতার স্বচ্ছ বন্টন সময় বাঁচিয়েছে ও সিস্টেম লস কমিয়েছে। সমষ্টিগতভাবে, সমস্ত অপারেটর বর্তমানে দৈনিক ভিত্তিতে গড়ে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন করে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে যখন নগদ বাজারে প্রবেশ করে, তখন সমস্ত অপারেটরের দৈনিক লেনদেন ছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। বলা বাহুল্য, নগদ বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। নগদের সমস্ত অনন্য উদ্ভাবন, বিশেষ করে, ব্যবহারকারীদের মোবাইল আর্থিক পরিষেবা গ্রহণে আগ্রহী করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তানভীর মিশুক বলেন, আমার মতে আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা অবস্থানে আছি। আমরা যেভাবে করোনা সংকট মোকাবিলা করেছি তা অনুকরণীয়। এমনকি অনেক উন্নত দেশও এই দুর্দশা মোকাবিলায় লড়াই করেছে।
তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের ওপরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি সেতু আমাদের রাজস্ব এক দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর টানেল, মেট্রো রেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও যোগ হবে। গোটা বিশ্ব এখন এশিয়ান টাইগারদের এগিয়ে চলা দেখবে।
আরও পড়ুন: সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি’র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি যথেষ্ট সন্তোষজনক কিনা জানতে চাইলে মিশুক জানান, অবশ্যই এইখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের কল্যাণে এখন কিছুটা হলেও পরিশিলিত চেহারা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ এ বিষয়ক প্রতিবেদন ‘দ্য গ্লোবাল ফিন্ডেক্স’ বলছে বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওয়তায় এসেছে। অথচ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আর কার্ড সংখ্যা দিয়ে এটি ২০ শতাংশের মতো। বাকি পুরোটাই এসেছে এমএফএস-এর মাধ্যমে। এখানে ‘নগদ’-এর ভূমিকাই বড়।
উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে এবং দ্রুত নেপাল, ভারত এবং শ্রীলঙ্কাকে ছাড়িয়ে যেতে হবে। প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পরিবর্তে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হবে সরকারের এই উদ্দেশ্য অর্জনের প্রথম হাতিয়ার।
নগদ এমডি বলেন,এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে ‘নগদ’। মাত্র শোয়া-তিন বছরে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা এখন সাড়ে ছয় কোটির কাছাকাছি। আর্থিক খাত তো নয়ই, বাংলাদেশের আর কোনো কোম্পানি এত দ্রুত এত বেশি গ্রাহক পায়নি। ইতোমধ্যে ‘নগদ’-এর প্রতিদিনের লেনদেন হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে।
এখানে কাজের সুযোগ কতোটা জানতে চাইলে মিশুক বলেন, দ্য গ্লোবাল ফাইন্ডেক্সের মতে, ব্যাঙ্কিং অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বেশিরভাগ ব্যক্তির কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে। অতএব, আমাদের এই ব্যাঙ্ক একাউন্টবিহীন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা অনুসারে, আমরা এখনও ৩০ মিলিয়ন ব্যক্তিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে আনতে পারিনি। সুতরাং, এটি আমাদের জন্য বাজার সম্প্রসারণের একটি সুযোগ।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে শ্রীলংকা, ভারত বা নেপাল আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও অনেকগুলো ক্ষেত্রে কিন্তু আমরাই নেতৃত্ব দিচ্ছি। যেমন–এমএফএস-এর মাধ্যমে ইউটিলিটির বিল পরিশোধ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখানে বাংলাদেশই সবার চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: দেশে ইইউ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত
২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
সেবা সম্প্রসারণে এই শিল্প কতটা উদ্ভাবনী হয়েছে জানাতে চাইলে তানভীর মিশুক বলেন,সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। আর এই কাজটি অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে নগদের দ্বারা। পূর্বে, এটি ছিল স্থানীয় হুন্ডি যা একটি আনুষ্ঠানিক লেনদেনে রূপান্তরিতকরা হয়েছে। আমরা একটি উদ্ভাবন প্রবর্তন করেছি যা অ্যাকাউন্ট খোলার জটিল পদ্ধতিকে সুগম করেছে, যা ডি-কে ওআইসি, *১৬৭# নামে পরিচিত।
এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে, তারা সহজভাবে *১৬৭# ডায়াল করে একটি আর্থিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এমএফএস অপারেটররা জিডিপিতে কতটা অবদান রাখতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে নগদ এমডি বলেন,
