ময়নাতদন্ত
সুলতানার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পুলিশের হাতে, বলছেন না কী আছে প্রতিবেদনে
র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৩৮) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়েছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের(রামেক) ফরেনসিক বিভাগ থেকে প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহী নগর পুলিশের(আরএমপি) মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে প্রতিবেদনে কি আছে তা বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জেসমিনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কি উঠে এসেছে তা নিয়ে কেউ কথা বলছেন না। আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছানোর আগে ‘স্পর্শকাতর’ এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেসমিনের মৃত্যুর পর ২৫ মার্চ রামেকের মর্গে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড লাশের ময়নাতদন্ত করে।
এই বোর্ডের প্রধান ছিলেন রামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
রবিবার রাতে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অফিস সময়ের মধ্যেই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর কারণ কি এসেছে সেটা আমি গণমাধ্যমকে বলতে পারব না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্র বর্মন প্রতিবেদন বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে শুনলাম যে রিপোর্ট এসেছে। কী রিপোর্ট এসেছে সেটা আমি জিজ্ঞেস করিনি। রিপোর্ট কোর্টে গেলে সবাই জানতে পারবে।’
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু: কথিত সহযোগী আল আমিন গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
নওগাঁর র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ডাক্তারের করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কারা ওই নারীকে আটক করেছিলেন এবং কাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে, তাদের নাম পদবিসহ তথ্য চেয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
এছাড়াও তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না সেটি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। তারা (ভুক্তভোগীর পরিবার) কোনো মামলা করেনি।
তখন হাইকোর্ট বলেন, কেন তারা মামলা করবেন? রাষ্ট্রের কী দায়িত্ব নেই? দেশজুড়ে এ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন, আমরা ভুক্তভোগী নারীর পোস্টমর্টেম, ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট দেখবো, সেটা আগামীকাল নিয়ে আসবেন। আর ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোন কোন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের সবার নাম-পরিচয় আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।
আমরা দেখতে চাচ্ছি এ ঘটনার সঙ্গে আইনের কোনো গাফিলতি আছে কি না।
এসময় হাইকোর্ট আরও বলেন, জনগণ তাকিয়ে আছে ন্যায়বিচার দেখতে। আর আমরা আছি ন্যায়বিচার করতে। এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিন ধার্য করেন। সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
নিহত সুলতানার মামা এবং নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক বলেন, তার ভাগনি বুধবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তির মোড় থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাবের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তাকে র্যাবের কোন ক্যাম্পে নেয়া হয়, সে ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। দুপুর ১২টার পর জানতে পারেন যে সুলতানা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে তিনি র্যাবের লোকজন দেখেন। কিন্তু ভাগনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। যদিও লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে শনিবার দুপুরের পর।
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব বলেন, সুলতানার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ পায় র্যাব। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে র্যাব অভিযোগের সত্যতা পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তির মোড় এলাকা থেকে র্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। কিন্তু আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহীতে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজশাহীতে নেয়ার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়।
শুক্রবার রামেক হাসপাতালে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার দুপুরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা ওয়াসা এমডির দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১ বছর আগে
মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
মাগুরার মহম্মদপুরে নিহত আবু বক্কারের লাশ মৃত্যুর একমাস ৬ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, মৃত্যুর ১০ দিন পর ছেলে বাদী হয়ে তার মা-মামাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি করেছেন মাগুরার মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামের সদ্য প্রয়াত আবু বক্কার শেখের ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
বাবা মারা যাওয়ার ১০ দিন পর ১৩ অক্টোবর মাগুরা আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালতের বিচারিক হাকিম মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা আত্মগোপন করেছেন।
মামলার আরজি মতে, গত ২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু বক্কার শেখ। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদিতে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী স্থানীয় জনৈক রকিবুল ইসলাম হিরকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২ অক্টোবর ভোররাতে আবু বক্কারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং আসামিরা তড়িঘড়ি করে বক্কার শেখের লাশ দাফন করে দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
দরজা ভেঙে শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার!
২ বছর আগে
মাগুরায় মর্গে ৩দিন ধরে ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় লাশ
মৃত্যুর পরে তিনদিন কেটে গেলেও আইনি ও ময়নাতদন্ত জটিলতায় আটকে আছে এক ব্যক্তির লাশ। তাই তার শেষ ঠিকানা হয়েছে মাগুরা হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরে। সেখানে বাবার লাশের অপেক্ষায় কাঁদছে তার ১০ বছরের সন্তান।
নিহত ব্যক্তির নাম আজিজুর রহমান (৫০)। তিনি মাগুরার সত্যজিতপুর গোয়ালবাতান গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন শিক্ষক।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মৃতের গলার মাঝ বরাবর রক্ত জমাট এবং বাম বগলের নিচে আঘাতের ক্ষত,বুক ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও পায়ের আঙুলে রক্ত জমাটের চিহ্ন।
মৃত আজিজুল মোল্লার ছেলে মাহিদ (১০) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।
আইনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করে সে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ১৭ মিনিটে মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদনে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম আজিজুর রহমান। গত ২৯ বছর আগে মাগুরা নিজনান্দয়ালি পশ্চিমপাড়া তিন শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি করেছেন। গত ২৯ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৭টায় আজিজুল মোল্লা তার ছেলে মাহিদকে নিয়ে নিজনান্দয়ালি পশ্চিমপাড়া মাগুরা শহরের বাড়িতে আসেন। এরপর ছেলে মাহিদকে মাদরাসায় দিয়ে নিজনান্দয়ালির বাসায় আসেন তিনি। এরপর মাদরাসা ছুটি হলেও ছেলেকে আনতে যাননি তিনি। এ সময় মাদরাসার শিক্ষক আজিজুলকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে না পেয়ে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় আত্মীয়-স্বজনরা শহরের বাড়িতে সন্ধান করতে এলে আজিজুলকে ঘরের মেঝোতে চটের ওপর হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার আজিজুল ইসলামকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই থেকে আজ অব্দি সদর হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে মৃত আজিজুল ইসলামের লাশ।
মাগুরা পৌরসভার সাত নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাকিব আল হাসান তুহিন বলেন,আজিজুল একাই এ বাসায় থাকতেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে তার পরিবার শোকাহত, তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পেলে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব না। তবে আইনগত ভাবে বিষয়টি তদন্ত করছেন মাগুরা থানা পুলিশ।
তবে এ ব্যাপারে মাগুরা থানা পুলিশ জানিয়েছেন, সংবাদ পাওয়ার পর পরই মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ। লাশ এখন মর্গে রয়েছে।
২ বছর আগে
নিহত বুলবুলের বুক পিঠ পাঁজরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমদের বুকে, পাঁজরে, পিঠে তিনটি মারাত্মক ছুরিকাঘাত এবং হাতে আরেকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বুলবুল আহমদের বুকে, পাঁজরে ও পিঠে তিনটি মারাত্মক ছুরির আঘাত এবং হাতে আরেকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ছুরিকাঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের সঙ্গে থাকা মেয়ে বন্ধুকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট মেয়েটির সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নিজের কক্ষেই মেয়েটি অবস্থান করছেন। গত বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট মেয়েটির সঙ্গে স্বাভাবিক সময় কাটানোর চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও মেয়েটির সঙ্গে থাকা সহপাঠীদেরও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুৃন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষার্থী বুলবুলের ঘটনাটি আমাদের সবার জন্য হৃদয়বিদারক। এই ঘটনায় পাশে থাকা তার মেয়ে বন্ধু একধরনের মানসিক ট্রমায় ভুগছে। আমরা চাইছি মেয়েটিকে স্বাভাবিক একটি নিয়মে ফেরাতে। এছাড়াও মেয়েটির সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের মাঝেও যে একটি ভয় কাজ করছে তা দূর করতে আমরা সর্বত্র কাজ করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলা জানান, মেয়েটি প্রথম বর্ষের। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই এমন একটি ধাক্কা মেয়েটির জন্য বড়ই দুঃখজনক। সরেজমিনে তার নজর রাখছি। এই ধাক্কা কাটিয়ে মেয়েটি যেনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য বাড়তি নজর সবসময় থাকবে।
ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, আমরা প্রথম থেকেই মেয়েটির সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। মেয়েটিকে কোনো ধরনের মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। নিজের চোখের সামনে এমন একটি দুর্ঘটনা যে কারও মানসিকভাবে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। মেয়েটির ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। মেয়ে ও নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অপরাধে জড়িতদের দ্রুত ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তথ্য সংগ্রহের জন্য মেয়েটির সঙ্গে সবসময় কোমল আচরণ করেছেন।
এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ছিনতাই করতেই খুন করা হয় শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই।
ঘটনার পর বুলবুলের সঙ্গে থাকা মেয়ে বন্ধুর হাসপাতাল ত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ছাত্রী তাদের জানিয়েছেন, বুলবুলের লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হবে। শেষ দেখার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছেন। এর পেছনে অপরাধমূলক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তাঁর কললিস্ট চেক করে গ্রেপ্তারদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুৃন: শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় ৩ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে: পুলিশ
নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
২ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নারীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গলায় জোড়া ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁসা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আফরোজা খাতুন ওরফে পায়রা (৫০) ওই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত আফরোজা খাতুন প্রায় ৩০ বছর ধরে বাবার বাড়িতে বাস করছেন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে তার লাশ পাওয়া যায়। এসময় নিহতের গলায় জোড়া ওড়না পেঁচানো ছিল।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বাড়ি থেকে জাপা নেতার লাশ উদ্ধার
নিহতের ভাই মোহন বলেন, 'সকালে খবর পেয়ে বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি এসেছি। কীভাবে মারা গেছে জানিনা। তাঁর মৃতু রহস্যজনক।'
নিহতের অসুস্থ মা বলেন, 'সকালে কে যেন পায়রা বলে ডাকছিল। আর পায়রা চলে গেল। পরে লাশ পেলাম।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, 'গলায় জোড়া ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পায়রার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মৃত্যু রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়কের পাশ থেকে পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মিলের করাতে কাটা পড়ে ট্রলি চালকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় একটি স’মিলে কাজ করতে গিয়ে করাতে কাটা পড়ে এক ট্রলি চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার আখানগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল হোসেন (৪৫) আখানগর ইউনিয়নের বইলদাপুকুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে আখানগর বাজার এলাকায় খাদেমুল হোসেনের স’মিলে কাঠ চেরাই করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় দুই শ্রমিক একটি ভারী কাঠের গুড়ি তুলতে না পারায় ট্রলি চালক দুলালকে সাহায্যের জন্য ডাক দেয়। দুলাল কাঠের গুড়ি তুলতে সাহায্য করতে গিয়ে পা ফসকে স’মিলের চলন্ত করাতের ওপর পড়ে যান। এতে করাতে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ংওয়ান কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে
কেরানীগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
দক্ষিণ কেরানীঞ্জে ৭২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিজ বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম বারিশুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, কীভাবে বাড়িতে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহত বিশাখা রানী সরকার পশ্চিম বরিশুর গ্রামের বাবুল সরকারের স্ত্রী।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন জানান, দুপুরে স্থানীয় লোকজন চার সন্তানের জননী বিশাখার পোড়া লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী শুক্রবার নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু, ভবন মালিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
২ বছর আগে
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্তে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকদের অপারগতা,পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা অপারগতা প্রকাশ করায় সেলিম হোসেনের লাশ ঢাকা মেডিকেলের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে চিকিৎসকদের অপারগতার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগেই জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমন রহমান ও ডা. মাহাফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে (সিভিল সার্জনকে) এই অপারগতার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর পাঠানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয়।’
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিভিল সার্জন জানান, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তার জানা নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই শিক্ষকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি সম্পন্নের পর সন্ধ্যায় লাশ ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো স্থানীয় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস এবং কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। লাশ উত্তোলনের সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশগ্রাম কবরস্থানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ উপস্থিত হন। থানা পুলিশ ও একজন মেডিকেল অফিসার সেলিমের কবরস্থানের কাছে আসেন। এ সময় তার বাবা শুকুর আলী, তার দুই মেয়ে শিউলী ও শ্যামলীসহ নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
পরবর্তীতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহান লাবিব উপস্থিত সবাইকে জানান, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে লাশ আজ (মঙ্গলবার) কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। বুধবার সকাল ৮টায় ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তার লাশ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত শাহরিয়ার হাসান অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়।
লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) প্রবীর কুমার বিশ্বাস অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তেরর জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন জানান।
খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনটি কুষ্টিয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ড. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলণের নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
৩ বছর আগে