ইআরএফ
সিমেন্ট শিট ব্যবহার প্রাণিসম্পদ খাতে বছরে উৎপাদন বাড়াবে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি
প্রাণিসম্পদ খাতে, বিশেষ করে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করলে দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সবুজ নির্মাণ: সিমেন্ট শিট যেভাবে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান।
ইআরএফ ও বাংলাদেশ সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে আয়োজিত এই কর্মশালায় শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, সিমেন্ট শিট ব্যবহার বাড়লে এক দিকে উৎপাদন খরচ কমিয়ে প্রান্তিক লোকসানি খামারগুলো মুনাফায় ফিরতে পাবে অন্যদিকে ভোক্তারা কমমূল্যে ডিম-দুধ-মাংস খেতে পারবে।
ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নথু রাম সরকার।
এছাড়াও বক্তব্য দেন সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মুসাদ্দিক হোসেন ও সিমেন্ট শিট শিল্পের বড় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ আর হোসেন।
মুসাদ্দিক হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ উচ্চ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ ও কৃষি খাতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এই দুশ্চিন্তা কমাতে সিমেন্ট শিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিটগুলো ৬ স্তরের হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের সময় শেডের ভিতরের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, এতে শেডের ভিতরের পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে। যা মুরগি ও গবাদি পশুর হিটস্ট্রোকে মৃত্যু কমিয়ে দেয়।
এই শিট ব্যবহারে খামার নির্মাণ ব্যয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যা উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় ওয়াইজ আর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গবাদি-পশু হাঁস-মুরগি উৎপাদনে সিমেন্ট শিট ব্যবহারে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। দেশে সিমেন্ট শিট ব্যবহারের ফলে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। সিমেন্ট শিট মৎস্য ও গবাদিপশুকে রোগ-ব্যাধি থেকে শুধু রক্ষাই করছে না, সেসঙ্গে মৃত্যুহার প্রায় ১০ শতাংশ কমাচ্ছে।’
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে ড. নথু রাম সরকার বলেন, সিমেন্ট শিট বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব, টেকসই নির্মাণ, ব্যয় সাশ্রয়ী, তাপ ও অগ্নি প্রতিরোধকসহ নানা সুবিধার কারণে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ও আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এবং কৃষি খাতের অবকাঠামো নির্মাণে ঢেউটিনের পরিবর্তে সিমেন্ট শিটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হিটের কারণে গবাদিপশু ও মুরগি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে উৎপাদন কমে যায়। সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি শেড নির্মাণের ফলে তাপ প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার ফলে গবাদি পশু ও মুরগির খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খাতে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুহার কমায় ও ডিম-দুধ-মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
দেশে বর্তমানে মোট ১.২৫ লাখ পোল্ট্রি খামার আছে, যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ খামের শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। এতে বছরে ডিমের উৎপাদন প্রায় ১১ শতাংশ বা ২৫৭ কোটি পিস ডিম বেড়েছে। যদি শতভাগ খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করা যায় তবে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি পিস ডিম অতিরিক্ত উৎপাদন হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এছাড়া দেশে প্রায় ৪.২৫ লক্ষ গবাদি পশুর (ডেইরি ও ফ্যাটেনিং) বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য গৃহপালিত গবাদি পশুসহ দেশে মাংসের উৎপাদন বছরে ৮৭.১০ লাখ টন।
গবেষণায় জানানো হয়, বর্তমানে দুগ্ধ ও পশু মোটাতাজাকরণ খামারগুলোর প্রায় ১৯ শতাংশ শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। যদি শতভাগ খামার সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে দেশে বছরে মাংসের উৎপাদন অতিরিক্ত প্রায় ৬ লাখ টন বাড়বে যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সিমেন্ট শিট সেক্টরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৫টি সিমেন্ট শিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রায় ৩.৬২ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন ইআরএফের জয়েন্ট সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, অর্থ-সম্পাদক রহিম শেখ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) হুমায়ুন ফরিদ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া এন্ড কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) সুমন সাহাসহ আরও অনেকে।
৫ মাস আগে
শওকত হোসেন মাসুমের মায়ের মৃত্যুতে ইআরএফের শোক
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন বিভাগের প্রধান শওকত হোসেন মাসুমের মা হাসিনা হোসাইন (৭১) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ইআরএফ।