জিডিপিতে এমএফএস খাতের অবদান নিয়ে কোনো কাজ এখনো হয়নি। তবে এটি তো অর্থনীতির স্বতসিদ্ধ কথা যে, স্বচ্ছতা বজায় রেখে টাকা লেনদেনে গতি দিতে পারলে অর্থনীতিও অনেক দ্রুত এগিয়ে যায়। আমরা সেই কাজটাই করছি।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের হিসাবে তারা জিডিপিতে সাড়ে ৭ শতাংশ অবদান রাখছে। এমএফএস খাতেও দশ লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিমাসে এখন এক লাখ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চার কোটি। আমার বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের চেয়ে এমএফএস খাতের অবদান জিডিপিতে আরো অনেক বেশি।
২ বছর আগে
এমএফএস অপব্যবহার রোধে চট্টগ্রামে বিকাশের কর্মশালা
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজন করেছে বিকাশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৫০ তদন্ত কর্মকর্তা ও বিকাশের কর্মকর্তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সার্বিক সহায়তায় দামপাড়া পুলিশ লাইনে সম্প্রতি এই কর্মশালা আয়োজন করে বিকাশ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মনিরুল করিম।
কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথ পদ্ধতিতে এমএফএসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে, আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ও এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ধারাবাহিক সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এই সমন্বয় কর্মশালা আয়োজিত হলো। কর্মশালায় এমএফএস অপব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধসমূহ, অপরাধী চিহ্নিতকরণে প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা এবং অপরাধী চক্র চিহ্নিতকরণের উপায় ও অপব্যবহার রোধে বিকাশ এর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও কর্মশালায় আর্থিক খাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সচেতনতার মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পরিপূর্ণরূপে পালনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এমএফএস সেবার অপব্যবহার রোধে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কীভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু
দারাজে পেমেন্ট বিকাশ করলে ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
৩ বছর আগে
ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে দেশ: টিআরএনবি ওয়েবিনারে বক্তারা
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সরকারের ভাতা ও আর্থিক সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনের কারণে দেশ ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে মোবাইল প্রযুক্তি: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এমন অভিমত জানান আলোচকেরা।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
আলোচনায় অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইউসুফ আলী, ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক, এমটব-এর সাবেক মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির ও বেসিস-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় সরকারি ভাতা বিতরণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
আরও পড়ুনঃ বিটিআরসি ভবনের নির্মাণ উদ্বোধন করলেন মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘টাকাকে আমরা আর কাগজের মুদ্রায় দেখতে চাই না। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর বিধিবিধানগুলোও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। তারাও এখন পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেন করছে এবং উৎসাহিত করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এখন এমএফএস অপারেটরগুলোর মধ্যে আন্তলেনদেন বা ইন্টারঅপারেবিলিটির ব্যবস্থা করে তাহলে মানুষের জীবন আরও সহজ হবে এবং এমএফএস সেবা গ্রহণযোগ্যতা পাবে সাধারণ মানুষের কাছে।
আরও পড়ুনঃ ‘বিবেকের আয়না’ নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরছে ‘নগদ’
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত দেশের এমন কেউ নেই যে ডিজিটাল সেবার উপকার পাননি। এখন চাইলেই মানুষ যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো কারও সাথে যুক্ত হতে পারছেন। করোনাকালে দেশের দুর্গম অঞ্চলে সরকার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে। এখন সরকারি যেসব ভাতা, সবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পৌঁছে যাচ্ছে ভাতাভোগীর হাতে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে এমএফএস অপারেটরগুলো।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, আমরা যেন নির্বিঘ্নে সমাজিক নিরাপত্তা ভাতা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। তার জন্য আমরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো প্রযুক্তি গ্রহণ করি, যাতে ঘরে বসেই মানুষ তাদের ভাতা পেয়ে যায়। কাজটি সহজ করে দেওয়ার জন্য ‘নগদ’-কে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুনঃ প্রতি সেকেন্ডে ‘নগদ’ এ যুক্ত হচ্ছে তিনজন গ্রাহক
