মরক্কো
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
মরক্কোকে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এএফডিবি)। এছাড়া ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়নের জন্য আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এএফডিবির আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম চলাকালে এই ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হয়।
পরে এক বিবৃতিতে এএফডিবি জানায়, অনুমোদিত ঋণ মরোক্কোর অর্থনৈতিক শাসন ও পানি সরবরাহ জোরদার এবং নাদোর শহরের পশ্চিমে অবস্থিত তাঞ্জের মেড বন্দরে একটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনে সহায়তা করবে।
এছাড়া, ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে মরক্কোর রেল ও বিমানবন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সভাপতি আকিনভুমি আদেসিনা।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখাননৌচের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আদেসিনা বলেন, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে মরক্কোকে সহায়তা করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মরক্কোয় এএফডিবির ৩.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ইতোমধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান আদেসিনা।
২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশগুলোর একটি আফ্রিকার দেশ মরক্কো। স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে যৌথভাবে ওই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে দেশটি।
২ সপ্তাহ আগে
মরক্কোতে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণে অন্তত ১৮ জন নিহত ও চারজন নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, টাটা, ইরাচিদিয়া, তিজনিত, তিঙ্গির ও তারুদান্ত প্রদেশে এ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে বিদেশি তিন জন ছিলেন যারা স্পেন, কানাডা ও পেরুর নাগরিক।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১১০টি রাস্তার মধ্যে ৮৪টি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
এছাড়াও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এখনও কাজ করছে কারিগরি দল।
দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নাগরিকদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক পোস্টে মরক্কোর আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'অস্থিতিশীল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বায়ুপ্রবাহের' কারণে এই প্রাণঘাতী বৃষ্টিপাত ও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত
৩ মাস আগে
আটলান্টিক উপকূল থেকে ৯১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মরক্কো
আটলান্টিক মহাসাগর উপকূল থেকে সাব-সাহারান দেশগুলোর ৯১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে মরক্কোর নৌবাহিনী।
দেশটির রয়্যাল আর্মড ফোর্সের এক বিবৃতিতে বুধবার (১৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাখলার ১৮৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অভিযান চলাকালে একটি অভিবাসীবাহী নৌকা আটক করে মরক্কোর নৌবাহিনীর একটি ইউনিট। নৌকাটি উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা উপকূল থেকে স্পেনের ক্যানারি আইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকা ডুবে ১১ জন নিহত, নিখোঁজ ৬৪
তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর দেশটির যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে পশ্চিম আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে একটি ট্রানজিট হাব হয়ে উঠেছে মরক্কো।
৬ মাস আগে
মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানায় মানুষ তাদের বিছানা থেকে রাস্তায় ছুটে এসেছে, আসছে এবং পাহাড়ি গ্রাম ও প্রাচীন শহরগুলোর ভবন ভেঙে পড়েছে। যেগুলো এই ধরনের শক্তিশালী ভূমিকম্প সহনীয় করে নির্মিত হয়নি।
২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং শনিবার দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে লড়াই করতে হয়েছে। ফলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ১২০ বছরের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এতে শুক্রবার গভীর রাতে আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের মধ্যে মানুষদেরকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেশে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
এদের মধ্যে একজন বলেন, থালাবাসন ও দেয়ালের ঝুলন্ত জিনিসপত্র বৃষ্টির মতো পড়তে শুরু করে এবং মানুষরা তাদের পায়ে দাঁড়াতে পাড়ছিল না। ভূমিকম্পে পাথর দিয়ে তৈরি দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে এবং পুরো সম্প্রদায় যেন ধ্বংসস্তূপে ঢেকে যায়!
