সেই সাথে শিল্পটির উন্নয়নে কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করা, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পুরোপুরি চালু এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগর পল্টন টাওয়ারে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের ওপর করোনার প্রভাব শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২৭ জুলাই ঈদ বোনাস পাবেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখি এ শিল্পের উন্নয়নে সরকার মালিকদের পাশে আছে। শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
চামড়া শিল্প নগরীতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষিত জাতি গঠনে শিশুশ্রমকে না বলতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু ট্যানারি শিল্পই নয়, সকল খাতের বিশাল এই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে বাঁচাতে, দেশের অর্থনীতি এবং দেশকে রক্ষায় মহামারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গার্মেন্টসসহ সকল কল-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
করোনা মহামারির শুরুতেই গার্মেন্টস শ্রমিকসহ ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমাতে ৩১-দফা নির্দেশনা জারি এবং পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফেডারেল জার্মান সরকার অর্থায়নে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নগদ সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছি।
আরও পড়ান: পত্রিকার শিরোনাম দেখে মেডিকেল ছাত্রকে ডেকে সহায়তা দিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, গতমাসে এ কর্মসূচির আওতায় গার্মেন্টস এবং ট্যানারি শিল্পের মোট ৩ হাজার ২৬৬ জন শ্রমিককে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের জন্য ৬ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ট্যানারি শিল্পের মোট ২২০ জন শ্রমিককে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এ কার্যক্রম চলমান থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত কর্মপরিবেশে চামড়া শিল্পের দক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করলে চামড়ার আমদানি নির্ভরতা কমবে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
সংলাপে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আইএলওর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল ডেস্কটপ ওয়ার্ক টিম এবং শ্রমিকদের অধিকার, কল্যাণ সুরক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এবং এনসিসিডব্লিউ সদস্য সচিব নাইমুল আহসান জুয়েল বক্তব্য দেন।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ।