এএসপি
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
১ বছর আগে
এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: ১৫ জনের বিচার শুরু
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের হত্যা মামলায় ২ জনের স্বীকারোক্তি
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এই তথ্য জানান।
গত ২৪ জুলাই অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন আইনজীবীরা।
গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছর ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের স্বপ্ন পূরণ নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা
বিভাগীয় কারণে আনিসুল করিমের মানসিক সমস্যা হয়নি: ডিআইজি হাবিবুর
১ বছর আগে
আরএসআরএম গ্রুপের এমডি গ্রেপ্তার
রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে গুলশান এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মাকসুদুর রহমান দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের একজন।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া উইং) ইমরান খান বলেন, গোপন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মাকসুদুরকে আটক করে।
মাকসুদুর একজন ওয়ান্টেডভুক্ত অপরাধী বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা
২ বছর আগে
ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আ.লীগ নেতা নিহত
পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংতায় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম হোসেন (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম হোসেন নাজিরপুর হাটপাড়ার নুর আলী প্রামানিকের ছেলে। তিনি ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) রোকনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের নামাজের পর নাজিরপুর হাটপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মধু তার কর্মী -সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় সতন্ত্র ও জয়ী প্রার্থী তরিকুল ইসলাম নিলু খা ও তার ছেলে ইমরান বেশকিছু লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এ সময় গুলিতে শামীম হোসেন গুরুতর আহত হন।
এএসপি রোকনুজ্জামান জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওসি ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। গুলিবিদ্ধ শামীমকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সহযোগীকে গুলি করে হত্যা
ভোলায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
বান্দরবানে আ’লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
২ বছর আগে
এসআই স্বামী-এএসপি স্ত্রীর ছবি ভাইরাল
‘যখন অহরহ পোস্ট দেখি মেয়েরা লোভী হয়, মেয়েরা বিসিএস স্বামী খুঁজে পেলে সব ছাড়তে পারে, মেয়েরা টাকা আর অবস্থান ছাড়া আর কিছু বোঝে না আমার তখন খুব হাসি পায় মায়ের জাত নিয়ে কি আমাদের চিন্তাধারা এটা ভেবে।’
৩ বছর আগে
এএসপি আনিসুলের মৃত্যুতে জড়িতদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
৪ বছর আগে