খরাপীড়িত ওয়রগান উপত্যকার মতো প্রত্যন্ত গ্রামগুলো বিদ্যুৎ ও মুঠোফোন পরিষেবা বিকল হয়ে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে শত শত নিহত
ঐতিহাসিক মারাকেচে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায় রাস্তায় গুচ্ছ গুচ্ছ মানুষ অবস্থান নিয়েছে, যারা ভঙ্গুর ও অনিশ্চিত ভবনগুলোয় ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত শহরের বিখ্যাত কুতুবিয়া মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে এর পরিমাণ কত তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। এর ৬৯ মিটার (২২৬ ফুট) উঁচু মিনারটি ‘মারাকেচের ছাদ’ নামে পরিচিত। মরক্কোর নাগরিকরা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এই বিখ্যাত লাল দেয়ালের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশের ভিডিও পোস্ট করেছেন।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার রাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২ হাজার ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মারাকেচ ও উপকেন্দ্রের নিকটবর্তী পাঁচটি প্রদেশে ছিলেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ হাজার ৫৯ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
১ বছর আগে
মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
মরক্কোয় শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৮০০ জন নিহত হয়েছে এবং বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভূমিকম্পে আটলাস পর্বতমালার গ্রামগুলো থেকে ঐতিহাসিক শহর মারাকেচ পর্যন্ত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুসন্ধান অব্যাহত থাকায় এবং উদ্ধারকারীরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছালে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মরক্কোর মিডিয়া জানিয়েছে, মারাকেচ শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক ভবনগুলোর মধ্যে একটি দ্বাদশ শতকের কৌতুবিয়া মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর ৬৯-মিটার (২২৬-ফুট) মিনারটি ‘মারাকেচের ছাদ’ নামে পরিচিত।
এছাড়াও মরক্কোর ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট মারাকেশে পুরনো শহরকে ঘিরে থাকা বিখ্যাত লাল দেয়ালের কিছু অংশের ক্ষতি হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি একটি শহরের মেয়র মরক্কোর নিউজ সাইট টুএম-কে বলেছেন, কাছাকাছি শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ ও রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তালাত এন'ইয়াকুব শহরের মেয়র আবদেররহিম আইত দাউদ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ আল হাউজ প্রদেশে রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য কাজ করছে, যাতে অ্যাম্বুলেন্স ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য সহায়তা বহনকারী গাড়িগুলো যাতায়াত করতে পারে।
তিনি বলেন, পাহাড়ি গ্রামের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সময় লাগবে।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রের আশেপাশের পাহাড়ি অঞ্চলে যাওয়ার রাস্তাগুলোয় যানবাহন আটকে আছে। ধসে পড়া পাথরের কারণে এগুলো অবরুদ্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ধীরগতিতে চলছে।
শনিবার সারাবিশ্বের মানুষ এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এক্স-এ (টুইটারে) শোক প্রকাশ করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘ভারত এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সমস্ত সম্ভাব্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘জাতিসংঘ ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যাকে সহায়তা করার প্রচেষ্টায় মরক্কো সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে শত শত নিহত
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রাত ১১টা ১১ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ঝাঁকুনি সহ যা কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।
মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, ১৯ মিনিট পরে একটি ৪.৯ মাত্রার আফটারশক আঘাত হানে।
শুক্রবারের কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ইঘিল শহরের কাছে, মারাকেচ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৩ দশমিক ৫ মাইল) দক্ষিণে।
ইউএসজিএস বলেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) নীচে ছিল।
মরক্কোর সিসমিক এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ১১ কিলোমিটার (৭ মাইল) নীচে ছিল। এই ধরনের অগভীর ভূমিকম্প বেশি বিপজ্জনক।
উত্তর আফ্রিকায় ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে বিরল।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জিওফিজিক্সের সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড ওয়ার্নিং বিভাগের প্রধান লাহসেন মাহনি টুএম টিভিকে বলেছেন, এবারের ভূমিকম্পটি পাহাড়ি অঞ্চলে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।