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘নগদ’ যাত্রা শুরু করে।
“আজ দুই বছর পর এসে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের যে লক্ষ্য তার খুব কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। ‘নগদ’ একটি সরকারি সেবা হওয়ায় অন্য আরেকটি সরকারি সংস্থাও ‘নগদ’-এর ওপর আস্থা রাখছে এবং সহজেই তাদের ভাতা, সহায়তা ও অনুদান বিতরণ করতে পারছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবেও আমরা এতটাই নিজেদের তৈরি করেছি যে, মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো সেরা কোম্পানির সঙ্গেও ‘নগদ’-এর তুলনা হতে পারে,” যোগ করেন তানভীর।
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এমএফএস বিশেষ করে ‘নগদ’-এর কারণেই সরকারি ভাতা ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এসেছে এবং তালিকায় থাকা ভুয়া গ্রাহকদের বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আর সে কারণে সরকারের বরাদ্দ থেকে ছাড় করা টাকাও আবার সরকারকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এমটব-এর সাবেক মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ‘আমাদের জার্নি হচ্ছে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে। সরকারের কৌশলগত জায়গাগুলোয় সবাই একসাথে কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে প্রযুক্তির ধারায় নিয়ে আসা একটি সফলতা। তিনি বলেন, এক সময় পিতলের একটি টোকেন নিয়ে আমরা ব্যাংকে বসে থাকতাম। সরকারি অফিস থেকে টাকা বিতরণ করা হতো। এখন মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ভাতাভোগীর হাতে খুব সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এর পেছনে দূরদর্শী চিন্তা অন্যতম কারণ। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। সামনে সব ধরনের লেনদেন ডিজিটাল হয়ে যাবে। তখন আরও বেশি মানুষকে আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।’
বেসিস সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার একটি বড় সুফল হলো এমএফএস। তিনি বলেন, এমএফএস এখন আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। ডাক বিভাগের অনেক বড় নেটওয়ার্ক আছে, সেটি কাজে লাগিয়ে ‘নগদ’-কে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এখন দেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকে যাচ্ছে। সামনে ক্যাশলেস সোসাইটি হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে এমএফএস। তখন যেকোনো ধরনের পেমেন্ট থেকে শুরু করে যেকোনো আর্থিক লেনদেন হবে এমএফএস দিয়ে। সামনে এই সেবাকে তরান্বিত করতে ইন্টারঅপারেবিলিটি প্রয়োজন। তাহলেই মানুষের কাছে খুব সহজে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
আলোচনার সূত্রপাত করে সমীর কুমার দে বলেন, আগে যেখানে মোবাইলের মাধ্যমে ভাতা বিতরণে সরকারের হাজারে ২২ টাকা করে খরচ হতো, সেটি এখন ৭ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
৩ বছর আগে
মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে (এমএফএস) কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্দেশে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আপনারা মনিটরিং করবেন, যেকোনও মূল্যে মনোপলি হতে দেবেন না। মনোপলি হলে তারা মনস্টার হয়ে যায়, তখন তাদের ঠেকানো জরুরি হয়ে পড়ে।’
শনিবার (৮ মে) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘প্রতিযোগিতা ও অংশীদারিত্বে প্রেক্ষাপট: প্রসঙ্গ এমএফএস’ শীর্ষক আলোচনায় দেশের অর্থনৈতিক খাতের নীতি-নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, চীনের মতো দেশে আলিবাবা’র মতো জায়ান্টের মনোপলি ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন পড়েছে।
এ সময় প্রতিযোগিতা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। কারণ মানুষ অভিযোগ করার প্রক্রিয়াকে ভয় পায়, ভয় পায় হেনস্তা হওয়ারও। তাই কেউ যেন এমএফএস বাজারে মনোপলি করতে না পারে, সে বিষয়টি আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
এমএফএস’র চার্জ নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চার্জ নির্ধারণের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউ ২০ টাকা, কেউ ১৪ টাকা নিচ্ছে। আমি এমএফএস’র সর্বোচ্চ চার্জ নির্ধারণ করার পক্ষে, সর্বনিম্ন চার্জ নির্ধারণের পক্ষে না। কারণ সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা থাকলে কেউ বেশি নিতে পারবে না। তাতে জনগণ উপকৃত হবে।’
