১০ দফা দাবি
হামলা ও বাধার মধ্যেই ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করল বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
শনিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, ভোলা, বগুড়া জামালপুর, গাজীপুর, বরগুনা ও নরসিংদীতে ইউএনবির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং বিভিন্ন স্থানে দল বাধার মুখে পড়ে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জে বিএনপি-আ’লীগের সংঘর্ষে ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও তিনটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা শুরু
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টিও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই কর্মসূচি পালন করে।
বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, তাদের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল থেকে জনগণকে সম্পৃক্ত করার দলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শুধুমাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সব ইউনিয়নে তাদের পদযাত্রা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল চলমান আন্দোলনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া।
২৪ ও ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিল,১১ জানুয়ারির অবস্থান কর্মসূচি এবং ১৬জানুয়ারির মিছিল, ২৫ ও ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের পর এটি ছিল যুগপৎ আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন; সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১৯; ১২টি মোটরবাইক ভাঙচুর ৩টিতে আগুন
১ বছর আগে
রাজধানীতে ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আরও দুটি পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আরও দুটি পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট আবারও পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিট ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ইউনিট ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় শ্যামলী খেলার মাঠ থেকে বসিলা সাত রাস্তা মোড় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
এর আগে গত ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
পরে ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে আরেকটি পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
১ বছর আগে
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
২ বছর আগে
জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। যেখানে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিলের কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের এই দাবি শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে ঘোষণা দেয়ার পরে পেশ করা হয়।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
আরও পড়ুন: ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ থেকে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া; ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ ও ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, যা সব দলের জন্য সমান অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করবে; বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় আলেমসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সাজা বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি; অবিলম্বে জামায়াতের কার্যালয় খুলে দেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে এবং শেয়ারবাজারে দুর্নীতি শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে; গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের শিকার সকলকে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন’ ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার সকালে ঢাকায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়
২ বছর আগে
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
সকল জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বিএনপি শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনতার ঢল সমাবেশস্থলের চারপাশে কয়েক কিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে বিরোধী দলকে দমন করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবারই তীব্রভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
২ বছর আগে
বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ঢাকায় বিএনপির বহুল আলোচিত সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ থেকে বার্তা দেয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশস্থলে সমাবেশের অনুমতি পেলে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই গোলাপবাগ মাঠ মুখরিত করে তোলে বিএনপি নেতাকর্মী ও অনুসারীদের।
সমাবেশের ভিড় আশেপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপির সিনিয়র নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং পরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মানবাধিকার দিবসেই ঢাকা মহানগরীতে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করতে যাচ্ছে দলটি।
এর আগে শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরবাসীকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচালের চেষ্টার যোগ্য জবাব দিতে গোলাপবাগ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
২ বছর আগে
১০ দফা দাবিতে বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি
নৌযান শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে রবিবার মধ্যরাত ১২টা থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে বিক্ষোভ করে। পরে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে নদী বন্দরে যায়।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদারসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দুর্ভোগ
এসময় বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার ২৬ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা।
এছাড়া বরিশাল বিভাগের শ্রমিকরাও এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি গুলো হলো-
১. নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।
২. নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ।
৩. খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা এবং দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা।
৪. চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা।
৫. বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
৬. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা।
৭. ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা।
৮. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা।
৯. চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা।
১০. নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর দাবিতে নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ
নৌযান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট আজকের মধ্যে সমাধান হবে: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে যশোরের পরিবহন শ্রমিকরা
সড়ক আইন সংশোধনসহ ১০ দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে যশোরের পরিবহন শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
৫ বছর আগে