১৯৬০ সালে মরক্কোর আগাদির শহরের কাছে ৫.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়।
আগাদির ভূমিকম্প মরোক্কোতে নির্মাণ নিয়মে পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ভবন, বিশেষ করে গ্রামীণ বাড়ি, এই ধরনের ভূমিকম্প সহ্য করার মতো করে নির্মিত হয় না।
২০০৪ সালে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর আল হোসেইমার কাছে একটি ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল।
শুক্রবারের ভূমিকম্পটি পর্তুগাল ও আলজেরিয়ার মতো দূরবর্তী স্থানেও অনুভূত হয়েছিল।
পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট ফর সি অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার এবং আলজেরিয়ার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সিতেও এর জরুরি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়াল, তুরস্কে ঠিকাদার আটক
তুরস্কে ফের ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ১
১ বছর আগে
মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স
আল বাইত স্টেডিয়ামে বুধবার দিবাগত রাতের ম্যাচে দু’টি বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কে খেলবে এবং অন্যদিকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি কে হচ্ছে। তবে খুব স্বাভাবিক যে মূল ফোকাস ছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোন দল লড়াই করছে। মরক্কোকে ২-০ গোলে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।
আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে মরক্কো এই প্রথম সেমিফাইনাল খেলেছে। বেশ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারা। তবে ফেভারিট বলে একটি টার্ম আছে। তার ব্যতিক্রম হয়নি। সবার নজর যে কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। তবে এই ম্যাচে এমবাপ্পে কোনো গোল করেননি।
আরও পড়ুন: পর্তুগালকে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে মরক্কো
অনেকটা মাঠে নেমেই ফরাসিরা গোল করে বসেন। দলের হয়ে পাঁচ মিনিটে প্রথম গোল করেন থিও এরনান্দেজ। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন রান্দাল কোলো মুয়ানি। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই গোলটি করে ম্যাচের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন তিনি। উসমান দেম্বেলের বদলে তাকে নামানো হয়।
কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স টানা দুইবার ফাইনাল নিশ্চিত করল। ফলে রবিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ছাড়ার হুমকি দেননি রোনালদো: পর্তুগাল কোচ
মেসি-আলভারেজ জাদুতে ৩-০ গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
২ বছর আগে
পর্তুগালকে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে মরক্কো
পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল মরক্কো। সম্ভবত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ফুটবলের সবচেয়ে বড় পুরস্কার নিজের ঘরে তোলার সম্ভাবনা এখানেই শেষ হয়ে যাবে।
বিরতির আগে ৪২ মিনিটে ইউসেফ এন-নেসেরির গোলটিই ছিল বিজয়সূচক গোল। এই গোলটির কারণেই মরক্কো এবারের বিশ্বকাপে তাদের ইতিহাস গড়ল। যা আরব বিশ্বে নিয়ে এসেছে সম্মান।
ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোকে প্রথমার্ধে দেখা যায়নি। তিনি মাঠে নামেন ৫১ মিনিটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ছাড়ার হুমকি দেননি রোনালদো: পর্তুগাল কোচ
পাঁচবারের বর্ষসেরা এই খেলোয়াড় যখন তার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে, ঠিক সেসময় বিশ্বকাপ ট্রফি না নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাকে।
বুধবার দিবাগত রাত ১টায় সেমিফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে মরক্কো।
এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, কারণ একটি আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল পর্যায়ে আসতে পেড়েছে মরক্কো। সেমিফাইনালে সাধারণত ইউরোপীয় বা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোকেই দেখা যায়। এর আগে ক্যামেরুন (১৯৯০), সেনেগাল (২০০২) ও ঘানা (২০১০) কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত এসে তাদের ঘরে ফিরতে হয়।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২: ট্রাইব্রেকারের ৪-৩ স্কোরে ডাচদের হারিয়ে মেসিরা সেমিফাইনালে
ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায় দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ কোয়ার্টার ফাইনাল, সম্ভাব্য একাদশ ও পরিসংখ্যান
২ বছর আগে
বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২: বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারাল মরক্কো