এ সময় তিনি এমএফএস-এ ইন্টারঅপারেবিলিটি না হওয়াকে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলেও উল্লেখ করেন। ইন্টারঅপারেবিলিটি কেন দেয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, দেশে এমএফএস বাজারে একটি একচ্ছত্র ব্যবসা চলছিল। সেটা ভাংতে পেরেছে ‘নগদ’। প্রতিযোগিতা অবশ্যই থাকতে হবে। অনেকটা কমে গেলেও এখনো মনোপলি আছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্যাশ আউট চার্চ হাজারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। অথচ সেখানে এখন ২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। দেড় টাকা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না, কিন্তু দেড় টাকায় তো হাজার হাজার কোটি টাকা হয়ে যায়। এটা সরাসরি চুরি করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এমএফএস-এর চার্জ কমানোর ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিএসডি বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান দিদার বলেন, আমরা ২০১১-১২ সালে একটা সেইলিং দিয়েছিলাম যে, যেন এর ওপরে না যায়। এর সাথে অনেকগুলো পক্ষ জড়িত। ইউএসএসডি-এর পরিবর্তে অ্যাপে যখন পুরো মার্কেট চলে আসবে, তখন আমরা এটা করতে পারব।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজারের বর্তমানে যারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছেন, তারা কেউ ফাউল প্লে করছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বাংলাদেশ ব্যাংক যে সার্ভিস চার্জটি নির্ধারণ করে দিয়েছে, ১৮ টাকার ওপরে না নেয়ার। এটা যদি না মানা হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক জানান, হাজারে ২০ টাকা চার্জ সারা পৃথিবীর কোথাও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক সেন্ড মানি ফ্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা প্রথম থেকে ফ্রি রেখেছি। সেন্ড মানিতে আসলে কোনো খরচ নেই।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ইনোভেশন নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল কেওয়াইসি ও *১৬৭# এর মাধ্যমে মানুষ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো এমএফএস সেবা ‘নগদ’ ব্যবহার করে টাকা সাশ্রয় করছে। সরকার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। এই বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে গ্রাহকেরা উপকৃত হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পারলে এমএফএস-এ প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও রকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো: শিরিন বলেন, বলা হয় এমএফএস বাজারে ১৫টি প্রতিষ্ঠান আছে। আমার মতে ২-৩টা ছাড়া বাকি কেউ আছে বলে আমি মনে করি না। মনোপলি হওয়ার পরে ৮০ শতাংশ শেয়ার ছিল। এখন নতুন একটি অপারেটরের কারণে ৭০ শতাংশে এসেছে। আগে প্রোপার কেওয়াইসি মেনে গ্রাহক তৈরি করা হয়নি। এসব কারণে মনোপলি দাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা এভাবে যদি প্রাইস রাখেন, তাহলে সব গ্রাহক চলে যাবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। সে কারণে প্রাইস কমাতে হবে। এখন সময় এসেছে প্রাইসিং নিয়ে কথা বলার ও প্রাইস কমানো।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের এমডি ও সিইও এবং এমটবের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুরু থেকে আমরা এমএফএসগুলো চালু রাখতে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এমএফএস এমন থাকবে না। যখন ডিজিটাল কারেন্সি চলে আসবে, তখন কোনো ডিস্ট্রিবিউটর থাকবে না। আরও কিছু খরচ কমানোর সুযোগ আছে। খরচ কমালে গ্রাহকদের জন্য ভালো হবে।
আলোচনায় বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, ‘সহজলভ্যতা দিতে গিয়ে আমরা এই চার্জ নিচ্ছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে নতুন কোনো রেট যদি আমরা দেশের জনগণের কল্যাণে নির্ধারণ করি, তাহলে সেটা যেন ব্যবসাবান্ধব হয়। অর্থাৎ সেই রেট যেন অপারেটরগুলোর জন্যও ভালো হয়।’
টিআরএনবি-এর সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
এ ছাড়া বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতেখার জোনায়েদ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
৩ বছর আগে
এমএফএস খাতের টেকসই উন্নয়নে নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা
বিকাশ আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতের টেকসই উন্নয়নে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নীতিমালার আরও কার্যকর প্রয়োগের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেছেন।
৩ বছর আগে