তিনি বলেন, ‘এএসপি আনুসুল করিম মানসিক রোগী ছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই সব কিছু সঠিকভাবে জানার জন্য নিশ্চয় একটা তদন্ত হবে। সেই তদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসলে আমরা আরও অনেক কিছু জানতে পারবো।’
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এএসপি’র মৃত্যু: পুলিশের নজরদারিতে মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা ভিডিওতে দেখলাম তাকে (এএসপি) নিয়ে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। এর এক পর্যায়েই তিনি মারা গেছেন। হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। নিহতের বাবা ফইজউদ্দিন আহমেদ আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এপর্যন্ত হাসপাতাল পরিচালনার সাথে জড়িত তিনজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
‘তারা কিভাবে এই হাসপাতার চালাচ্ছিল, আমি নিশ্চিত নই। শুনেছি এই হাসপাতালের অনুমোদন যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের থেকে নেয়া হয়নি। এসব কিছু তদন্তের পরই আমরা বলতে পারবো,’ বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতাল অনুমোদিত না হলে আইনে কী হয় সেগুলো আপনারা সবাই জানেন। অননুমোদিত হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আসছে, সেটা হলো যখনই কোনো হাসপাতালে অনিয়ম সম্বন্ধে জানতে পারবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানে অভিযান চালানোর কথা। আমি মনে করি এতে কোনো অসুবিধা হবে না। অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।’