মরক্কো বিশ্বকাপ ফুটবলে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। এই হারের মধ্যদিয়ে ২০১৮ সালের সেমিফাইনালিস্ট বেলজিয়াম গ্রুপ-পর্যায়ে ছিটকে পড়ার বিপদে পড়েছে।
মরক্কোর বদলি খেলোয়ার আবদেল হামিদ সাবিরি ৭৩তম মিনিটে প্রথম গোলের জন্য বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়াকে একটি আঁটসাঁট কোণ থেকে ফ্রি-কিকে গোল করেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে হাকিম জিয়াচের পাস থেকে জাকারিয়া আবু খলালের আরেকটি শট জালে জড়ান। আর এতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় চমক সৃষ্টিকারী মরক্কো।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: মেসির গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ব্রাজিলের পর বিশ্বে র্যাঙ্কিং-এর দুই নম্বরে থাকা বেলজিয়াম বিশ্বকাপে তাদের শেষ সাতটি গ্রুপ খেলায় জিতেছিল। ১৯৯৮ সালের পর বিশ্বকাপে এটি মরক্কোর প্রথম জয় এবং এটি তাদের জন্য শুধুমাত্র তৃতীয় আসর।
যদি মরক্কোকে হারাতে পারতো তাহলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারত বেলজিয়াম।
বেলজিয়াম তার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২০১৮ সালের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হবে। আর মরক্কো কানাডার মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২: কোস্টারিকার কাছে জাপানের হার, স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম
স্পেন বনাম জার্মানি লাইভ স্ট্রীমিং: কোথায় , কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
২ বছর আগে
স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশ; নিহত বেড়ে ২৩
স্পেনের উত্তর আফ্রিকান ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশকালে ১৮ জন অভিবাসী নিহত হয়েছিলেন। শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্পেন এবং মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মরক্কোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে শুক্রবার মেলিলা এবং মরক্কো সীমান্তের লোহার বেড়াতে পার হতে গিয়ে তারা মারা যান।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৭৬ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টাকালে নিহত ১৮
মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। মরক্কোর সরকারি টেলিভিশন টুএম স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্বৃত্তি দিয়ে শনিবার ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছে এবং এরপর মৃতের সংখ্যা ২৩ জনের পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে।
মরক্কোর হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন ২৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সংখ্যাটি নিশ্চিত করেনি।
এমএপি জানিয়েছে, মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য এবং ৩৩ জন অভিবাসীকে মরক্কোর নাদোর ও ওজদা শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
২ বছর আগে
গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
মরক্কোয় চারদিন ধরে গভীর কুয়ায় আটকা পড়া শিশুটি মারা গিয়েছে। শনিবার দেশটির রয়েল প্যালেস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রয়েল প্যালেস থেকে এক বিবৃতি দিয়ে মরোক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ নিহত শিশুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
পাঁচ বছর বয়সী রায়ানকে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শনিবার রাতে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রায়ান গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরক্কোর পার্বত্য উত্তর শেফচাউয়েন প্রদেশের ইঘরান গ্রামে তার বাড়ির বাইরের ৩২ মিটার (১০৫ ফুট) গভীর একটি কুয়ায় পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঠান্ডার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে শিশু রোগীর ভিড়
রয়েল প্যালেস থেকে জানানো হয়, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্ধার কাজে গভীরভাবে নজর রেখেছেন রাজা এবং কুয়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা করতে এবং তাঁকে জীবিত অবস্থায় বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং রায়ানের পরিবারকে সমর্থন দেয়ায় এলাকাবাসীর প্রশংসা করেন রাজা।
শত শত মানুষ এ উদ্ধার কাজ দেখতে ভিড় করেন। এছাড়া চারদিন ধরে উদ্ধার কাজ চলায় বিশ্ববাসী শিশুটির জন্য সমর্থন ও উদ্বেগ জানিয়ে অনলাইনে বার্তা পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেচে দেয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো প্রশাসন
কুয়ার চারপাশের মাটি ধসে ছেলেটির ওপর পড়তে পারে এ শঙ্কা থেকে উদ্ধার কাজটি খুবই কঠিন ছিল।
তবে ছেলেটি ঠিক কী কারণে কুয়ায় পড়েছিল তা অস্পষ্ট।
২ বছর আগে