এতে যশোরের ১৮ রুটে পরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, রবিবার সকাল হতে যশোর থেকে ১৮টি রুটে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাইরে থেকেও যশোরে কোনো যাত্রীবাহী বাস আসেনি।
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদ জানান, গত ১৪ নভেম্বর যশোরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে সড়ক আইন ২০১৮ সংশোধনসহ ১০ দফা দাবি করা হয়। এরপর রবিবার সকাল থেকে যশোর ১৮ রুটের শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেন।
যশোর কেন্দ্রীয় পুরাতন বাস টার্মিনালে যাত্রী নয়ন বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার জন্য বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা থেকে যশোরে এসে শুনি বাস চলছে না। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যেতে চাইলেও এখন আর যেতে পারছি না।’
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিভাগী শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মোর্তজা হোসেন জানান, অনিদিষ্টকালের জন্য পরিবহন শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় এ কর্মরিবতি চলছে।
ইউনিয়নের সভাপতি মামুনূর রশীদ বাচ্চু বলেন, ‘ফাঁসির দড়ি নিয়ে শ্রমিকরা পরিবহনে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এটা কোনো ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না।’ পরিবহন শ্রমিকরা নিজ ইচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।