বৃহস্পতিবার এক শোক বার্তায় ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের বিআইএইচএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে কিডনি জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার জুমার পর রাজধানীর ইব্রাহিমপুরের আশি দাগের আল মদিনা মসজিদে হাসিনা হোসাইনের জানাজে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তেজগাঁও রহিম মেটাল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হবে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস পেল ইআরএফ
ইআরএফ ও ইউনিভার্সেল হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য চুক্তি
২ বছর আগে
এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। কারণ এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বিজিএমইএ সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে কোটা ও শুল্ক মুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি ও বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চীফ শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, বর্তমানে তাদের কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ, ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পরে যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে বিজিএমইএ ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করবে। তবে পোশাক মালিকরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ সব সময় পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে, এখনও করে চলেছে। এই সংগঠনটিতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সকলেই পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনিও উত্তরসূরীদের মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় পোশাক খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ও ফিস কমানো হয়েছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণের কাজ চলছে। কৃত্রিম তন্তুর পোশাক যাতে দেশে বেশি তৈরি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। এক কথায় বিজিএমএর ভূমিকা ভবিষ্যতমুখী করার চেষ্টা চলছে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যের পরে বিজিএমইএ সভাপতির কাছে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা, করোনা মহামারি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তম এই বাজারে তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পেতো না। এখনও পাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো পোশাক মালিকরা ও সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কমপ্লায়েন্স বা নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে এদেশের উদ্যোক্তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। বিশ্বে নিরাপদ কারখানা এখন বাংলাদেশে। ১৫৩টি গ্রীণ ফ্যাক্টর রয়েছে দেশে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা তাদের কাজটি করেছেন। এখন জিএসপি দেয়া না দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়।
তিনি বলেন, দেশটির জিএসপি সুবিধা দেয়ার সঙ্গে শুধু শর্ত বাস্তবায়ন নয়, রাজনীতিও জড়িত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের র্যাব ও সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ব্যবসায় পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। তবে ব্যবসায়ীদের কাজ তারা করছেন। আমরা কোনো বাজার হারাতে চাই না।
আরও পড়ুন: দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীতল সম্পর্ক, র্যাব ও র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা, আগামী বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা যে কারখানায় উৎপাদন ও পণ্যের সরবরাহ ব্যহত হয়, এমন কোনো কর্মসূচি যাতে তারা না নেয়। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে সেই পরিবেশ থাকতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ব্যবসা করতে গেলে রাজনৈতিক আশীর্বাদ লাগে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স ২০ থেকে ৩০ বছর আগে নেয়া। তিন দশক আগে বাংলাদেশ যে ধরণের পণ্য তৈরি করতো এখন তার চেয়ে ভিন্ন ও উন্নত পণ্য তৈরি করছে। ফলে পুরানো বন্ড লাইসেন্সে অনেক পণ্যেরই উল্লেখ নেই, কিন্তু ওই লাইসেন্সধারী কারখানার নতুন পণ্যের প্রয়োজন হচ্ছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সে উল্লেখ না থাকলেও ব্যবহারিক ঘোষণাপত্রে (ইউডি) তা থাকছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনেক সময় পণ্য ছাড় করছে না। এতে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে আগামী সপ্তায় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইউসিবি’র মোনাশ এন্ট্রি স্কলারশিপ প্রদান
সাম্প্রতিক সময়ের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমত বেড়েছে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়া করোনার সময়ে ক্রেতাদের অনেক দাবি দেশের রপ্তানিকারকরা রেখেছেন। বিশেষ করে পরে ডেলিভারি, দেরিতে মূল্য পরিশোধ, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি সুবিধা দেয়া হয়েছে। যেকারণে ক্রেতাদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে এখন ক্রেতারা তাদের বাড়তি চাহিদার পণ্য বাংলাদেশ থেকেই নিচ্ছেন। এছাড়া করোনার কারণে মানুষের ভ্রমণসহ অন্যান্য ব্যয় কমেছে। ফলে পশ্চিমারা তাদের অন্য খাতের অর্থ পোশাক কেনায় ব্যয় করছে।
পোশাকের সামগ্রিকভাবে মূল্য সামান্য বাড়লেও কাটিং ও মেকিং চার্জ বাড়েনি। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। সাব কন্ট্যাক্টের বিষয়ে বিজিএমইএ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও থাকবে বলে তিনি জানান।
২ বছর আগে
৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস পেল ইআরএফ
অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রয়াত জাহিদুজ্জামান ফারুকের সংগ্রহে থাকা দেশের ৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস এবং অর্থনীতি বিষয়ক বই তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) লাইব্রেরিতে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন ইআরএফ লাইব্রেরিতে সংগঠনটির সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের কাছে এসব ডকুমেন্টস ও বই হস্তান্তর করেন জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক ও পুত্রবধূ ফারহানা খান।
ইআরএফ সদস্য জাহিদুজ্জামান ফারুক চার দশকের বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা করেছেন। তার শখ ছিল-বাজেট ডকুমেন্টস ও অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের বই ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে রাখা। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি বাজেট ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা শুরু করেন। তার এসব দুর্লভ সংগ্রহ ইআরএফ লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমার বাবার পেশা ও নেশা ছিল সাংবাদিকতা, অর্থনীতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি। পাশাপাশি দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বাজেট ডকুমেন্টসহ অর্থনীতির নানা তথ্য-উপাত্ত ও বই সংগ্রহে রাখতেন। সেসব ডকুমেন্টস ইআরএফ লাইব্রেরিতে প্রদানের উদ্দেশ্য হলো-এর যেন যথার্থ ব্যবহার হয়।’
অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী বলেন, ‘জাহিদুজ্জামান ফারুক বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার বিকাশে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। এজন্য তিনি অর্থনীতির নানা ধরনের ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছেন। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানের নামে ইআরএফ লাইব্রেরিতে আলাদা একটি কর্নার করা হবে। যেখানে তার সংগ্রহে থাকা সকল ডকুমেন্টস ও বই রাখা হবে। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকসহ অন্যরা এসব ডকুমন্টেস ব্যবহার করতে পারবেন।’
জাহিদুজ্জামান ফারুক গত ১৯ আগস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সাংবাদিক সাইফ ইসলাম দিলালের মা মারা গেছেন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক অর্থ সম্পাদক ও একুশে টিভির ডেপুটি হেড অব নিউজ সাইফ ইসলাম দিলালের মা শাহানারা বেগম মারা গেছেন। রবিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ছেলের বাসায় মারা যান তিনি। শাহানারা বেগম বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্বামী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বাদ মাগরিব রাজধানীর কাকরাইলে প্রথম নামাজে জানাজা ও আগামীকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মৌলভীপাড়ায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমাকে দাফন করা হবে।
সাইফ ইসলাম দিলালের মা শাহানারা বেগমের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সহ সভাপতি ওসমান গনি বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান আজ এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান বীনু মারা গেছেন
হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
ডিআরইউ নেতারা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাবেক সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের মায়ের মৃত্যুতে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম এক শোক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সংগঠন চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) সাইফ ইসলাম দিলালের মায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।
৩ বছর আগে
৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে চীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
চীন ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগী। এছাড়া চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে: চীনা-রাষ্ট্রদূত
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
এসময় চায়না বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে জয়েন্টলি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশের সাথে চীনের গতবছরের বাণিজ্য ছিল ১২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। এসময় বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে ০.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১১.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
চীনের দেয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যাবধান কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ(পিআরআই) রিসার্স ডিরেক্টর ড. আব্দুল রাজ্জাক। গেস্ট অফ অনারের বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ড শাহ মো. সুলতান উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা এবং ইআরএফের প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
চামড়া শিল্পের স্থায়ী কাজে শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
৩ বছর আগে
ইআরএফ ও ইউনিভার্সেল হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য চুক্তি
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় করপোরেট স্বাস্থ্য চুক্তি সই হয়েছে।
৩ বছর আগে
ইআরএফের সভাপতি শারমীন, সা. সম্পাদক রাশিদুল
অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
৪ বছর আগে